ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

শিক্ষায় জিপিএ-৫ এবং আমাদের প্রত্যাশা


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ৮-৮-২০২৩ দুপুর ১:২৮

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অনেকের অজান্তেই গোড়ায় গলদ ঢুকে গেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এর সূচনা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এসে পড়ছে এর প্রভাব।তাও মাধ্যমিক স্তরে ভালো গ্রেড পয়েন্ট অনেকে পান। ঠিক তেমনি উচ্চমাধ্যমিকে। মহানগর আর জেলা সদরগুলোর নামকরা কিছু স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মান বিবেচনায় নিয়ে গোটা দেশের মান হিসাবে ধরলে বড় ধরনের ভুল করা হবে। প্রতারিত করব নিজেদের। এরই মাঝে আমরা অনেক ঠকেও স্বীকার করতে চাইছি না। মানবসম্পদ উন্নয়ন একটি জাতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনায় নিতে হয়। আমরা অবকাঠামো তৈরিসহ অনেক বিষয়ে এ লক্ষ্যে কিছু কাজ করেছি। কিন্তু মূলত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ, তাঁদের প্রশিক্ষণ ও তদারকিব্যবস্থার প্রতি এতটা জোর দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ও মূল্যায়ন-প্রক্রিয়া গুরুতর ত্রুটিপূর্ণ বললে অত্যুক্তি হবে না। দৃঢ়তার সঙ্গে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করলে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়ার কথা নয়। ভাঙা ইমারতের ভিটায় নতুন নির্মাণের মনোবল এ জাতির আছে। দরকার শুধু শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিক পরিকল্পনা। বর্তমান অবস্থায় একে অন্যকে দোষ দিতে থাকলে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে না। দেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের হার যেমন বাড়ছে, তেমন উচ্চশিক্ষিতদের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে সমান তালে। লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণ দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীর কাছে চাকরি হয়ে উঠেছে সোনার হরিণ। দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানত শিক্ষার নিম্নমানই এর জন্য দায়ী। মানহীনতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের অভাব, দক্ষ জনবলের ঘাটতি, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত শিক্ষা দিতে না পারা ও শিক্ষায় কম বিনিয়োগ ইত্যাদি এর জন্য দায়ী। সব মিলিয়ে শিক্ষিত জনশক্তির জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বর্তমানকালে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ফল।রেকর্ড পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ায় আনন্দ-উল্লাসে ভাসছেন শিক্ষার্থীরা।তবে তাদের আকাশে চিন্তার মেঘও জমতে শুরু করেছে। কেননা কিছুদিন পরই শুরু হবে ভর্তিযুদ্ধ। আর এতে জিপিএ-৫ পেয়েও অধিকাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এবারের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে,দেশের ৩৯টি সরকারি বিশ্ব- বিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ৩৯ হাজারের বেশি। আর এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার শিক্ষার্থী। ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন না ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী। তাছাড়া প্রতিবছর পরীক্ষায় পাশ করে প্রায় ১০-১২ লাখ শিক্ষার্থী। কিন্তু পাবলিক-প্রাইভেট মিলিয়ে আসন রয়েছে ৪ লাখের কিছুটা বেশি। ফলে এ ক্ষেত্রেও বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা। এই তথ্য তো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কপালে চিন্তার রেখা এঁকে দেওয়ার মতো! আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষদের কাছে ফলাফল মানেই হচ্ছে জিপিএ-৫ কিংবা এ প্লাস! কোনো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলেই, শুরু হয় প্রশ্ন এ প্লাস পেয়েছ? কিংবা জিপিএ-৫ পেয়েছ? জবাবে না-সূচক জবাব বললেই গোমড়া হতে শুরু করে তাঁদের মুখ, তাঁরা নানা কটুকথা শোনাতে শুরু করেন শিক্ষার্থীদের। তাঁরা ভাবেন না, তাঁদের প্রতিটি কথা তীরের মতো বিঁধে একজন শিক্ষার্থীর মনে। আপনার কটুকথার কারণে খালি হয় একজন মায়ের বুক, অথচ সেই সন্তান নিয়ে হয়তো তার মা-বাবা অনেক স্বপ্ন বুনেছিলেন। কে নেবে এসবের দায়ভার? কোনো কারণে একজন শিক্ষার্থীর ফল খারাপ হতেই পারে, তাই বলে তাকে কটুকথা শোনাতে হবে? দুর্বিষহ করে তুলতে হবে তার জীবন? জীবনে ফলাফলই কি সব? হ্যাঁ, আমি মানছি যে ভালো ফলাফল জীবন গড়তে সহায়ক! খারাপ ফলাফল করলে তাকে কটুকথা শুনিয়ে কী লাভ? 

শুধু তা-ই নয়, আমাদের দেশে এখন নবম শ্রেণিতে ভর্তি হলেই প্রশ্ন উঠে, তুমি কি বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করছ? অনেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছাড়া কেউ হলেই তাকে ইচ্ছেমতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, যেন সে বিজ্ঞান বিভাগ না নিয়ে বড্ড ভুল করে ফেলেছে। অথচ বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া মানুষদের মতো অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সমাজ বিনির্মাণে অনেক অবদান রাখছেন। একটি রাষ্ট্রের জন্য একজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী যেমন প্রয়োজন তেমনি একজন মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী, বাণিজ্যিক বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সব বিভাগের শিক্ষার্থীও তেমনি প্রয়োজন। বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের কেন পড়াশোনা করছ প্রশ্নের জবাবে তাদের উত্তর হবে ভালো ফলাফলের জন্য। অথচ আমাদের আমাদের মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য পড়াশোনা প্রয়োজন! অথচ বর্তমানে অধিকাংশ পরিবারে ভালো মানুষ হওয়ার থেকে ভালো ফলাফল করাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু জীবনে ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষা অর্জনের থেকে নৈতিক শিক্ষা নেওয়াটা অধিক প্রয়োজন। সময় এসেছে নিজেদের বিবেকটাকে জাগিয়ে তুলার, যেকোনো বিভাগ হোক ফলাফল যা-ই হোক, একজন শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করি। তার স্বপ্নপূরণে তার মা-বাবার স্বপ্নপূরণে তাকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করি। শুধু ভালো ফলাফলের জন্য নয়, নৈতিক গুণাবলিতে গুণান্বিত একজন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা লাভে এগিয়ে আসি। বর্তমানের তীব্র প্রতিযোগিতা পূর্ণ চাকরির বাজারে নিজেকে তোলার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হয়। তার পরও অধিকাংশ শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত চাকরি পায় না। আবার চাকরিতে ঢোকার পরও প্রতিযোগিতা। অর্থাৎ, প্রতিযোগিতার আর শেষ নেই। আর এ প্রতিযোগিতা কেবল শিক্ষার্থীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। ছড়িয়ে পড়ে তাদের অভিভাবকদের মাঝেও। সন্তানের মধ্য দিয়ে নিজেদের যাবতীয় অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে চাওয়া অভিভাবকরা নিরন্তর তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। 

সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বিসিএস ক্যাডার হতে না পারলে অভিভাবকদের আর কোনো মান থাকে না। সব যেন ধুলায় মিশে যায়। তাই অভিভাবকদের মাঝে এখন আর সহজিয়া রূপটি নেই। সন্তানের সঙ্গে এখন তাদের সম্পর্কটি দেনা-পাওনায় গিয়ে ঠেকেছে। তোমাকে খাওয়াচ্ছি, পরাচ্ছি, বিনিময়ে তুমি ভালো পাস দিয়ে, ভালো চাকরি জোগাড় করে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করলে, ভালো মানের একটি সরকারি চাকরি জোগাড় করতে না পারলে, একজন শিক্ষার্থী প্রথম তার অভিভাবকদের কাছ থেকেই চরম তিরস্কারের শিকার হচ্ছে। যে পরিবার তার পরম আশ্রয় ও নির্ভরতার জায়গা হওয়ার কথা, সেখানেই তাকে সবচেয়ে বেশি গঞ্জনা সইতে হচ্ছে। ফলে অভিভাবক তথা পরিবারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি দূরত্ব তৈরি হয়। কালের পরিক্রমায় সে দূরত্ব কেবল বাড়তেই থাকে, ঘুচে না। অবশ্য এজন্য অভিভাবকরাও দায়ী নন। এর জন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। আর তার ন্যক্কারজনক শিকার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। নতুন শতাব্দীর শুরু থেকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। পরীক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে গ্রেডিং সিস্টেম। শুরু হলো এক নতুন দৌড়। জিপিএ ৫ পাওয়াই হয়ে উঠল জীবনের মূল লক্ষ্য। চাকরির বাজার হয়ে গেল বিসিএসমুখী। যেন বিসিএস ক্যাডার হতে না পারলে জীবনটা ষোলো আনাই বৃথা। একটা উন্মাদনা চলছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়। প্রথমে জিপিএ ৫ নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন অভিভাবকরা। তারপর এল গোল্ডেন জিপিএ ৫। অনেক বছর এই উন্মাদনা নিয়েই কাটল। তারপর এতেও কুলোল না। তখন বলা হতে লাগল, গোল্ডেন জিপিএ ৫ তো এখন সাধারণ হয়ে গেছে, প্রতি বিষয়ে ৯০ শতাংশ বা ততোধিক নম্বর না পেলে তো আর সমাজে মুখ দেখানো গেল না। শেষ পর্যন্ত গত বছর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার পর আমরা দেখলাম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, কোন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে শতভাগ নম্বর পেয়েছে! 

এ যেন এক অসুস্থ মানসিকতার জায়গা থেকে পরস্পরের সঙ্গে আচরণ করছেন। একজনের মানসিকতা দেখিয়ে দেয়ার, অন্যজনের অনুভূতি গ্লানিময়। আর এ মানসিক গ্লানিটা তিনি ঝাড়ছেন সন্তানের ওপর। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি পরীক্ষা থাকায় একেবারে শৈশব থেকেই শিক্ষার্থীরা এসব নোংরা প্রতিযোগিতার শিকার হচ্ছে। এটি তাদের মনোজগতে চিরস্থায়ী দাগ তৈরি করছে। আর এ পালে হাওয়া দিচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো। তারা নানা চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতা তীব্রতর করছে। কোন কোচিং সেন্টারগুলো থেকে কত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী শতভাগ নম্বর পাচ্ছে, তার এক অন্ধ প্রতিযোগিতা চলছে। চাকরির বাজারেও একই অবস্থা। বিসিএস ক্যাডার বা অন্য কোনো সরকারি ছাড়া অন্যান্য চাকরিকে বর্তমান প্রজন্ম চাকরিই মনে করছে না। এগুলো জোটাতে না পারলেই কেবল তারা বাধ্য হয়ে অন্য চাকরি করছে। আবার বিসিএস ক্যাডারের ক্ষেত্রেও হাতে গোনা কয়েকটি ক্যাডার, যেমন প্রশাসন, পুলিশ, কাস্টমস-এ ধরনের কয়েকটি ক্যাডার ছাড়া অন্য ক্যাডারগুলোও তারা তেমন একটা পছন্দ করে না। ফলে এগুলোয় সফল করতে না পারলে তারা হতাশ হয়ে যাচ্ছে। এটি যেন এক নিরন্তর তামাশা হয়ে ওঠেছে।প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়, আর শুরু হয় আত্মহত্যার হিড়িক। গণমাধ্যমগুলো সেসব সংবাদ ফলাও করে প্রচার করে। আর আমরা সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে একটু আহা-উহু করি। এটি যেন একটি গেম! এ খেলায় আমরা মজা পেয়ে গেছি। তাই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে এ অসুস্থ প্রতিযোগিতার ভার বইতে না পেরে অকালে ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য প্রাণ কিংবা কাঙ্ক্ষিত চাকরি জোগাড় করতে না পেরে ধুঁকে ধুঁকে মৃতবৎ জোম্বির মতো বেঁচে আছে অনেকেই। এ সংকটময় পরিস্থিতি থেকে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে উদ্ধার করতে হলে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।

আর সেজন্য শিক্ষাসহ যাবতীয় সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মনোভাব দূর করতে হবে। তার পরিবর্তে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। কেউ সাফল্য পেলে যেমন উদযাপন করতে হবে, তেমনই যে ব্যর্থ হচ্ছে তাকে অধিকতর দরদ দিয়ে বুকে আশ্রয় দিতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রতিটি মানুষের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। কারো কাজই ছোট নয়। এ বোধ জাগাতে হবে। সমাজ কারো একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যায় না, বরং সমাজের প্রতিটি সদস্য তার নিজ নিজ জায়গায় কার্যকর ভূমিকা রেখে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই সবাই যেন ন্যূনতম মর্যাদাটুকু পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং, এখনই সময় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যুগোপযোগী চিন্তা করা। অর্থাৎ পাশ কিংবা জিপিএ মুখ্য নয়, বরং প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন প্রকৃত শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হয়ে উঠতে পারে, সেটি নিশ্চিত করাই আমাদের বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত। পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে হাতে হাতে। সেই সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো সৃজনশীল করতে হবে। সর্বোপরি, জীবনকে গড়তে শিক্ষার বিকল্প নেই; কিন্তু সেই শিক্ষা যেন হয় সুশিক্ষা তথা আলোকময় শিক্ষা।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 

এমএসএম / এমএসএম

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ : গল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠুক সচেতনতার বাঁধ

রাজনীতি আজ নিলামের হাট: কুষ্টিয়া-৪ এ হাইব্রিড দাপটের নির্মম প্রতিচ্ছবি

জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিবে প্রবাসীরা, আনন্দে ভাসছে পরবাসে বাঙালীরা

বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা ও বাংলাদেশে তার প্রভাব

বাংলাদেশে ওয়াশিং প্ল্যান্টের বর্জ্য দ্বারা মিঠাপানির দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ

দলীয় পরিচয়ে পদোন্নতি ও বদলি: দুর্নীতির ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ

ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সমাধান: FBCCI-এর বিদ্যমান সেবার উৎকর্ষ সাধন

বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিসরকে একীভূত করা: অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য বিসিক কেন অপরিহার্য

সবুজ অর্থায়নের কৌশলগত বিশ্লেষণ: বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ