ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই বিশ্বজুড়ে


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ৯-৮-২০২৩ দুপুর ৩:১৮

বর্তমান যুগের দিকে থাকালে মনে হয়, এখন যেন 
বিক্ষোভের কাল চলছে। বৈরুত থেকে বাগদাদ, হংকং থেকে প্যারিস, সান্তিয়াগো থেকে দিল্লি, সাওপাওলো থেকে তেহরান, সব জায়গাতেই বিক্ষোভ হয়েছে। নতুন শতকের দ্বিতীয় দশকটা বিক্ষোভের সময় হিসাবেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবে। শুরুটা হয়েছিল তিউনিসিয়ায়। সবাই এর নাম দিয়েছিল আরব বসন্ত। দেশে দেশে আন্দোলন করছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ। হংকং শহরেই এক দিনে ১৭ লাখ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। গণ-আন্দোলনের মুখে কয়েকটি দেশে সরকারের পতনও হয়েছে। নতুন করে জাঁকিয়ে বসেছে স্বৈরতন্ত্র। কিন্তু এত মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে কেন? কেউ কেউ মনে করেন, গণতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে বলেই জনগণ পথে নামতে পারছে। বিপরীত মতও আছে। গণতন্ত্র এখন মহাসংকটে আছে। এই বিপরীত মতের অনুসারীর সংখ্যাই বেশি। নয়া উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রীতিনীতি নাগরিকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। আয়বৈষম্য বেড়ে যাচ্ছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব কিছুতেই মেলাতে পারছে না সাধারণ নাগরিকেরা। বিক্ষোভের কারণগুলো লক্ষ করলে দেখা যাবে, প্রতিটি বিক্ষোভের সঙ্গেই অর্থনৈতিক ইস্যু জড়িত। জাতিসংঘের তথ্য মতে, উন্নয়ন বলতে টেকসই উন্নয়নকে বোঝানো হয়। যদি উন্নয়ন টেকসই না হয়, তাহলে তা দেশ বা সমাজে আসলে ভূমিকা রাখতে পারে না। টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে এমন উন্নয়ন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিজেদের চাহিদা মেটাতে সক্ষমতার বজায় রেখে বর্তমানের চাহিদা পূরণ করে। টেকসই উন্নয়নের মূল ধারণায় যা রয়েছে, তা হলো-প্রয়োজনের ধারণা, বিশেষ করে বিশ্বের দরিদ্র মানুষেদের অপরিহার্য চাহিদা, যাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে পরিবেশের ক্ষমতার ওপর প্রযুক্তি এবং সামাজিক সংগঠনের রাষ্ট্র দ্বারা আরোপিত সীমাবদ্ধতার ধারণা। 

বাংলাদেশের সব উন্নয়ন কি দরিদ্র মানুষের কথা মেনে করা হয়েছে? পরিবেশ নিয়ে কতটা কাজ হয়েছে? এত এত উন্নয়নের ফল হয়েছে কিন্ত আমাদের দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছু, যা টেকসই উন্নয়নের প্রথম শর্তই ভঙ্গ করা হয়েছে। শুধু কি দরিদ্র জনগোষ্ঠী? অর্থনীতি সমিতি তাদের ছায়া বাজেট আলোচনায় দেখিয়েছিল, উন্নয়নের সঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণি যেখানে আরও বাড়তে পারত, সেখানে নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি হারিয়ে যাচ্ছে। এসব তো গেল টেকসই উন্নয়নের প্রথম অংশ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে পরিবেশের প্রশ্নটি গৌণ। দেদার গাছ কাটা হচ্ছে, সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো।কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র যেখানে বিশ্বের সবাই কমিয়ে ফেলছে, সেখানে আমাদের বড় অংশ আসছে কয়লা থেকে। স্বল্প সময়ের উন্নয়ন দেখাতে গিয়ে ভবিষ্যৎ মানুষের কথা কেউ কি ভেবেছে? উন্নয়নের আগে দরকার পুরো দেশের সংস্কার। ইউরোপ যখন তাদের অন্ধকার যুগ শেষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, সব খাতেই এসেছিল সংস্কার। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু তার জন্য দরকার ঐকমত্য ও পরিকল্পনা। যেমন-ইউরোপের ইতিহাস দেখলেই বোঝা যায়, তাদের ছোট ছোট পরিবর্তন আজ কোথায় নিয়ে এসেছে। আমাদের দেশও এখন তার প্রান্তসীমায় উপস্থিত। সমস্যা হচ্ছে, আমরা যে ইউরোপের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারব, তা মানুষের স্বপ্নে নেই; বরং সবকিছুতেই রয়েছে হতাশা। বিশ্বের সব উন্নত দেশই তাদের বেশির ভাগ অপ্রয়োজনীয় খাতকে বেসরকারীকরণ করেছে-নিজেদের আয়ে নিজেরা চলো। কিন্তু আমরা বেসরকারি খাতকে নষ্ট করে করে সবকিছুর মুখাপেক্ষী করে রাখছি সরকারি খাতকে। এই খাতের পুরোপুরি আধুনিকায়ন প্রয়োজন। তার সাথে সাথে দেশের সব খাতেই সংস্কার করার সময় এসেছে। 

দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কী হবে-তা নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। বিদেশি ঋণে বাস্তবায়ন করা বড় বড় প্রকল্পের অর্থ ফেরত দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সংকটে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূল্যস্ফীতি ও ডলারের বিপরীতে টাকার ধারাবাহিক অবমূল্যায়ন। এর বিপরীত মতও আছে। এই পক্ষ বলছে, বিদেশি ঋণে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলো খুব বেশি চাপ ফেলবে না দেশের অর্থনীতির ওপর। পোশাকশিল্পনির্ভর রপ্তানি আয় ও প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ দিয়ে পরিস্থিতি সামলে নেওয়া যাবে। তবে বিভিন্ন প্রকল্পে অতিরিক্ত ও অপরিকল্পিত ব্যয়, অর্থের লুট এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কারণে দেশের অর্থনীতি খুব একটা স্বস্তিতে নেই। মূলত, উদ্বেগজনক মানবাধিকার পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের সংকোচন ও বিরোধীদের ওপর সরকারি দলের অব্যাহত চাপের কারণে নানা ধরনের কথাবার্তা ডালপালা মেলছে। আমরা উন্নয়নের নানা ফিরিস্তি শুনি নিত্যদিন। বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু জনজীবনে এসব উন্নয়নের কোনো প্রতিফলন নেই; বরং নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সাধারণের জীবন। সব জিনিসেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। হাতের নাগালে থাকছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বাজারে সবজিতে হাত দেওয়ার অবস্থা নেই। চাল, ডাল ও তেলের দাম অনেক আগে বেড়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের অনেকেই বাজারে গিয়ে ফিরে আসছেন। মধ্যবিত্তদের অনেক হিসাব-নিকাশ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের উন্নয়নের সুফল কোথায় যাচ্ছে বা কারা এর সুফল ভোগ করছে? মূল বিষয় হচ্ছে, আমাদের অর্থনীতির আকার ও ব্যাপ্তি বাড়লেও অপখরচ ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে। নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

পাশাপাশি আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয়ের মধ্যে ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে। সরকারি হিসাবে এখন রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলার, আর আমদানি ব্যয় ৮০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে একপর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিলের ওপর আরও চাপ বাড়বে। সাদাচোখে আমরা বুঝতে পারি, উচ্চাভিলাষী বাজেট ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার এ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এ সংকট কাটাতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের হিসাবমতে, গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ করেছে ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। বিপরীতে মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুতের মতোই অন্যান্য খাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনার কথা বলে অগ্রহণযোগ্য ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় অপখরচ সম্পর্কে আমাদের সতর্ক হতে হবে। অনেকেই সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে চীনের ঋণের কথা বলছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের মতো বিভিন্ন খাতে লুটের কথা খুব বেশি বলছেন না। বিদেশি ঋণের চেয়ে এ ধরনের লুট বড় ধরনের সংকটের সৃষ্টি করতে পারে। সমস্যা ঋণের নয়; সমস্যা হচ্ছে নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। আমাদের অর্ধেক খরচে ভারত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। সড়ক নির্মাণের ব্যয় আমাদের দেশে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এসব অপব্যয় ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বিদেশি ঋণ না নিলেও ধসের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশ্বের দিকে থাকালে আমারা দেখতে পাই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবাদের ভাষা। তিউনিসিয়াতে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, দুর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদে বুআজিজি নামের এক ফেরিওয়ালা গায়ে আগুন দিয়েছিল। 

এবং বলতে শোনা গিয়েছিল, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিয়মকে যদি বদলাতে না পারো, তবে নিজেকেই ক্ষোভের আগুনে পুড়িয়ে দাও। সেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ে খাক হয়েছিল অভিমানী আজিজি। চিলিতে গণপরিবহনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে। তেহরানে গ্যাসের দাম বৃদ্ধিকে নাকচ করে বিক্ষোভ হয়েছে। ভারতে শত শত কৃষক ঋণের দায় মাথায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। একটি কথা বারবারই উচ্চারিত হচ্ছে, নয়া উদারবাদী অর্থনৈতিক কাঠামো আর কাজ করছে না। এটা কেন কাজ করছে না এবং এর পরিনতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন গবেষকরা। সমাজে নয়া উদারবাদী ব্যবস্থার প্রত্যক্ষ প্রভাবকে চিহ্নিত করেছেন গবেষকেরা এভাবে: সমাজে এখন আয় ও সম্পদের চরম বৈষম্য বিরাজ করছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসুচির হিসাব অনুসারে, ১৯৯০ সালের তুলনায় উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে। এই দেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ট জনসাধারণই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্বের দশমিক ১ শতাংশ মানুষের আয় মধ্য আয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের আয়ের সমান হয়ে যাবে। এর বড় উদাহরণ হতে পারে আমাদের দেশ। সম্প্রতি সানেমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড- ১৯-এর কারণে বর্তমানে দেশে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, কোভিড-১৯-এর আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ শতাংশ। এক বছরে দারিদ্র্য বেড়েছে ২২ শতাংশ। কিন্তু গত এক দশকে দেশের মানুষের আয় বেড়েছে। এখন গড় আয় ২০২৪ ডলার। মাথাপিছু আয় এই পর্যায়ে বৃদ্ধির পর হুট করে এক বছরে দারিদ্র্য এতটা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা না। ধরে নিলাম, মাথাপিছু ২০২৪ ডলার করে আয় হচ্ছে। তাহলে বাস্তব অবস্থা হচ্ছে গুটিকয় মানুষের আয় ২০২৪ ডলারের অনেক অনেক বেশি। আর কিছু মানুষের আয় একেবারেই কম। তাই দারিদ্র্যও বাড়ছে। যে কারণে কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় ২২ শতাংশ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। 

আবার কোভিডের সময় দেশে কোটিপতির সংখ্যাও বেড়েছে। বৈদেশিক আয়ও বেড়েছে। নয়া উদারবাদী অর্থনীতির ফাঁকিটাই এখানে। যদি পরিসংখ্যান ও উপাত্তের হিসাবে যান, তাহলে দেখতে পারবেন সবগুলো সূচকই ঊর্ধ্বগামী। আয় বাড়ছে, কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, গরিবের সংখ্যাও বাড়ছে। এটা শুধু আমাদের দেশেই না। বা কেবলই উন্নয়নশীল ও গরিব দেশেই না। গরিবের সংখ্যা এখন উন্নত দেশেও বাড়ছে। ফ্রান্সে দুই বছর ধরে নিয়মিত বিক্ষোভ হচ্ছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও একই পরিস্থিতি। নিজস্ব অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে না পেরেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে ব্রিটেন।দশকজুড়েই সারা বিশ্বে গণ-বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ গণতন্ত্র ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে।কার্নেগি এনডাও- মেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের হিসাব অনুসারে, ২০১৭ সাল থেকে ১১০টি দেশে ২৩০টি বিক্ষোভ হয়েছে। ৭৮ শতাংশ কর্তৃত্ববাদী সরকার বিক্ষোভের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতি যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে না-পারায় ২৫টি দেশের জনতা বিক্ষোভ করেছে। নয়া উদারবাদী অর্থনীতির আরেকটি দিক, শাসকদের এটা গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরার সুযোগ করে দেয়। উন্নয়নের বিভিন্ন ঊর্ধ্বমুখী সূচক ও উপাত্তের আড়ালে নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে যায়। উন্নয়ন না গণতন্ত্র, এ কুতর্কে লিপ্ত হয় জনসাধারণ। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, অনিয়ম ও অদক্ষতার কারণে জনমনে ক্ষোভও তৈরি হতে থাকে। কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের ২০১৯ সালের জরিপে দেখা যাচ্ছে, মেক্সিকোর ৮৫ শতাংশ, ৮৩ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান, ৭০ শতাংশ তিউনিসিয়ান, ৬৪ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকান ও ৬৩ শতাংশ আর্জেন্টাইন নাগরিক সরকারের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট। অন্যান্য দেশেও দিন দিন হতাশা বাড়ছে। কিন্তু এই হতাশার দিন একদিন নিশ্চয়ই ফুরাবে। ১৯ ও ২০
শতকে ছিল উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের যুদ্ধ। এখনো লড়াই জারি আছে। এটা হচ্ছে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। এই সংগ্রামে লাখো মানুষের হাত ধরে বৈষম্যহীন পৃথিবীতে নতুন এক ভোরের সূচনা হবে এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। 

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 

এমএসএম / এমএসএম

মেহেরপুরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসে আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

বড়লেখায় দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ২, টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার

কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা অর্ধগলিত মরদেহটি সনাক্ত হয়েছে

সিংড়ায় রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রোধ করলেন সাব রেজিস্ট্রার

দাউদকান্দিতে খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন

হাতিয়ায় নদী ভাঙ্গনের কবলে দুটি বিদ্যালয়, রক্ষার দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

রাণীনগরে চাকু ধরে ব্যবসায়ীর ৫লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

কক্সবাজারে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, প্রাণ গেল চারজনের

মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছধরা উন্মুক্ত

বন রক্ষায় বন বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে; পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

সিংড়ায় অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন, র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ২

হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ ; আটক ২

মনোহরগঞ্জে মডেল মসজিদ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন দুর্ভোগে মুসল্লিরা