ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

খানসামায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থাকলেও চিকিৎসক নেই


জসিম উদ্দিন, খানসামা photo জসিম উদ্দিন, খানসামা
প্রকাশিত: ৭-১০-২০২৩ বিকাল ৫:৪

নাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। অথচ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি'র উদ্বোধনের পরও কার্যক্রম নেই ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের।
মা ও শিশু হাসপাতাল গরিব মানুষের একটি আস্থার নাম। হাসপাতালের ভবন আছে, রোগীদের বেডও আছে, প্রচুর রোগীও আছে; চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও আছে। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। এছাড়াও রয়েছে ভবন নির্মাণের অনিয়মের অভিযোগ। এ অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নে স্থাপিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৪ সালের ১০ই মে কাজ শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করে উদ্বোধন করা হয়। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। শুধু কি তাই, রয়েছে ভবন তৈরির অভিযোগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুধুমাত্র নরমাল ডেলিভারি করতে একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন নার্সিং অ্যাটেন্ডমেন্ট, একজন ফার্মাসিস্ট, পাহারাদার ও ঝাড়ুদার রয়েছে। সিজিয়ারিয়ানের নেই কোন ব্যবস্থা। এছাড়াও দেখা মেলেনি কোন চিকিৎসকের। ভবনে অধিকাংশ স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল, বৈদ্যুতিক নিম্ন মানের তারের কারনে শর্টসার্কিট এর মত ঘটনা ঘটেছে।

সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী রহিমা খাতুন সকালের সময়কে জানায়, 'এখানে আসিয়া কোন লাভেই নাই। শুধুমাত্র চেকআপ ছাড়া কিছুই করা যায় না।'

সেবা নিতে আসা আরেক ভুক্তভোগী মুন্না বলেন, 'আমার ছেলের অনেক জ্বর, চিকিৎসা নিতে বাইরে যাচ্ছি। কি আর বলব! এটা নামে মাত্র মা ও শিশু কামে নয়।'

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আরফান সিরাজ বলেন, 'এখানকার বৈদ্যুতিক তার খুবই নিম্নমানের ও ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভবনের কিছু  অংশ মেরামত করি।'
উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সীমা নাথ বলেন, 'এখানে জনবল না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে, তারপরেও আমাদের  যতটুকু জনবল আছে তা দিয়ে সাধ্যমত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই হাসপাতালে প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ জনের স্বাভাবিক প্রসব হয়।'
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অতিরিক্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান হারুন  জানান,'আমরা চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি ৪৫ তম বিসিএস এর ডাক্তারগণ নিয়োগ হবে। এই চিত্র শুধু খানসামা উপজেলায় নয়। বাংলাদেশের সবস্থানেই এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।'

জানতে চাইলে দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাড়া মেলেনি।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত