আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোট কই

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। এই আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় সোয়া তিন লাখ। এলাকাটি যেমন কুটনৈতিক জোন তেমনি বাণিজ্যিক এলাকাও। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি কোম্পানির প্রধান কার্যালয় গুলশান-বনানীতে।
রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মতো এই এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক কাঠামো অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট এবং মহানগর কমিটি তো রয়েছে। এছাড়া দলের আরপিও পাওয়ার আশায় কাজ করা সংগঠনের সংখ্যাও কম না। হিসেব মতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, স্বাচিব, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সৈনিক লীগ, ওলাম লীগসহ ১৪টি সংগঠন আছে। মহানগর কমিটি গড়ে যদি ১০১ সদস্যের কমিটি হয় তাহলে ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায়-১৪১৪ জন। এভাবে মূলদল আওয়ামী লীগের কমিটি তো রয়েছে। এরপর ওয়ার্ড আছে ৪টি। এছাড়া ইউনিট আছে। তাতে হিসাব করলে ঢাকা- ১৭ আসনে আওয়ামী লীগের অর্থাৎ নৌকার কর্মীসংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। কিন্তু ভোটের সময় নৌকায় ভোট পড়েছে মাত্র ২৮৮১৬টি। তাহলে কি আওয়ামী লীগের কর্মীরা নৌকায় ভোট দেয়নি।
আজকে যদি বলা হয় আওয়ামী লীগ বিনামূল্যে আলকাতরা বিতরণ করবে তাহলে লোকসংখ্যা দাঁড়াবে ২ লাখ। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটি করার সময় লোক জায়গা দেয়া যায় না কিন্তু ভোটের সময় কেন এমন দৈন্যদশা। এবার আসি বিরোধী দলগুলোর প্রশ্নে। ভোটের রেশিও অনুসারে আশ্রাফুল আলম ওরফে হিরো আলম দ্বিতীয় হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৬শ ৯ ভোট। হিরো আলম তো এই আসনের ভোটারও না এমনকি তার তো এই ৫ হাজার জন আত্মীয় না। তারপরও তিনি এই ভোট পেয়েছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগের ভোট কমছে। ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে। তারপরও ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রায় ১২% ভোট কেন? কমিটি করার সময় এত এত যোগ্যতাসম্পন্ন সভাপতি এবং সম্পাদক প্রার্থীগণ হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে নেতার সামনে হাজির থাকে কিন্তু কমিটি শেষ হওয়ার পরে তাদের সমর্থকগুলো কোথায় থাকেন?
শুধুমাত্র ভাই লীগ, নেতালীগের কারণে। তারা নিজেদের মধ্যে স্বার্থ নিয়ে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করছে। দলের কার্যক্রমে তাদের মন নেই। আর যারাও আছে তারাও দলের হাইব্রিডদের কারণে দলের নিবেদিতকর্মীরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। এখন সময় এসেছে দলের অভিমানী কর্মীদের ফিরিয়ে আনা। না হলে এই দায়ভার আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে। ঢাকা -১৭ আসনের নির্বাচন আওয়ামী লীগের কাছে একটি সতর্কবার্তা মাত্র।
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন
