ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

গোল্ডেন লাইফের বীমার টাকা পাচ্ছেনা গ্রাহকেরা, নেপথ্যে আমজাদ কনকের দুর্নীতি


ওমর ফারুক photo ওমর ফারুক
প্রকাশিত: ৩-১০-২০২৩ দুপুর ২:২২
 অনিয়ম, দুর্নীতি আর পলিসির মেয়াদ শেষ হলেও গ্রাহকের বীমা দাবির টাকা পরিশোধ করছেনা গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ।। জানাগেছে, কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক  আমজাদ হোসেন কনকের মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যায়, ফেইক পলিসি, নূন্যতম নবায়ন ব্যবসা অর্জনে ব্যর্থতা, তদবির বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতিসহ নানা কারণে  দেউলিয়াত্বের পথে গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স।  
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
 
আরো জানাযায়, আইডিআরএ’র কাছে কয়েক হাজার অভিযোগ জমা পেড়েছে। জমানো টাকা ফিরে পেতে প্রতিদিনই তারা আইডিআরএ অফিসে ভিড় করছেন। পলিসির মেয়াদ শেষ হলেও বছরের পর বছর গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করছেনা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বীমা গ্রহীতা অধিক সংখ্যায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করছেন এবং মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের অবহিত করছেন।
 
কনকের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানাযায়,এর আগে তিনি স্বদেশ লাইফ, পদ্মা ইসলামি লাইফ ও ডায়মন্ড লাইফ এর মতো কোম্পানি গুলোতে এমডি হতে তদবির করে ব্যর্থ হওয়া ওয়ারেন্ট ভুক্ত কাগজে কলমে পলাতক আসামি আমজাদ  প্রকাশ্যে এসে প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুইরেন্স এ মূ্খ্য নির্বাহী হতে ইন্টারভিউ দিতে হাজির হয় এবং এই বিষয়টা আবার টাকার বিনিময়ে একটা নাম সর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচারও করে। বিষয়টা এখন ইন্সুইরেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে টক অব দ্যা ইন্সুইরেন্স। 
 
অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, আমজাদ  তদবির করেই গোল্ডেন লাইফের  নির্বাহী পদে নিয়োগ নেন। নিয়োগের পর হতে কোম্পানিটিকে যথাযথ ভাবে পরিচালনায়, গ্রাহকের দেনা পরিশোধে ও ব্যবসায়িক লক্ষ মাত্রা অর্জনে দীর্ঘ সময় ধরে মারাত্মক ভাবে ব্যর্থ হলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ(ইডরা) সেখানে বোর্ড স্থগিত করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রেক্ষাপট বুঝে মালিক পক্ষ  বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে  তদবির বাণিজ্যের কারণে  আমজাদ হোসেনকে পুনরায় পদে বহাল রাখেন। পরে তৌহিদুল আলম নামক একজনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এক পর্যায়ে  গ্রাহকের দায় পরিশোধ করে কোম্পানিকে লাভজনক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে তেজগাঁওয়ে কোম্পানির নামে ক্রয়কৃত  স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে পরিচালকগন তাদের সুনাম রক্ষায় বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ বুঝিয়ে দেন। ২০২০/২১ সালে মালিক পক্ষ থেকে উক্ত নগদ ৫০ কোটি টাকা বুঝে নিয়েও গ্রাহকদের বীমা দাবির টাকা দেওয়া হয়নি। পরে  উপদেষ্টার সাথে যোগসাজশে নিজেদেরকে আরও বিত্তশালী করে তুলেন,নানাভাবে কোম্পানির টাকা গিলে খাওয়ার কাজে লিপ্ত থাকেন।
 
 অপরদিকে কোন ধরনের বিধিনিষেধ ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের না করে এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৬/৭ মাসের বেতন বকেয়া থাকার পরও  দুর্নীতিতে ডুবে থাকা আমজাদ এক ধাক্কায় নিজের বেতন দ্বিগুণ বাড়িয়ে নেন। রাতারাতি মালিক বনে যান একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের। 
এসব অভিযোগের ব্যাপারে কনকের সাথে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়েছে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং কি অফিসেও তাকে পাওয়া যায়নি। আমজাদ হোসেন কনকের দুর্নীতির ধারাবাহিক  দ্বিতীয় পর্ব আসছে,,,।

এমএসএম / এমএসএম

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত

চৌগাছা সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যহত