ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

শান্তি সমাবেশ ও পদযাত্রা অস্থিরতার সমাধান নয়


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ২৭-৭-২০২৩ দুপুর ১২:১৯

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের লাল সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১-এ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নতুন নাম এর সংযোজন বাংলাদেশ। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজ আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। সমগ্র এশিয়ার মধ্যে আমরা তৃতীয় ও বিশ্বে পঞ্চম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক দেশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা দ্রুতবেগে এগিয়ে থাকলেও সামাজিক উন্নয়নে আমরা পশ্চাৎমুখী অবস্থানে আছি। তার মূল কারণ আমাদের রাজনৈতিক নৈতিকতার অনুপস্থিতি। নীতি, নৈতিকতা বা আদর্শ একটাই এবং তা হলো যে কোন উপায়ে অর্থ উপার্জন। অর্থ শক্তি বলে এরা দলীয় কিছু নেতৃবৃন্দ ও অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তৈরি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় সকল পর্যায়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। ছোট প্রাণি দিয়ে যেমন হাল চাষ করা যায় না, তেমনি নৈতিকতা বিবর্জিত অনেক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দিয়ে আদর্শ ভিত্তিক সুশৃঙ্খল সংগঠন তৈরি করা যায় না। সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাব, আইনের ফাঁকফোকর ও দুর্নীতির কারণে হত্যা, মাদক, অস্ত্রসহ বহু মামলার আসামিও নির্বিঘ্নে জামিন পাওয়ায় সামাজিক নিরাপত্তার অভাব ও আইনের সফল প্রয়োগে ব্যাত্যয় ঘটায় সমাজে অস্থিরতা বিদ্যমান। মানুষ যখন দেখে তার কাছেরই একজন কম যোগ্যতাসম্পন্ন কেউ রাতারাতি গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও খুঁটির জোরে অন্যরা চাকুরি পেয়ে যাচ্ছে। কাল যে একজন সামান্য কর্মচারী ছিলেন সে একই ব্যক্তি রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে, তখন স্বভাবতই একটা হতাশার সৃষ্টি হয়। রাতারাতি বিত্তশালী হওয়ার মরণ নেশা যেন পুরো সমাজটাকে গ্রাস করে ফেলছে। এইসব সমস্যার জন্য জনগণকে দায়ী করা মোটেও সমীচীন হবে না। 

জনগণ হচ্ছে নদীর স্রোতধারা, নদী যত বাঁক নেবে স্রোত সেই বাঁক ধরেই প্রবাহিত হয়ে এক সময় মোহনায় মিলিত হয়। জাতির গতি প্রবাহের সকল বাঁক নির্ধারণ করে রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকরা। স্রোতধারা তথা আমজনতা জানেই না সামনের বাঁক’টির পর কি অপেক্ষা করছে। জীবন নদীর মানচিত্র তৈরি হয় নীতিনির্ধারক দ্বারা। তাই সমাজের চরম অবক্ষয়ের দায় তাদের উপরই বর্তায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ এর অব্যবহিত ৯০ দিন পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা ক্রমে বাড়ছে। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে চলছেন। নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা বাড়ছে। ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছে।
সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিএনপি যোগ দেবে কি-না প্রশ্ন থেকে শুরু করে ব্যালটে নাকি ইভিএম মেশিনে নির্বাচন হবে প্রভৃতি প্রশ্ন নিয়েও নানামুখী মত প্রকাশিত হচ্ছে। আশঙ্কা হয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশ ক্রমেই পাল্টাপাল্টি ও উত্তেজনার মধ্যে পড়তে যাচ্ছ। 
দেশের প্রধান সমস্যা কি অবাধ নির্বাচন এমন এক সময় দেশ নির্বাচনের পাল্টাপাল্টি ও উত্তেজনার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে, যখন বিশ্ব রয়েছে উত্তেজনাকর যুদ্ধাবস্থার মধ্যে। এই বিশ্ব বাস্তবতায় একদিকে আণবিক যুদ্ধের ভীতি আর অন্যদিকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার মধ্যে দেশ পড়বে নির্বাচনের ডামাডোলে। বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে কেবল ভোট ব্যবস্থাই নয়, সার্বিকভাবে গণতন্ত্র রয়েছে বিপদাপন্ন অবস্থায়। রাজনীতি তথা ভোটে ধর্ম ও জাতীয় শ্রেষ্ঠত্ব তথা সাম্প্রদায়িকতার যথেচ্ছ ব্যবহার, জোর যার মুলুক তার নীতির জয়জয়কার, আমাদের দেশের মতো ছোট ও স্বল্পোন্নত-অনুন্নত দেশগুলোতে বিদেশি শক্তির নাক গলানো প্রভৃতি প্রকট রূপ নিয়ে পরিদৃষ্ট হচ্ছে। 

ফলে গণতন্ত্রের সূচনাবিন্দু ভোট ব্যবস্থা এখন বিপদের মধ্যে পড়েছে। মুক্ত তথা গণতান্ত্রিক দুনিয়ার মোড়ল আমেরিকা পর্যন্ত ভোটব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যে পড়েছে। 
এই অবস্থায় স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালনের পর প্রথম নির্বাচন সামনে রেখে জাতি হিসেবে আমরা রয়েছি চরম বিপদের মধ্যে। কেননা স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনই অবিতর্কিত থাকেনি। ৯৯ শতাংশ ভোট পাওয়ার রেকর্ডও আমাদের রয়েছে। এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ৭১-৭৫ পূর্ব পর্যন্ত রাজনীতি ছিল রাজনীতিকদের হাতে। আর রাজনীতি মানেই দুর্বলতা-সবলতা, ভালো-মন্দ মিলিয়ে জনগণ; কিন্তু ৭৫-এর পর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সামরিক শাসন আমলে রাজনীতি রাজনীতিকদের জন্য কষ্টসাধ্য নীতি কার্যকর হতে থাকলে রাজনীতি হয়ে পড়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি। নির্বাচন সামনে রেখে একটা কথা খুবই সুচতুরভাবে সামনে আনা হচ্ছে যে, দেশের ইতিহাসে ক্ষমতাসীন দল কখনো পরাজিত হয়নি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। সাধারণ বিবেচনায় এটা সত্য মনে হয়; কিন্তু তা অর্ধসত্য। পঁচাত্তরের পর যত নির্বাচন হয়েছে তাতে প্রথম দিকে সামরিক বাহিনী যে দলের পক্ষে এবং পরবর্তীতে সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন যে দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সেই দল বিজয়ী হয়েছে। রাজনীতিতে একটা কথা আছে যে, এক প্রতিদ্বন্দ্বী যদি নর্দমায় খেলে, তবে অপর প্রতিদ্বন্দ্বীকেও নর্দমায় খেলা ভিন্ন বিকল্প নেই। তাই স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোট ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র এখন বিপদাপন্ন পথে অগ্রসর হচ্ছে। এমন কথাও উঠছে যে, ভোটের প্রশ্নে বিএনপি-জাপার কাতারে এখন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন সামনে রেখে তাই প্রশ্নটা হলো, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় একটানা সুদীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আওয়ামী লীগকে এই অভিযোগ শুনতে হবে কেন? বলাই বাহুল্য, এই অভিযোগ থেকে গণতন্ত্র তথা জাতীয় চার নীতি প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দানকারী আওয়ামী লীগকে যেমন বের হয়ে আসার পথ অনুসন্ধান করতে হবে; ঠিক তেমনি বিএনপিকেও এগিয়ে আসতে হবে। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বলা যায় পুরোটাই আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস। সে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় চলছে সময়। চলছে রাজনীতি অর্থনীতি কূটনীতি সমরনীতি। সময় সময় এসব নীতিতে নানা রকম প্রভাব পড়ে। এরপর গণেশ উল্টে যায়। অনেক বারই উল্টেছে। তাই বাংলাদেশে কখন যে কী হয় আন্দাজ করা কঠিন।রাজনীতির মারপ্যাঁচ যে আরও কঠিন। কূটনৈতিক পাড়ার তৎপরতা বাড়লে মানুষ বুঝতে পারে যে একটা কিছু হচ্ছে। রাজনীতির হালচাল জানার প্রতি মানুষের আগ্রহ তখন বেড়ে যায়। সারাক্ষণ দৌড়ায় তথ্যের পেছনে। কী হচ্ছে কী হতে যাচ্ছে এসব প্রশ্ন ঘোরপাক খায় মানুষের মনে। বুদ্ধিমান মানুষ সহজেই বুঝে যায়। পত্রপত্রিকা তাদের বোঝাটাকে আরও পাকাপোক্ত করে। সময়ের প্রয়োজনে মানুষ তখন সময়ের পিছু ছোটে। এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বলা যায়, রাজনীতির জন্য সময়টা ভালো না, আবার খারাপও না। দেশের অর্থনীতি যেদিকে যাচ্ছে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বিশ্বমন্দা ও বাংলাদেশে এর প্রভাবের কথা বলেছেন, তাতে মানুষ কিছুটা চিন্তিত। তাদের মনের শান্তি কিছুটা হলেও বিনষ্ট হয়েছে। অনাগত ভবিষ্যৎ ভাবনাটা মানুষকে পীড়া দিচ্ছে। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মানুষের আয়-রোজগার কম বলে তারা সঞ্চয় করতে পারে না। যেকোনো মন্দা কিংবা দুঃসময় মোকাবিলার জন্য দরকার সঞ্চয়। সঞ্চিত টাকা-কড়ি, সোনা-দানা, খাদ্যদ্রব্য সবই মানুষের মনে সাহস জোগায়। বাংলা দেশের মানুষের মনে সাহস জোগানোর এই জায়গাটা অনেকটাই দুর্বল। যার কারণে ধেয়ে আসা বিশ্বমন্দা নিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বেশ চিন্তিত। রাজনৈতিক নেতারা সভা-সমাবেশ, আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি যদি আগত বিশ্বমন্দা নিয়ে ভাবেন, এই মন্দা কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে তার দিকনির্দেশনা দেন তাহলে সাধারণ মানুষ শান্তি-স্বস্তি পাবে।রাজনীতিবিদরা হয়তো বোঝেন না যে সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা তারা। 

মানুষ ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করে তার হাতেই সব ছেড়ে দেয়। তিনি যেভাবে চালান সেভাবেই চলে। যদিও বাংলাদেশের বিষয়টা মাঝেমধ্যে ভিন্ন হয়। বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান হালচাল অনেকটাই ইতিবাচক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই আছে দেশ-দেশের রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ। সবাই আশাবাদী সামনে একটা অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারও সে ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে, এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিক কাজটা স্বাভাবিকভাবে করার চেষ্টা আছে সরকারের। তবে হ্যাঁ, রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ বলে যে কথাটা প্রচলিত আছে তার প্রভাবে কতটা প্রভাবিত হবে আসন্ন নির্বাচনে তা কিছুটা ভাবনার বিষয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এডমন্ড বার্ক রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক দল হলো একটি সুসংগঠিত জনসমষ্টি, যারা কোনো নির্দিষ্ট নীতির দ্বারা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং যৌথ প্রচেষ্টার দ্বারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে। রাজনৈতিক দলকে শুধু সরকারি ক্ষমতা দখলের জন্য উত্সুক সংগঠনরূপে গণ্য করলে ভুল করা হবে। রাজনৈতিক দলকে মূলত জাতীয় স্বার্থ পরিপূরণের জন্য গঠিত রাজনৈতিক সংগঠন হতে হবে। একটি সংগঠনকে রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে হলে তার রাজনৈতিক সামাজিকীকরণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনসাধারণের মননে সমাজ সম্পর্কে বিশেষ ভাবধারা, চিন্তা ও মূল্যবোধ সঞ্চারিত করা হয়। সুতরাং রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ হলো রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মূল্যবোধ, মনোভাব এবং চিন্তাধারার আলোকে নাগরিকদের মনোজগৎ দীক্ষিত ও শিক্ষিত করার প্রক্রিয়া। এভাবে রাজনৈতিক কার্যাবলিতে উদ্বুদ্ধ করে রাজনৈতিক দল বিদ্যমান রাজনৈতিক মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাস দৃঢ় করতে অথবা নতুন মূল্যবোধ ও বিশ্বাস সঞ্চারে সাহায্য করে। একটি সংগঠনকে রাজনৈতিক দল হতে হলে তার মধ্যে সহিষ্ণুতার মনোভাব থাকতে হবে। অসাম্প্রদায়িকতা সেই সংগঠনের মূলমন্ত্র হতে হবে। 

সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল গড়ে উঠলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হয় না। সংকীর্ণ মনোভাব সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের অনুকূল নয়। দলের নেতাদের হতে হবে আদর্শস্থানীয় ব্যক্তি। দলের নেতা যদি আদর্শবান না হন, তাহলে কর্মীরাও আদর্শবান হয় না। ফলে দল হয় আদর্শ বিচ্যুত। রাজনৈতিক দল-গুলোর মধ্যে আদর্শগত মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে একটি ন্যূনতম ক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে অবশ্যই ঐকমত্য প্রয়োজন। কোনো দল ব্যক্তিগত স্বার্থ বা গোষ্ঠী স্বার্থের প্রতি বেশি মনোযোগী হলে সে দল প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক দল হতে পারে না। যেসব শর্ত পূরণ করলে একটি ভূখণ্ড রাষ্ট্র হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো সার্বভৌমত্ব। অর্থাৎ কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকা।কোনো সংগঠন জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গেলে সেটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সংগঠন বিবেচিত হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক দল একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য রাজনৈতিক দল অপরিহার্য। গণতন্ত্রের কৃতকার্যতা নির্ভর করে রাজনৈতিক দল কী করছে, কিভাবে করছে তার ওপর। রাজনৈতিক দল আইনসভার অভ্যন্তরে ও বাইরে নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্র তথা একটি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে নিরন্তর সহায়তা করে। নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাই কতক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে হচ্ছে, সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করার পরিবেশ নির্বাচন কমিশনকে করে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করা। বিপরীতে বিএনপিকে সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের জন্য অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। বাস্তবে সহনশীল ও দূরদর্শী অবস্থান নিয়ে এক্ষেত্রে কোন দল কতটুকু অগ্রসর হতে পারবে, তার ওপরই ভোট কেমন হবে তা নির্ভর করবে। মোটকথা হচ্ছে, এসব লোক দেখানোর কর্মসূচি বাদ দিয়ে আলোচনায় বসুন এবং দেশের ভাবমূর্তি ও অগ্রগতি বজায় রাখুন। 

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 

এমএসএম / এমএসএম

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ : গল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠুক সচেতনতার বাঁধ

রাজনীতি আজ নিলামের হাট: কুষ্টিয়া-৪ এ হাইব্রিড দাপটের নির্মম প্রতিচ্ছবি

জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিবে প্রবাসীরা, আনন্দে ভাসছে পরবাসে বাঙালীরা

বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা ও বাংলাদেশে তার প্রভাব

বাংলাদেশে ওয়াশিং প্ল্যান্টের বর্জ্য দ্বারা মিঠাপানির দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ

দলীয় পরিচয়ে পদোন্নতি ও বদলি: দুর্নীতির ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ

ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সমাধান: FBCCI-এর বিদ্যমান সেবার উৎকর্ষ সাধন

বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিসরকে একীভূত করা: অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য বিসিক কেন অপরিহার্য

সবুজ অর্থায়নের কৌশলগত বিশ্লেষণ: বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ