ভিসা স্যাংশনকে ছোট করে দেখা সমীচীন হবে না

বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি
আরোপ করেছে। এর সঙ্গে কূটনীতি, রাজনীতি এবং অর্থনীতিসহ অনেক বিষয় জড়িত। তবে এটি এককভাবে কোনো দল নয়-দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলের আচরণেও প্রভাব ফেলবে। তবে সামগ্রিকভাবেই যা দেশের জন্য ইতিবাচক নয়। কারণ নির্বাচন ইস্যুতে এই পদক্ষেপ বিশ্বে বিরল। এছাড়া এই ঘটনা বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেললে তা সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি আমাদের নেই। আর এই পরিস্থিতির জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা দায়ী।সম্ভবত বাংলাদেশকে ওয়াশিংটন এটা বোঝাতে চাইছে যে তারা কোন বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়-এমন ধারণা ঠিক নয়। কারণ বাংলাদেশে এমন একটা ধারণা অনেকের আছে যে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান সরকারের বিরোধী, যেহেতু তারা এ সরকারের অনেক সমালোচনা করেছে। কিন্তু এই নতুন ভিসা নীতিতে এটা পরিষ্কার যে এর আওতায় সরকার ও বিরোধীদল উভয়ের লোকেরাই পড়বেন-যদি তারা অবাধ-সুষ্ঠূ নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন। ফলে এটা হয়তো যুক্তরাষ্ট্র যে একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা নিচ্ছে এ ধারণা জোরদার করার জন্যই নেয়া হয়েছে।
এছাড়া এবার একতরফা নির্বাচন হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু কোনো দলের খুব বেশি খুশি হওয়ার কারণ নেই। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে-ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চাকে সহিংসতার মাধ্যমে বাধাদান। পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলসহ আমাদের সবার জন্য একটি বার্তা। তাদের এ ধরনের বার্তায় দেশ ও জাতি আজ হতবাক। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে এক ধরনের চাপে ফেলা। এর পেছনে বড় কারণ আমাদের সব রাজনৈতিক দলের ব্যর্থতা। যেজন্য আজ আমরা এই পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছি। আর এখানেই আমাদের উদ্বেগের জায়গা। বুঝা যাচ্ছে,যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একধরনের টানাপোড়েন বিরাজ করছে। তবে কতগুলো জায়গা রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অর্থনীতি অন্যতম। সত্যি বলতে দ্বিধা নেই, পৃথিবীর অনেক দেশ এখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেই। এর মধ্যে কিছু দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্রও নেই। কিন্তু ওইসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আছে। ওইসব দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বাতিলের যে কথা বলেছে, এটা একক কোনো দল বা সরকারকে বলেনি। সবার জন্যই প্রযোজ্য। এখানে সরকার, যে কোনো রাজনৈতিক দল, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের পরিবারকেও রেখেছে। তার মতে, এত বড় পরিধি রেখে একটি সিদ্ধান্ত নিল এবং তারা এটা কীভাবে নির্ধারণ করবে, সেটি এখনও পরিষ্কার নমস্কার নয়। এখানে ভিসা বাতিল বড় ব্যাপার নয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত আসাটা অবশ্যই একটা বড় চাপ।
বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে যাচ্ছে, তারাও একটা চিন্তার মধ্যে পড়বে। অবশ্যই একটি বিষয় বোঝা যাচ্ছে যে, এবার একতরফাভাবে নির্বাচন করে ফেলার মতো পরিস্থিতি হয়তো থাকবে না। পাশাপাশি বাংলা দেশের জনগণের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। তারা আগের পরিস্থিতিতে নেই। অর্থাৎ ২০১৮ সাল এবং এখনকার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তাছাড়া বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্রভাব আছে। সে কারণে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিদ সেখানে বাড়ি-গাড়ি করেছে। তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়াশোনা করছে। ফলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সবার ওপরে একটি চাপ পড়বে এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং এটি ভেবে দেখার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের সিদ্ধান্তের কথা খুব একটা শুনা যায়নি। কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে যা দিয়েছে সেইসব দেশগুলো থেকেও এসব ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। ফলে বিষয়টি একটু কঠিনই মনে হচ্ছে। গত দুটি নির্বাচনে ব্যাপক হারে একটি বিষয় ফুটে উঠেছিল। ফলে এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের চিহ্নিত করার মাপকাঠি কী সেটি একটি প্রশ্ন। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে: ঢালাওভাবে একতরফা নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে, মানুষ ভোটের অধিকারই পাচ্ছে না। এবং
নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া। তবে স্বচ্ছ হওয়া অনেক প্রক্রিয়ার ব্যাপার। অনেক আগে থেকেই তা আরম্ভ হয়।
এটি শুধু ভোটের দিনের বিষয় নয়। মানুষ যেদিন ভোট দিচ্ছে, তার আগে-পিছেও অনেক ভয়ভীতি কাজ করে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনকে ফোকাস করার চেয়ে প্রক্রিয়াকে ফোকাস করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের পর সরকারি দল বলছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিরোধী দলও এটাই চায়। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে
ইতিবাচকভাবে দেখছেন সুশীল সমাজের অনেকেই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণায় বলা আছে,স্বাধীনতার অর্থ হলো আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার। তাই এক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমাদের সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। একই সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে। যেখানে নিশ্চিত হবে সুশাসন। এর ফলে যে আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি সার্থক হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। গণতন্ত্র ও নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যেসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলছে, তা অন্যায় প্রতিরোধমূলক। অর্থাৎ অন্যায় প্রতিরোধে সহায়তা করবে। আর কেউ অন্যায় না করলে, সেগুলো প্রয়োগ হবে না। যেসব অপরাধের ব্যাপারে পদক্ষেপের কথা বলছে, বাংলাদেশে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং নির্বাচনি আচরণ বিধিতেও সেগুলো অপরাধ। ফলে নির্বাচনি অপরাধ ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। এতে বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখার কারণ নেই। তবে নির্বাচনে কারা বাড়াবাড়ি করছে, কারা সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে এবং মানুষকে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে, এটি তো দেখাই যায়। সবাই জানে। এখন মূলত আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং অন্যদের আচরণ যেন নিরপেক্ষ হয়, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, আমাদের অনেকের ছেলেমেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে আছে। তাদের ওপরও প্রভাব পড়বে। বাবা-মা অপরাধ করলে সন্তানকে কেন শাস্তি ভোগ করতে হবে! এমন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কাউকে শাস্তি দেওয়া নয়। অপরাধ বন্ধ করা। ফলে অপরাধ না করলে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক কথা হলো-আমাদের দেশে একশ্রেণির মানুষ, যারা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, পেছনে তারা অন্যায় কাজ করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে, তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাবে না। সরকারও এ ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজি নয়। সেক্ষেত্রে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে,যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ কীভাবে কাজ করবে। এমন ভাবনা থেকেই যাচ্ছে জনমনে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তাদের নতুন নীতি আমলে নেবেন কি না, সেটি দেখার বিষয়। তবে আমলে না নিলে বেশকিছু ঝুঁকি নিতে হবে। যেমন: যে কোনো বিচারে বা যে স্তরে মূল্যায়ন করা হোক, দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এর মধ্যে অন্যতম কূটনৈতিক সম্পর্ক। এছাড়াও রাজনীতি, অর্থনীতি, নিরাপত্তা সহ সব খাতেই ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক এই জায়গাতেও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে আছে। দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) আসছে, এর বড় একটা অংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বাংলা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় একক বাজারও যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক সেখানে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এসব বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এগোতে হবে। বাংলাদেশের এ মুহূর্তে অন্যতম সমস্যা রোহিঙ্গা সংকট। এখানে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে আমরা যেভাবে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছি, সেখানে দুটি দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বড় সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিবছর ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের যে বিদেশি অনুদান আসে, এর সবচেয়ে অংশ অবদান যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে যে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে যে মামলা হয়েছে, এর সবচেয়ে বলিষ্ঠ সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, করোনার সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন এসেছে। অন্যদিকে বহুপাক্ষিক দিক মূল্যায়ন করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে যে কাজ করছে, সেখানে তাদের সহযোগিতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরও সহায়তার বিষয়টি হচ্ছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং অপারেশনের বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহে।
এছাড়াও শান্তি রক্ষা মিশনে তারা সবচেয়ে বেশি অনুদান দেয়। মোট অনুদানের ২৮ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে। এসব বিবেচনায় নিয়ে নতুন নীতি আমলে নিলে এক কথা আর না নিলে এসব বিষয়ে ঝুঁকি নিতে হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে কিনা, তা নির্ভর করছে সরকারের প্রতিক্রিয়ার ওপর। তবে কোনো কারণে আমদানি ও রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যা সামাল দেয়া খুবই কষ্টসাধ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্যিক অংশীদার। একক দেশ হিসাবে ওখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য বড় বাজার। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম সারিতে রয়েছে। ফলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হয়, এমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কাছ থেকে কিছু কিনব না, এটি অর্থনৈতিকভাবে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত কিনা তাও নিয়ে একধরনের দ্বিধা তৈরি হয়ছে। যদিও এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন। তাছাড়া সময়টাও খারাপ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিছু না কিনলে, তারাও বাংলাদেশের পণ্য কিনবে না। এতে দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি নেই, তাও বাংলাদেশকে ভাবতে হবে।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক
এমএসএম / এমএসএম

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ : গল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠুক সচেতনতার বাঁধ

রাজনীতি আজ নিলামের হাট: কুষ্টিয়া-৪ এ হাইব্রিড দাপটের নির্মম প্রতিচ্ছবি

জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিবে প্রবাসীরা, আনন্দে ভাসছে পরবাসে বাঙালীরা

বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা ও বাংলাদেশে তার প্রভাব

বাংলাদেশে ওয়াশিং প্ল্যান্টের বর্জ্য দ্বারা মিঠাপানির দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ

দলীয় পরিচয়ে পদোন্নতি ও বদলি: দুর্নীতির ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ

ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সমাধান: FBCCI-এর বিদ্যমান সেবার উৎকর্ষ সাধন

বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিসরকে একীভূত করা: অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য বিসিক কেন অপরিহার্য
