ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেয় সাবেক স্ত্রীর মুখ,অবশেষে গ্রেফতার


আরাফাত হাসান, মাদারীপুর photo আরাফাত হাসান, মাদারীপুর
প্রকাশিত: ২৫-৮-২০২৩ বিকাল ৫:১০
দীর্ঘদিন ধরে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়ানো ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় স্বামী সুমন শিকদারকে তালাক দিয়ে দেয় স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তালাক দেয়ার কিছুদিন পর অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয়ে যায় স্ত্রীর। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন প্রাক্তন স্বামী সুমন শিকদার। প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেয় সাবেক স্ত্রীর মুখ। 
 
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরচর এলাকা থেকে সুমন শিকদারকে গ্রেপ্তার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। পরে শুক্রবার(২৫ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। 
 
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানায়, প্রেমের সম্পর্কে ৪ বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরের চর এলাকার সিরাজ শিকদারের ছেলে সুমন শিকদারের সাথে বিয়ে একই এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের। তাদের ঘরে এক শিশু কন্যা সন্তানও রয়েছে। সংসার জীবনের শুরু থেকেই সুমনের কাজে অনিহা ও মাদকসেবী হওয়ার কারনে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। একপর্যায়ে সাদিয়া তাকে তালাক দিয়ে দেয় এবং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। একথা সুমনের কানে পৌঁছাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সে। পরে ঘটনার দিন বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে সুমন সাদিয়ার উপর এসিড ছুড়ে মারে। এসিডে সাদিয়ার মাথা, মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা সাদিয়াকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করে। বর্তমানে সাদিয়া সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। 
 
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরো বলেন, এ ঘটনায় পরের দিন সকালে ভুক্তভোগী সাদিয়া আক্তারের বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি এসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পর পর গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সুমন শিকদার। ঘটনার পর তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরচর হতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এছাড়াও তার সাথে আরো কয়েকজন সহযোগী ছিলো বলেন নিশ্চিত করে। তাদের ধরতে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
 
এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এ এম ফরহাদ রাহী মীর বলেন, মামলা গ্রহণের পর আমরা অভিযান পরিচালনা করে শিবচর ও জাজিরা পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তবে তিনি তার ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রেখে সুকৌশলে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়। ফলে তাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো। 

এমএসএম / এমএসএম

রায়গঞ্জে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

‎ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর যুবকের আত্মহত্যা

কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বোদায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নোয়াখালীতে এরাবিয়ান সিটি নামে হাউসিং সোসাইটির উদ্বোধন

কবিরহাটে কর্মরত সাংবাদিকরা রাজনৈতিক প্রোগ্রাম বয়কটের ঘোষণা

নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে বাবুরহাট বাজারে প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন

কেরানীগঞ্জে রাফিয়া প্রাঃ হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে ফাইদা নেওয়ার অভিযোগ।

'ছয় মাসে সন্দ্বীপ থেকে অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুল করবো -জনসভায় মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন

সীমাখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জর গোমস্তাপুরের ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

সিংগাইরে ৩ টি ভূমি অফিস নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন বিভাগীয় কমিশনার শরফউদ্দিন আহমদ চৌধুরী