দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি: মাস শেষে মিলছে না শিক্ষার্থীদের হিসাব
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগাম যেন টানার কেউ নেই। বছরের ব্যবধানে অধিকাংশ জিনিসপত্রের দাম এখন দ্বিগুণ। এই দামের প্রভাব পড়েছে ঢাকার শিক্ষার্থীদের মেস ও আশেপাশের হোটেলের খাবারের দামে। এ অবস্থায় খরচের হিসেব মিলছে না শিক্ষার্থীদের। প্রতিমাসে নির্ধারিত বাজেটের টাকা দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। রাজধানীর নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলো সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৭৪ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৮৫, লাউ ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, মরিচ ২৪০-৩০০ টাকা, আলু ৪০-৪৫ টাকা, ডাল ১৩৫, টমেটো-২১০-২২০, রসুন- ২২০। এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে এখন লিটার প্রতি ১৬৫-১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরিবের মাছ খ্যাত তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস এর দামও শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে নেই।
ওদিকে হল কিংবা মেসের শিক্ষার্থীদের কাছে ডিম একটি নিত্যদিনের খাবার। উচ্চমূল্যের বিভিন্ন সবজি কিংবা মাছ ও মাংস কিনতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীরই শেষ ভরসা যখন ডিম তখন এই পণ্যটির দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৭০ টাকা ছুঁয়েছে।
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মো. নাইম ইসলাম জানান, ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের যা উর্ধ্বগতি ঢাকা শহরে টিকে থাকায় কষ্টকর। আমরা কয়েকজন ছাত্র মিলে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকি। সচরাচর মিলে জনপ্রতি ৭০-৮০ টাকা করে আসত। কিন্তু বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের এমন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ-মাংস খাওয়া কমিয়েও ১০০-১১০ টাকায় মিল হচ্ছে না। এদিকে টিউশনি করে যে টাকা পাই পড়ালেখাসহ অন্যান্য খরচ করে মাসের ২২-২৩ তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর মাসের বাকি শেষ দিনগুলো বা টিউশনির বেতন পাওয়া পর্যন্ত দিনগুলো কাটাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
আবার শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক টিউশনিতেও ভাটা পড়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আগের মতো টিউশনি পাচ্ছেন না তারা। আগে যেখানে একজন শিশু শিক্ষার্থী দুজনের কাছে পড়ত, এখন সেখানে একজনের কাছে পড়ছে। অনেকেই পড়ছে পরিবারের কোনো সদস্যের কাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, খাবার হোটেলগুলোতে খাবারের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। দোকানীরা বলছে, সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বিধায় তাদেরও খাবারের দাম বাড়াতে হচ্ছে। এই বিষয়ে নীলক্ষেত এলাকার এক হোটেল ব্যাবসায়ী জানান, ‘আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা কি করব, সব জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। কমার কোনো নাম নেই। আমাদেরও তো পরিবার আছে। পেট চালাতে হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে, আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু নিয়ন্ত্রন রাখার, আপনাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। যদি কোথাও অনিয়ম দেখেন তাহলে আমাদের হট লাইন ১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়াও যে ব্যক্তি অভিযোগ জানাবেন বা প্রতারিত হয়েছেন সে ২৫% টাকা পাবেন।
এমএসএম / এমএসএম
জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন
জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ নির্বাচন: সাধারণ সম্পাদক পদে তরিকুল ইসলামের ইশতেহার ঘোষণা
মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি
ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ
ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত
ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ