ঢাকা বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেন যাওয়া নিয়ে সংশয়


সৈয়দ আককাস উদদীন, সাতকানিয়া  photo সৈয়দ আককাস উদদীন, সাতকানিয়া
প্রকাশিত: ১৩-৮-২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ প্রকল্পের সাতকানিয়া অংশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ তছনছ হয়ে গেছে। পানির তোড়ে লাইনের পাথর, মাটি নিশ্চিহ্ন হয়েছে। কোথাও কোথাও কঙ্কালের মতো শুধু লোহার লাইনটুকু ঝুলে আছে।
 
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পানি কমে এলাকা না শুকালে মেরামতের কাজ টেকসই হবে না। তাছাড়া আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরে নয়, অক্টোম্বর মাসে উদ্বোধন হতে পারে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের স্বপ্নের এই রেলপথ।
 
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পানির তোড়ে তছনছ হয়ে পড়া রেললাইন মেরামত কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু পানি নেমে গেলেই হচ্ছে না, লাইন এলাকায় মাটিও শক্ত হতে হবে। তবেই কাজ শুরু সম্ভব হবে। এর আগে কাজ শুরু করলে আবার বিপর্যয়ে পড়তে হবে।
 
গতকাল শনিবার সরেজমিন সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনিসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রেল প্রকল্পের সাতকানিয়া অংশের কয়েকটি অংশে রেললাইন থেকে একেবারে পাথর সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় পাথর পাশের জমিতে গিয়ে পড়েছে। রেললাইন দেবে গেছে, রেলবিটও উঠে গেছে। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, শত বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা তারা দেখেননি। এজন্য তারা দায়ী করছেন দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পকে। সমতট, পাহাড় ও বিলঘেঁষে নির্মিত এ প্রকল্পে পর্যাপ্ত ব্রিজ, কালভার্ট না থাকায় বন্যার পানি সরতে পারেনি। ওই এলাকায় বন্যা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার বন্যা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি-বিপর্যয় এতটা হয়নি।
 
সাতকানিয়ার বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, এমন বন্যা আগে হয়নি। সবাই বলছে এর জন্য নতুন রেলপথ দায়ী। লাইনে আরও দ্বিগুণ ব্রিজ-কালভার্ট থাকা প্রয়োজন ছিল।স্থানীয় কামাল হোসেন বলেন, রেললাইন অনেক উঁচু করা হয়েছে। বিগত সময়ে যেসব বন্যা হয়েছিল-সে সময় লাইন ছিল না। বিনা বাধায় পানি নেমে যেত। এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।
 
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, সাতকানিয়া এলাকায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের হাতে যে সময় আছে, তার মধ্যেই ঠিক করে ফেলতে পারবো। কক্সবাজারের রেলপথ উদ্বোধন আগামী অক্টোবরের মধ্যেই হবে।
 
জানা যায়, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের এই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

এমএসএম / এমএসএম

বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা

নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ

কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে

বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩

নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম

৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা

ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাই

রাণীনগরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডের মতবিনিময় সভা