ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও মানবিক সমাজব্যবস্থার সমন্বয় জরুরি


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ১৮-৭-২০২৩ দুপুর ১:১৪

বিশ্বের কোথাও শান্তি নেই, চারিদিকেই অশান্তির চিত্র চোখে পড়ে৷ এরপরও জীবন বয়ে চলে। বিশ্বে যেদিকে চোখ ফেলি সেখানেই দেখি কোন না কোন বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে। ইতিহাসের কোনো কোনো অধ্যায় গৌরবমণ্ডিত হয়ে রূপান্তরিত হয় মহান ঐতিহ্যে। তখন তা ইতিহাসের অন্ধগলি অতিক্রম করে হয় গতিশীল আর জাতীয় জীবনের দুই কূল ছাপিয়ে হয়ে ওঠে বিশ্বাস ও আস্থার কেন্দ্রবিন্দু। সংকটকালে জাতি সেদিকে তাকায় সাহসের জন্য, শক্তির জন্য, বিশ্বাসের জন্য। সঙ্গে সঙ্গে কৃতজ্ঞতার ডালা সাজিয়ে নিজেদের সে মহান ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পৃক্ত করে নতুনভাবে আত্মপ্রত্যয় লাভ করে। গণতন্ত্র এক ধরনের আর্থসামাজিক ব্যবস্থা। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা। সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে গণতন্ত্র। সমাজের সবার জীবন স্পর্শ করে। সবার জন্য রচনা করে এক বলিষ্ঠ জীবনবোধ। সমস্বার্থের মোহনায় তা সবাইকে করে সম্মিলিত। সমস্বার্থের সুষম বন্ধনে সবাইকে করে সংগ্রথিত। সাম্য, মৈত্রী ও সৌভ্রাতৃত্বের উপত্যকায় সবাইকে করে সংগঠিত। এ জন্য গণতন্ত্রকে বলা হয় সমাজব্যবস্থা। দীর্ঘকালীন পরিসরে সমাজে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অর্জিত কাঙ্ক্ষিত ব্যবস্থা। অন্যদিকে গণতন্ত্র এক প্রক্রিয়াও বটে। এই প্রক্রিয়ায় সমাজে ব্যক্তি স্বীকৃত হয় স্বতন্ত্র, সম্পূর্ণ, অনন্য একক রূপে। কারো ওপর সে নির্ভরশীল নয়। নয় কারো মুখাপেক্ষী। আপন মহিমায় সবাই ভাস্বর। আপন দ্যুতিতে উজ্জ্বল। তার সম্মতি ব্যতীত তাকে শাসন করার অধিকার কারো নেই। তার সম্মতি ব্যতীত তার ওপর কর ধার্যের ক্ষমতা নেই কারো। যেকোনো নীতি নির্ধারণে এ প্রক্রিয়ায় সর্বাধিকসংখ্যক ব্যক্তির ইচ্ছা হয় প্রতিফলিত। সবার সম্মতি নিয়েই সমাজ হয় পরিচালিত। তাই বলা হয়, গণতন্ত্রে নেই কোনো শাসক অথবা শাসিত। সবাই মিলে সবার কাজ পরিচালনা করে। 

আরেকদিক থেকে বলা হয়, গণতন্ত্র এক ধরনের নৈতিকতা। পরিশীলিত এক যৌথ কর্মপ্রবাহ। রুচিকর এক যৌথ উদ্যোগ। পরিচ্ছন্ন ও সচেতন এক সামাজিক পদক্ষেপ। গোপনীয়তার জমাট বাঁধা অন্ধকার ছাপিয়ে গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের সূচনা হয় সর্বসাধারণের সমক্ষে, মুক্ত আলোয়। ষড়যন্ত্রের অন্ধকার গুহা থেকে বেরিয়ে আসে সামগ্রিক কর্মকাণ্ড। বেরিয়ে আসে প্রকাশ্য দিবালোকে। সবাইকে নিয়ে চলতে হয় বলে সবার মানসিকতা প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক কার্যক্রমে। অন্যের দিকে তাকিয়ে সবাই নির্ধারণ করে নিজের পদক্ষেপ। সংযত করে নিজের রসনা, নিজেদের আচার-আচরণ। আমার জন্য যা পীড়াদায়ক, অন্যের কাছে তা সুখকর হতে পারে না। আমি যা পেয়ে খুশি হই, অন্যেরও তা প্রাপ্য। যে কথা শুনে আমি কষ্ট পাই, অন্যের কাছেও তা কষ্টকর হবে। গণতন্ত্রের কৌশল রুচিসম্মত। তার চর্চা হয় অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে। নীরবে নয়, তারস্বরে। নির্জনে নয়, জনারণ্যে, মিটিংয়ে, মিছিলে, জনসমাবেশে। ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতি। সুরুচির প্রতীক। স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বাতন্ত্র্যের প্রতিচ্ছবি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির হালচাল দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আর এই পরিবর্তনের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিধি বা বিষয়বস্তুর ও সদা পরিবর্তন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। এ পরিবর্তনশীল ও জটিল আন্তর্জাতিক রাজনীতির আলোকেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিধি উপলদ্ধি করতে হবে। গত দশ বছরে দেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। অবকাঠামোগত সুবিধা যেমন রাস্তাঘাট, বড় বড় সেতু বিশেষ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল, যার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মানুষ পেতে শুরু করেছে। ৫১ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ গুণ আর জিডিপি বেড়েছে ৩০ গুণ। 

স্বাধীনতার আগে দারিদ্র্য সীমার নিচে ছিল ৮৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী, বর্তমানে এই সংখ্যা ২০ শতাংশের কম। বিগত প্রায় ৫১ বছরে ধান চালের উৎপাদন প্রায় চারগুণ হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ থেকে ৪ শতাংশ। বর্তমানে ৮ শতাংশের ওপর। লন্ডনভিত্তিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চ ভবিষ্যতের যে ১০টি উদীয়মান বাজারকে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের ওয়ার্ল্ড লিগ টেবিল ২০২১ রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে মেগা প্রকল্পগুলোর কাজে এসেছে পূর্ণগতি। চলতি বছরে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের লক্ষ্যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব সরকারের। আগামী বিজয় দিবসের আগেই পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেল চালু হবে আগামী ডিসেম্বরে। কর্ণফুলী টানেল যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে ২০২২ সালের মধ্যেই। রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেয়ার আশা সরকারের। শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে শুরু হওয়া উন্নয়নের ঝাণ্ডা এখন বয়ে নিয়ে চলেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গ্রামাঞ্চলে এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। বার্ষিক মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১,প্রস্তুতি চলছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের। উন্নয়নের রোড ম্যাপ ধরে নির্মিত হচ্ছে পায়রা সমুদ্র বন্দর, এলএনজি টার্মিনাল। 

বিশ্বে গুরুত্বের সঙ্গে প্রশংসিত হয়েছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মানবিক দিক। এছাড়া গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সাফল্য এবং ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অবস্থানের প্রশ্ন- এই তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যদিকে গত ৫ দশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ত দেশের প্রতিনিধি হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়া, তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উঠে আসা, শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যাপক অংশগ্রহণ ইতিবাচক ইমেজ তৈরি করেছে। জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্যের দিকটিও প্রশংসিত হয়েছে। মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিস্ময়কর অগ্রগতি ঘটেছে কৃষি খাতে। করোনার দুঃসময়ে আমাদের রফতানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের হার বেড়েছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। পাশাপাশি রফতানি বহুমুখীকরণ ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে বাণিজ্য সুবিধার কৌশলগুলো বাস্তবায়নে সীমান্ত সংস্থা ও বেসরকারি খাতগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এডিবির মুখ্য অর্থনীতিবিদ তাদাতেরু হায়াশি বলেন, এডিবির এই সহায়তা শিল্পায়ন ও বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সরকারের লক্ষ্যের প্রতি সমর্থন জানাবে। এই কর্মসূচি রফতানি পণ্য ও গন্তব্যের বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা ছাড়াও উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করবে।
বাংলাদেশ এমন এক সময় নির্বাচনের পাল্টাপাল্টি ও উত্তেজনার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে, যখন বিশ্ব রয়েছে উত্তেজনাকর যুদ্ধাবস্থার মধ্যে। এই বিশ্ব বাস্তবতায় একদিকে আণবিক যুদ্ধের ভীতি আর অন্যদিকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার মধ্যে দেশ পড়বে নির্বাচনের ডামাডোলে। বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে কেবল ভোট ব্যবস্থাই নয়, সার্বিকভাবে গণতন্ত্র রয়েছে বিপদাপন্ন অবস্থায়। 

রাজনীতি তথা ভোটে ধর্ম ও জাতীয় শ্রেষ্ঠত্ব তথা সাম্প্রদায়িকতার যথেচ্ছ ব্যবহার, জোর যার মুলুক তার নীতির জয়জয়কার, আমাদের দেশের মতো ছোট ও স্বল্পোন্নত-অনুন্নত দেশগুলোতে বিদেশি শক্তির নাক গলানো প্রভৃতি প্রকট রূপ নিয়ে পরিদৃষ্ট হচ্ছে। ফলে গণতন্ত্রের সূচনাবিন্দু ভোট ব্যবস্থা এখন বিপদের মধ্যে পড়েছে। মুক্ত তথা গণতান্ত্রিক দুনিয়ার মোড়ল আমেরিকা পর্যন্ত ভোটব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যে পড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা ক্রমে বাড়ছে। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে চলছেন। নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা বাড়ছে। ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছে। অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে বিএনপি যোগ দেবে কি-না প্রশ্ন থেকে শুরু করে ব্যালটে নাকি ইভিএম মেশিনে নির্বাচন হবে প্রভৃতি প্রশ্ন নিয়েও নানামুখী মত প্রকাশিত হচ্ছে। আশঙ্কা হয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশ ক্রমেই পাল্টাপাল্টি ও উত্তেজনার দিকে এগুচ্ছে। এই অবস্থায় স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালনের পর প্রথম নির্বাচন সামনে রেখে জাতি হিসেবে আমরা রয়েছি চরম বিপদের মধ্যে। কেননা স্বাধীনতার ৫১ বছরের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনই অবিতর্কিত থাকেনি। নির্বাচন সামনে রেখে একটা কথা খুবই সুচতুরভাবে সামনে আনা হচ্ছে যে, দেশের ইতিহাসে ক্ষমতাসীন দল কখনো পরাজিত হয়নি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। সাধারণ বিবেচনায় এটা সত্য মনে হয়; কিন্তু তা অর্ধসত্য। পঁচাত্তরের পর যত নির্বাচন হয়েছে তাতে প্রথম দিকে সামরিক বাহিনী যে দলের পক্ষে এবং পরবর্তীতে সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন যে দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সেই দল বিজয়ী হয়েছে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও ভোট ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র এখন বিপদাপন্ন পথে অগ্রসর হচ্ছে। এমন কথাও উঠছে যে, ভোটের প্রশ্নে বিএনপি-জাপার কাতারে এখন আওয়ামী লীগ। 

নির্বাচন সামনে রেখে তাই প্রশ্নটা হলো, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় একটানা সুদীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আওয়ামী লীগকে এই অভিযোগ শুনতে হবে কেন। বলাই বাহুল্য, এই অভিযোগ থেকে গণতন্ত্র তথা জাতীয় চার নীতি প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে যেমন বের হয়ে আসার পথ অনুসন্ধান করতে হবে; ঠিক তেমনি বিএনপিকেও এগিয়ে আসতে হবে। এটা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুধাবন করতে হবে, নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রীতিনীতির মধ্য দিয়েই করতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাই কতক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে হচ্ছে, সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করার পরিবেশ নির্বাচন কমিশনকে করে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করা। বিপরীতে বিএনপিকে সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের জন্য অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। বাস্তবে সহনশীল ও দূরদর্শী অবস্থান নিয়ে এক্ষেত্রে কোন দল কতটুকু অগ্রসর হতে পারবে, তার ওপরই ভোট কেমন হবে তা নির্ভর করবে। যদিও নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমঝোতা সৃষ্টির সময় ও সম্ভাবনা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। তবে সে ধরনের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখার জন্য যে ধরনের সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা থাকা প্রয়োজন তা এখনো অনুপস্থিত এবং নেতিবাচক। এহেন বাস্তবতার দোলাচলে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সময় গুনছে দেশের মানুষ। বাংলাদেশের যাত্রাপথ সমাজতন্ত্রমুখী না হলেও কল্যাণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অভিমুখে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু সুস্পষ্টভাবে শোষিত গণমানুষের প্রতি তার পক্ষপাত ব্যক্ত করে গেছেন। একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজগঠনই তার স্বপ্ন ছিল। ফলে উন্নয়নের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্নের মিলন ঘটাতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজের গণতন্ত্রায়ণে অনেক কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ কায়েমের কথাই আমাদের ভাবতে হবে। তাই দেশে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও মানবিক সমাজব্যবস্থার সমন্বয় জরুরি।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 

এমএসএম / এমএসএম

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ : গল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠুক সচেতনতার বাঁধ

রাজনীতি আজ নিলামের হাট: কুষ্টিয়া-৪ এ হাইব্রিড দাপটের নির্মম প্রতিচ্ছবি

জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিবে প্রবাসীরা, আনন্দে ভাসছে পরবাসে বাঙালীরা

বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা ও বাংলাদেশে তার প্রভাব

বাংলাদেশে ওয়াশিং প্ল্যান্টের বর্জ্য দ্বারা মিঠাপানির দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ

দলীয় পরিচয়ে পদোন্নতি ও বদলি: দুর্নীতির ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ

ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সমাধান: FBCCI-এর বিদ্যমান সেবার উৎকর্ষ সাধন

বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিসরকে একীভূত করা: অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য বিসিক কেন অপরিহার্য

সবুজ অর্থায়নের কৌশলগত বিশ্লেষণ: বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ