মাদারীপুরে মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ১
মাদারীপুর সদর উপজেলার পখিরা গ্রামের তানভীর মল্লিক (২১) নামে এক যুবককে পাচারের অভিযোগে টুলু খান (৪২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। বৃহস্পতিবার রাতে টুলুকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর সদর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। অপর এক আসামীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,মাদারীপুর সদর উপজেলার পখিরা গ্রামের রফিক মল্লিকের ছেলে তানভীর মল্লিককে ইতালি পাঠানোর জন্য শরীয়পুরের তুলাতলা গ্রামের টুলু খানের সাথে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক কয়েক দফায় টুলু খানকে ১২ লাখ টাকা প্রদান করে তানভীরের পরিবার। চলতি বছরের ১৯ জুলাই তানভীরকে লিবিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে তানভীরকে মুক্ত করার জন্য আরও ৭ লাখ টাকা আদায় করে। যা ইসলামী ব্যাংকের একটি একাউন্ট নম্বরে প্রদান করা হয়। এরপরও তানভীরকে মুক্ত না করে দফায় দফায় নির্যাতন চালায় মাফিয়ারা। নির্যাতের ভিডিও দেখিয়ে আরও টাকা দাবী করে। এসময় বাধ্য হয়ে আরও ৫ লাখ টাকা আদায় করে মানবপাচারকারী চক্র। এই ঘটনায় ১৩ নভেম্বর তানভীরের ভাই মো.সাগর বাদী হয়ে ৪জনের বিরুদ্ধে মাদারীপুর মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করে। ট্রাইবুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে মাদারীপুর সদর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর পুলিশ আসামী গ্রেফতার না করায় র্যাব-৮ মাদারীপুরের একটি দল মামলার প্রধান আসামী টুলু খানকে গ্রেফতার করে সদর থানায় হস্তান্তর করে। টুলুকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও অনেকেই থানায় আসেন। এসময় অপর এক জাকির হোসেন মৃধা ভুক্তভোগী টুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও মানব পাচারের অভিযোগে সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন এবং টুলুর স্ত্রী হাসিনা বেগমকে স্থানীয়রা আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করে। তবে অভিযোগটি সদর থানার ওসি মামলা হিসেবে গ্রহন করতে রাজি হননি। পরবর্তীতে হাসিনা বেগমকেও ছেড়ে দেয়া হয়। ভুক্তভোগীদের দাবী,আর্থিক সুবিধা পেয়ে মামলা গ্রহন করেননি ওসি এবং অভিযুক্ত হাসিনা বেগমকে ছেড়ে দিয়েছে। এব্যাপারে লিবিয়া বন্দি রনি মৃধার ভাই জাকির হোসেন মৃধা বলেন, আমি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। শুনেছি সেটা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। আমি বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, দালালের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে আমাদের মামলা গ্রহণ করেননি ওসি ও মামলার আসামী ছেড়ে দিয়েছেন।
এসব ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা গ্রহন না করা এবং আসামী ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি এসব মামলা আদালতে করার পরামর্শ দেন। এব্যাপারে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলমকে সাংবাদিক ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এমএসএম / এমএসএম
বগুড়ার শাজাহানপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন
পত্রিকা পরিবেশক শফির পিতার সুস্থ্যতা কামনা
জুয়া খেলায় হেরে পার্টনারকে হত্যা, আসামীর যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
নবীনগরে ডাকাতি হওয়া সারের জাহাজ উদ্ধার
পূর্বধলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নড়াইলে অ্যারাইজ আইএনএইচ জাত ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কেরানীগঞ্জে ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে শেষ হলো সাদ পন্থীদের তাবলীগের জোড়
সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিল করায় সম্মাননা পেলেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে অফিসার ইনচার্জ
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের আটপাড়া উপজেলা পরিদর্শন
অপরাধীদের কোন ছাড় নেই, মিলেমিশে রূপগঞ্জ গড়বো আমরাঃ মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরে কৃষকদলের আলোচনা সভা
রাণীশংকৈলে একমাথা, দু'মুখ ও চার চোখ বিশিষ্ট অদ্ভুত বাছুর প্রসব, এলাকায় চাঞ্চল্য
Link Copied