লোহাগাড়ায় বিবাহের প্রলোভন
৪ বছর যাবত এতিম মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরশালনগর গ্রামের মৃত রইচ মোল্যার মেয়ে কাকলীকে বিবাহের নাটক সাজিয়ে ৪ বছর যাবত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের লুটিয়া বান্দের পাড় গ্রামের জুলহাস মোল্যার ছেলে নুর আলম মোল্যার বিরুদ্ধে।
জানা যায় গত ৪ বছর আগে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাফেজ আসাদুজ্জামানের স্ত্রী হালিমার মাধ্যমে কাকলির সাথে নুর আলম এর বিয়ে ঠিক হয় এবং নুর আলম এর বাড়িতে স্থানীয় কাজীর সহকারী মুরাদ হুজুর তাদের বিয়ে পড়ান।
সাম্প্রতিক কথিত স্বামী নুর আলম কাকলিকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর মেয়েটি স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মুরাদ হুজুরের কাছে কাবিন চাইতে গেলে তিনি ওই বিবাহ পড়ান নাই বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে কাকলি জুন মাসের ১২ তারিখে লোহাগড়া থানায় ওই কথিত কাজীসহ স্বামী নুর আলম মোল্যা, ভাই শাহাবুল মোল্যা, বাবা জুলহাস মোল্যা, মাতা নারগিস বেগম ও পরকিয়া প্রেমিকা পাচুড়িয়া গ্রামের মিরাজ খানের মেয়ে স্বর্ণা বেগমের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিবাহের ঘটক নুর আলমের প্রতিবেশী মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাফেজ আসাদুজ্জামানের স্ত্রী হালিমা বেগমসহ অনেকে জানান, মুরাদ হুজুর ওই বিবাহ পড়িয়েছেন। তবে বিয়ে পড়ানোর বিষয়ে মুরাদ হুজুরের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
বিষয়টি খোঁজ নিতে দিঘলিয়া ইউনিয়নের মূল কাজী খায়ের হুজুরের অফিসে গিয়ে নিকাহ রেজিষ্ট্রারে তাদের নাম পাওয়া যায়নি।
কথিত স্বামী নুর আলম এর বাড়িতে যেয়ে তাকে পাওয়া যায়নি তবে নুর আলমের মায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ৪ বছর আগে লোহাগড়া থেকে কাকলিকে আমার ছেলে বিয়ে করে এনে সংসার করছে এর আগেও একটা বিয়ে করেছিলো তার সাথে তালাক হয়ে গেছে এখন আবার পাশের বাড়ির একজন প্রবাসীর বৌকে নিয়ে পালিয়ে গেছে, তার কোনো খবর আমরা জানি না।
এদিকে স্থানীয়রা জানান নুর আলম প্রথমে গোপালগঞ্জ জেলায় বিবাহ করে এবং সেই স্ত্রীকে তাড়িয়ে দিয়ে ওই ঘটকের মাধমে বিবাহ ঠিক করে স্থানীয় ওই কথিত কাজী, স্থানীয় মেম্বর ও তার স্বজনদের সহযোগিতায় নাটকীয়ভাবে কাবিন ছাড়া কাকলিকে বিবাহ করে ৫ বছর যাবত ধর্ষণ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন এই নুর আলম একটা বাটপার। বিয়ের নাটক সাজিয়ে অসহায় নারীদের থেকে সর্বস্ব লুটে নেয় এবং তাদের ধরনা সে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য তাকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক সহযোগিতা করে।
লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন
