ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেন যাওয়া নিয়ে সংশয়


সৈয়দ আককাস উদদীন, সাতকানিয়া  photo সৈয়দ আককাস উদদীন, সাতকানিয়া
প্রকাশিত: ১৩-৮-২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ প্রকল্পের সাতকানিয়া অংশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ তছনছ হয়ে গেছে। পানির তোড়ে লাইনের পাথর, মাটি নিশ্চিহ্ন হয়েছে। কোথাও কোথাও কঙ্কালের মতো শুধু লোহার লাইনটুকু ঝুলে আছে।
 
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পানি কমে এলাকা না শুকালে মেরামতের কাজ টেকসই হবে না। তাছাড়া আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরে নয়, অক্টোম্বর মাসে উদ্বোধন হতে পারে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের স্বপ্নের এই রেলপথ।
 
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পানির তোড়ে তছনছ হয়ে পড়া রেললাইন মেরামত কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু পানি নেমে গেলেই হচ্ছে না, লাইন এলাকায় মাটিও শক্ত হতে হবে। তবেই কাজ শুরু সম্ভব হবে। এর আগে কাজ শুরু করলে আবার বিপর্যয়ে পড়তে হবে।
 
গতকাল শনিবার সরেজমিন সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনিসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রেল প্রকল্পের সাতকানিয়া অংশের কয়েকটি অংশে রেললাইন থেকে একেবারে পাথর সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় পাথর পাশের জমিতে গিয়ে পড়েছে। রেললাইন দেবে গেছে, রেলবিটও উঠে গেছে। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, শত বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা তারা দেখেননি। এজন্য তারা দায়ী করছেন দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পকে। সমতট, পাহাড় ও বিলঘেঁষে নির্মিত এ প্রকল্পে পর্যাপ্ত ব্রিজ, কালভার্ট না থাকায় বন্যার পানি সরতে পারেনি। ওই এলাকায় বন্যা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার বন্যা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি-বিপর্যয় এতটা হয়নি।
 
সাতকানিয়ার বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, এমন বন্যা আগে হয়নি। সবাই বলছে এর জন্য নতুন রেলপথ দায়ী। লাইনে আরও দ্বিগুণ ব্রিজ-কালভার্ট থাকা প্রয়োজন ছিল।স্থানীয় কামাল হোসেন বলেন, রেললাইন অনেক উঁচু করা হয়েছে। বিগত সময়ে যেসব বন্যা হয়েছিল-সে সময় লাইন ছিল না। বিনা বাধায় পানি নেমে যেত। এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।
 
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, সাতকানিয়া এলাকায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের হাতে যে সময় আছে, তার মধ্যেই ঠিক করে ফেলতে পারবো। কক্সবাজারের রেলপথ উদ্বোধন আগামী অক্টোবরের মধ্যেই হবে।
 
জানা যায়, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের এই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

এমএসএম / এমএসএম

রাজবাড়ীতে বাড়ি থেকে মাকে বের করে দিল ছেলে-পুত্রবধূ!

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে সিএসও