নিস্ক্রিয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিস্ক্রিয় ও আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দক্ষিণ জেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, দক্ষিণ জেলার নতুন আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার পর কোনো উপজেলা ও পৌরসভায় একটি সাংগঠনিক মিটিং করতে না পারা। দক্ষিণ জেলা বিএনপির ব্যানারে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করা হলেও হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া কমিটির অধিকাংশ নেতাও সদস্য অনুপস্থিত থাকেন। কোনো উপজেলায় সাংগঠনিক কোনো মিটিং করার সাহস পাননি আহ্বায়ক নিজেই। সামাজিক কর্মসূচিতেও আহ্বায়ককে দাওয়াত দিলে সাড়া মেলে না বলে জানান তারা।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সাবেক সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক করে মোস্তাক আহমদ খানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৬৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ২০১৯ সালে ২ অক্টোবর কেন্দ্র অনুমোদন দেয়। সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবকে এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েলের নেতৃত্বাধীন ১৫১ সদস্যের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। আহ্বায়ক ৩ মাসের মধ্যে জেলার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন করবেন। পরে উপজেলা ও পৌর নেতৃবৃন্দের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কয়েকটি উপজেলা ও পৌরসভায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও পাল্টা পাল্টি কমিটি হয়েছে। পাল্টা পাল্টি কমিটির কারণে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস ও অধ্যাপক শেখ মো.মহিউদ্দীন ও লিয়াকত চেয়ারম্যানকে বহিস্কার এবং মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানকে সর্তক করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক বদরুল খায়ের চৌধুরী বলেন, আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে যখন কমিটি হয়েছিল তখন তৃণমূল নেতা কর্মীরা খুশি হয়েছিল। দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি তৃণমূল নেতা কর্মীদের হতাশ করেছে এবং পুর্ণাঙ্গ কমিটিও করতে পারেনি ও দলীয় কর্মসূচিতে সবাইকে নিয়ে যাওয়ার মত কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি । চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, পুণাঙ্গ কমিটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, দায়িত্ব নেয়ার পর করোনা ভাইরাস এবং সরকারের নির্যাতনের কারণে এলাকা ভিত্তিক সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে যারা উপস্থিত না হয়না দলের কোন কর্মকান্ডে দেখা যায় না তাদেরকে দলের কর্মী পরিচয় দেয়া লজ্জাজনক তারে দলের সমালোচক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপিতে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতি ও অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১০ সালে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সভাপতি ঠিক রেখে গাজী শাহজাহান জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ মহিউদ্দিনকে সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়াকে সহ সভাপতি করে ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দুটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়।
এমএসএম / জামান

তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে এক নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার; পলাতক স্বামী

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ১১ জেলে আটক, ৮ জনের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীতে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
