বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৃক্ষ রোপন প্রকল্পেন নামে বৃক্ষ নিধন
চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরস্থা বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদী প্রায় ৭০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে শতাধিক পুরানা বৃক্ষ নিধন করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃক্ষ নিধনের ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমতি নেয়ার নিয়ম থাকলেও কারো অনুমতি না নিয়ে বিনা টেন্ডারে লক্ষ লক্ষ টাকার পুরানো বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ রযেছে। অভিযোগ উঠেছে এ প্রতিষ্ঠানটি যেখানে বৃক্ষ রোপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পুরানো বৃক্ষ নিধণের ঘটনায় স্থানীয় পরিবেশ কর্মী ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বন গবেষনা ইনস্টিটিউটের অভ্যান্তরে সম্পূর্ণ বৃক্ষে উন্নতমানের আগার রেজিন সঞ্চায়ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন নামের একটি প্রকল্পে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০২১-২০২৬ বছর মেয়াদী সময়ে কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় দুই বছর সময় পার হয়ে গেলেও উক্ত প্রকল্পের কোন কাজও করেনি। লোক দেখানো কাজ করতে গিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শতাধিক পুরানো বৃক্ষ নিধন করে মাঠ খালি করতে দেখা গেছে। অথচ এআরএমপি প্রকল্পের মাধ্য্যমে ২ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৯৯৯ সালে বৃক্ষগুলো রোপণ করা হয়েছিল প্রতিটি বৃক্ষর বয়স ২৩ বছর। বন ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতা এ.কে এম ইউসুছ বলেন, বন গবেষনায় শতাধিক পুরানো গাছ কোন ধরণের টেন্ডার ছাড়া অনুমতি ছাড়া নিধন করা হয়েছে। অবৈধভাবে বৃক্ষ নিধণের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত বলে তিনি জানান।
হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, গাছগুলো কাটার জন্য পরিচালক অনুমতি দিয়েছে, টেন্ডার দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে টেন্ডার দেয়া হয়নি, বড় গাছগুলো কাটার পর টেন্ডার দেয়া হবে। গাছ টাকার পর টেন্ডার দেয়া এটা কি ধরণের আইন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এখন যেগুলো কাটা হচ্ছে এগুলো বড় কোন গাছ না ডালপালা কাটা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসাইন। প্রকল্পের পরিচালক ড. জাকির হোসাইনের মোবাইল কয়েকদিন ধরে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে উক্ত প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ও গবেষনা কর্মকর্তা রুপক কুমার ঘোষের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি জাকির সাহেব বলতে পারবে, উনার বাইরে কথা বলার মত কিছু নেই বলে জানান।
উল্লখ্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধপরাধিদের নিরাপরাধ দাবি করে দেয়ায় গত ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মো. সোহরাব হোসাইন বাদী হয়ে বন গবেষনার পরিচালক রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে গত ১ জুন সাইবার ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রাম তথ্য প্রযুক্ত আইনে মামলা করেন। অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে কমিটি অভিযোগের সত্যতা পান। এরপর থেকে পরিচালক নিজকে রক্ষা করতে সরকার দলীয় নেতা এমপি মন্ত্রীদের বাসা বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমানও দেশের বাইরে রযেছে।
এমএসএম / এমএসএম
তিন ফসলের বরেন্দ্র এখন খাদ্যের ভান্ডার : কৃষি সচিব
রাজবাড়ী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ পরিবারের ৫ জনের ৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় চউক ঠিকাদার সমিতির দোয়া মাহফিল
লাকসামে যুবকের লাশ উদ্ধার র্যাব-১১ এর অভিযানে গ্রেফতার ৯
নিসচা'র ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড়লেখায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাবেশ
মিষ্টির শিরায় পোকাসহ সিগারেটের অংশ, ভোক্তার জরিমানা
রাজস্থলীতে বন্যপ্রাণী রক্ষা উদ্ধার টিম কমিটি গঠিত
কালিয়াকৈরের সফিপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দেড় ঘন্টায় প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
বড়লেখায় দশম গ্রেড দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি, রোগীদের দুর্ভোগ
মানিকগঞ্জে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন
শ্রীপুরে দুই প্রতিষ্ঠানকে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা
শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা–২০২৫ অনুষ্ঠিত