'বিশ্ববিদ্যালয় যৌন নিপীড়ক শিক্ষককে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে'

নিপীড়নকারী শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির শাস্তি নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে তাদের দাবিগুলো হলো-
১. নিপীড়নকারী শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে নিয়ে যে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটির কার্যক্রমকে বেগবান করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সাংবাদিক আসিফ আল আমিনকে মারধরের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের বিচার করতে হবে।
৩. দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে। মাস্টারপ্ল্যান না করে নিজেদের খায়েশ মত গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।
৪. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি সৌমিক বাগচীকে হামলার দায়ে চিহ্নত সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কণজ কান্তি রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং শিক্ষার্থীদের পরামর্শ না নিয়েই নিজেরা ইচ্ছা মতো বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এমনকি আমরা এটাও দেখেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি চর্চাকে নষ্ট করতে কালাকানুন পাশ করেছে। মূলত এই সব প্রশাসনের সৈরতান্ত্রিক মতের বহিঃপ্রকাশ।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আল আমিন বলেন, আমরা ইতপূর্বে দেখেছি নিপীড়নকারী শিক্ষকদের শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা মনে করি যে এবার নিপীড়নকারী শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই গড়িমসি এবং টালবাহানা চলছে।
মাহমুদুর রহমান জনির শাস্তির ব্যাপারে আলিফ মাহমুদ বলেন, এখানে নামটা মাহমুদুর রহমান জনি না হয়ে অন্য কারো নাম হলে ঠিকই অব্যাহতি দেয়া হতো বলে আমরা মনে করি, যেমনটা পূর্বেও অনেককে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই শিক্ষককে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে। যার দরুণ আমরা দেখি তারা আড়াইমাস পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি এড়িয়েই যাচ্ছেন। তাছাড়া আমরা মনে করছি কোনো অদৃশ্য ভয় উপাচার্যকে বিচার থেকে নিবৃত রাখছে। কিছুদিন আগে ফাঁস হওয়া অডিওতে তা নিশ্চিত হয়েছে। মাহমুদুর রহমান ৪-৫ টা মুখ নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিয়েছেন তাকে শাস্তির মুখোমুখি করলে। এই ভয় থেকেই হয়তো ভুক্তভুগীর নিকট জোর করে দায়মুক্তি নিতে তৎপর ছিলেন বর্তমান প্রক্টর ও একজন সহকারী প্রক্টর। আমরা তার শাস্তি নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসকে কলংকমুক্ত না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আরো জানান অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় তাদের দাবীসমূহ উত্থাপিত না হলে ঐদিন তারা অবস্থা কর্মসূচি গ্রহণ করবে এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এমএসএম / এমএসএম

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি
Link Copied