ছাত্রকে এস এস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করলো শিক্ষক

নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষে এস এস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে এক শিক্ষক।মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সোনাইমুড়ী উপজেলার কাশিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়,কাশিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) নূরে আলম তুহিন শ্রেণিকক্ষে দুষ্টুমি করার অপরাধে নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের নাঈম নামের শিক্ষার্থীকে স্কুলে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত এস এস পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে নাঈমের শরীরে আঘাত করার ঘটনায় শ্রেণিকক্ষের অন্য শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনার সময় ঐ শিক্ষক ছাত্রকে বাজে ব্যবহার করে ধমক দেয় বলেও জানায় নাম প্রকাশে একাধিক শিক্ষার্থী।
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপর এমন শারীরিক নির্যাতন শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্থ হয় বলে মনে করেন অভিভাবকরা।এদিকে শিক্ষার্থী নাঈমের শরীরে আহত ক্ষতস্থানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুক) পোস্ট করে বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা এড.আলাউদ্দিন জানান,তুহিন স্যার মারছে কথা সত্য তবে এখন বিষয়টি আমরা বসে সমাধান করে ফেলেছি। আমরা চাই না এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে। ঐ শিক্ষক আমাদের আত্মীয় হয় তাই আমরা সল্ভ করে নিয়েছি নিজেদের মধ্যে। এসব জিনিস বিদ্যালয়ে রাখা বিপদজনক।
মারার বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষক নুর আলম তুহিন বলেন,শ্রেণিক্ষে মেয়েদের গায়ে বল ছুঁড়ে মেরেছে ঐ ছাত্র তাই তাকে মেরেছি। তবে এস এস পাইপ নয় নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত অংশ দিয়ে কয়েকটা বেত দিয়েছি। বেতের আঘাতে অবশ্য সে ব্যথা পেয়ে কান্নাকাটি করেছে। যদিও এখন বেতের যুগ নেই,বেত দিয়ে মারাও নিষেধ। আর ঐ শিক্ষার্থী আমার ভাতিজা হয়। পরে আমরা আমরা বসে ম্যানেজিং কমিটি,মেম্বার, শিক্ষক,অভিভাবকরা বসে মিট করে নিয়েছি তাদের সাথে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.নাজিম উদ্দিন বলেন,সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে শ্রেণিকক্ষে বেত নেয়া নিষিদ্ধ করেছে সুতরাং কোনো শিক্ষক যদি বেত দিয়ে আঘাত করে শিক্ষার্থীদের তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধ করলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য,২০১০ সালের ৯ আগস্ট সরকার একটি পরিপত্র জারি করে। ওই পরিপত্রে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১১ ধরণের আচরণ নিষিদ্ধ করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার চেষ্টা

'মাছে ভাতে বাঙালি' প্রবাদটি বর্তমানে শুধুমাত্র বইপুস্তকেই সীমাবদ্ধ

তালায় বিএনপি'র ত্যাগী ও পরীক্ষিত এক যোদ্ধার নাম আব্দুর রকিব সরদার

অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণে জলাবদ্ধতায় শত একর জমি চাষের অনুপযোগী

পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত

বরিশালের বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়নে বিএনপি'র পথসভা অনুষ্ঠিত

মাদকমুক্ত টুঙ্গিপাড়া গড়বঃ নবাগত ওসি

ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা" তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণ

কুমিল্লার মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

ঈশ্বরদীতে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করণ করা হয়েছে

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা

মাতাশমঞ্জিল মুক্ত খেলাঘরের উন্নয়নকল্পে ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন ছাত্রনেতা শামীম হোসেন
