শিবচরে বিভিন্ন নদ-নদীতে ভাসমান খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষকরে অনেকেই স্বাবলম্বী
মাদারীপুর শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খা নদের বিভিন্ন স্থানে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকের ভাগ্য ফিরছে। এখানে কাজ করেও অনেক শ্রমিকের ভাগ্য বদলাচ্ছে। পুকুর জলাশয়ের চাইতে নদ-নদীতে ভাসমান খাঁচা পদ্ধতিতে চাষ করা মাছ সুস্বাধু ও স্বাস্থ্যকর বিধায় মাছের কদর বেড়েছে অনেক। বাজার পর্যায়ে এই মাছের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আড়িয়াল খা নদের উৎরাইল, শেখপুর, বিলপদ্মা সহ উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে ভাসমান খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, সরপুটি সহ চাহিদাসম্পূন্ন মাছ চাষ হচ্ছে এ পদ্ধতিতে। এ শিল্পে কাজ করে ভাগ্য বদলাচ্ছে অনেক শ্রমিক। লাভবান হচ্ছে উদ্যোক্তারাও।
জানা গেছে, নদীর পানিতে ড্রাম ভাসিয়ে লোহার পাইপে বিভিন্ন স্তরে নেট ব্যবহার করে মাছ চাষের উপযোগী খাঁচা স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। খাঁচাগুলো পানির ওপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। একই স্থানে অবস্থান করে জোয়ারভাটার পানির সাথে এটি ওঠানামা করে। কখানো এটি স্রোতে ভেসে যায় না। একস্থানে স্থির হয়ে থাকে। খাঁচায় মাছ চাষ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কারণ, এ মাছের স্বাদ খুব ভালো। তাই বাজারে এ মাছ একটু বেশি দামে বিক্রি হয়।আগামীতে খাঁচায় মাছ চাষ সম্প্রসারিত হবে। এতে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আড়িয়াল খা নদের উৎরাইলে খাঁচায় মাছ চাষ প্রদর্শনীর সুফল ভোগী লিখন চৌধুরী বলেন,খাঁচার পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য নূন্যতম ১২ফিট গভীরতার পানির মধ্যে ৭ ফিট জাল দিয়ে একটি করে ঘর তৈরি করা হয়। এরকম ৬০টি ঘরকে ১টি ইউনিট বলা হয়। যেখানে প্রতি ঘরে ৫’শ মাছ চাষ করা যায়। প্রতি ১ কেজি মাছ উৎপাদনে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা খরচ হয়। আপাতত শুধু তেলাপিয়া মাছই চাষ করা হচ্ছে।
পাঙ্গাশ মাছ পরীক্ষামূলক চাষের প্রক্রিয়া চলমান আছে, এখনও চাষ শুরু করিনি। তবে মৎস্য দপ্তর থেকে তেমন কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না, তারা যদি সহযোগিতা করতো তাহলে হয়তো আরো অনেকেই আগ্রহী হতো খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষে।
শিবচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, আড়িয়াল খা নদের বেশ কিছু স্থানে খাঁচায় প্রবাহমান জলাশয়ে মাছ চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে মাছের সর্বোচ্চ উৎপাদন পাওয়া যায় মাছ খুবই সুস্বাদু হয়। তাই শিবচর উপজেলায় খাঁচায় মাছ চাষে সাবলম্বী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ পদ্ধতি কেউ মাছ চাষে আগ্রহী হলে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম