ইবিতে পরীক্ষার দাবিতে মেইন গেটে তালা

ইবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার দাবিতে মেন গেটে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে।২৫ নভেম্বর সকাল ১২ টায় ২০১৮-২০১৯ইং শিক্ষাবর্ষের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে।এ আন্দোলনে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপাগামী পরিবহন আটকা থাকায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিপাকে পড়ে।তথ্যসূত্রে জানা যায, ২০১৮ ২০১৯ইং শিক্ষাবর্ষের ৭জন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষের নন ক্রেডিট পরীক্ষায় ফেল করে। চতুর্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষার নম্বর পত্র উত্তোলন করতে যেয়ে তারা জানতে পারে যে ফেল করেছে।প্রথম বর্ষের ফলাফল প্রথম বর্ষেই জানা গেল না সেটা চতুর্থ বর্ষের নম্বর পত্র তুলতে কেন জানা গেল?এমন খবরে একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। বিষয়টি সভাপতির কাছে জানালে সভাপতি তার সদর উত্তর দিতে পারেনি।এ অসন্তোষে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাট্টা হয়ে একই বিভাগে ও ইবির মেন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।এমন ঘটনায় অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে যোগ দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রক্টর ড.শাহাদাৎ হোসেন আজাদ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চান।পুলিশ এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।প্রক্টর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মেন গেটের তালা খুলে দেয। ২০১৮ ২০১৯ইং শিক্ষাবর্ষের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল আজিজ জানান,এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে ওল্ড ফাস্ট ইয়ার, মিডল ফাস্ট ইয়ার এবং নিউ ফার্স্ট ইয়ার নামে তিনটি ফাস্ট ইয়ার রয়েছ। প্রত্যেক বিভাগে সেশনজট শিক্ষার্থীদের নিত্যসঙ্গী।পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা এ আন্দোলনে নেমেছি।শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ৫ দফা হলঃ(১)২৮ নভেম্বরের মধ্যে সকল নন ক্রেডিট পরীক্ষা নিতে হবে(২)এ মাসের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু করতে হবে(৩)শীতকালীন ছুটির আগেই ভাইভা শেষ করতে হবে (৪)পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে(৫)পরীক্ষার রেজাল্ট মার্কশিট সহ প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ডক্টর মোঃ শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে নন ক্রেডিট পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভিসি স্যারের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করা হয়েছে।ফেল করা শিক্ষার্থীদের নন ক্রেডিট পরীক্ষা নিতে হলে ভিসির অনুমতি লাগে। গত ১১ নভেম্বর একটি বিভাগীয় কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছিল কিন্তু যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়নি।শিক্ষার্থীদের এই সমস্যার সমাধান করতে না পারায় আমি বিভাগীয় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ভিসির নিকট আবেদন করেছি।প্রক্টর প্রফেসর ডঃ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন আজাদ সকালের সময়কে বলেন,এটা রেজিস্ট্রার এবং বিভাগীয় সমস্য। তাই বলে এ সমস্যার জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতিতে ফেলানো ঠিক নয়।এবং দাবি আদায়ের জন্য মেনগেটে তালা দেওয়া শিক্ষার্থীদের ঠিক হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম

ইবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে নেতৃত্ব উন্নায়ন কর্মশালা

ধ*র্ষ*ন হুমকির প্রতিবাদে গোবিপ্রবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঢাবি ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

সেই আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

নীলফামারিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

গোবিপ্রবি উপাচার্যের কাছে ছাত্রদলের চার দফা দাবী

এবার রেলপথ অবরোধ করলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

এলজিইউডি'কে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে জাককানইবি'তে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয় ও চবি শিক্ষার্থীরা, প্রক্টরসহ আহত অনেকে
