বশেমুরবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) পিঠা উৎসব- ১৪৩০ অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে সারাদিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে বেলা ১১ টায় আনন্দ র্যালির আয়োজন করা হয়। এসময় বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আলিমা খাতুন লিনা, সহকারী অধ্যাপক শামিমা আক্তার প্রভাষক তন্নি সাহাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
পিঠা উৎসবে ১৫ টি পিঠার স্টল বসেছিল। স্টলগুলোতে প্রায় ৫০ প্রকারের পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিতই, ভাপা, পুলি, তক্তি, নকশি পিঠা,পাটি সাপটা, ঝাল চন্দ্রকোনা, চন্দনকুলি, দুধ খেঁজুর, নারকেলের চিড়া, রসপান, হৃদয়হরণ, সিঙ্গেল, প্যারা, গোকুল পিঠা ও হরেক রকমের রসালো পিঠাসহ পাহাড়ি পিঠার মধ্যে আলইকুম, বিনি পিঠা, ফিতামুং ও বরা পিঠা লক্ষ্য করা যায়।
পিঠা উৎসব সকাল থেকে সন্ধা ৮ টা পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ন্য ভাবে চলতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষার্থীরাই নতুনসাজে নতুনরুপে দলে দলে দল বেঁধে পিঠা উৎসবে এসে আনন্দ ও মজা করেন। বন্ধু-বান্ধবী, ভাই সকলে মিলে পিঠা খেয়েছেন। আবার কেও কেও প্রিয় মানুষগুলোর জন্য পিঠা কিনে নিয়ে গেছে। পিঠা উৎসব শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী মুহূর্তে সন্ধা ৬ টার দিকে পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীরা মিলে গান বাজনা নাচ করে পিঠা উৎসব মাতিয়ে তুলেছিলেন।
বিকাল ৫ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এ কিউ এম মাহমুদ পিঠা উৎসব পরিদর্শন করতে আসেন। পিঠা উৎসবে এসে ত সকল পিঠার স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করেন।
বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান বলেন, বাংলা বিভাগ প্রতি বছরের মত এ বছরও উৎসবমুখর পরিবেশে শীতের পিঠা উৎসব শুরু করেছি। তবে অন্যবারের মত বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার পাশাপাশি এবারের বিশেষত্ব হচ্ছে আমরা আদিবাসীদের সংস্কৃতিতে তুলে আনার অংশ হিসেবে তাদের পিঠা আনতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি ভালভাবেই পিঠা উৎসব সম্পন্ন করতে পারব।
স্টলের দায়িত্বে থাকা বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আদীবাসী শিক্ষার্থী বিকাশ চাকমা জানান, আমাদের এখানে যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস সেহেতু সাংস্কৃতিক বিনিময়ের লক্ষ্যেই আমাদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য আদিবাসীদের পিঠা বানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের স্টলে নানাবিধ পিঠার মধ্যে কলাপিঠা, ফিতামুং, বরা পিঠা, আলইকুম, বিনি পিঠাসহ আরও বেশ কিছু পাহাড়ি পিঠা রয়েছে।পিঠা উৎসবের অনূভুতি জানতে চাইলে ইতিহাস বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মালিহা ইসরাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটাই আমার প্রথম দেখা পিঠা উৎসব। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল। বন্ধু বান্ধব, সিনিয়র ভাই আপুর সাথে পিঠা উৎসব উপভোগ করেছি। অনেক অপরিচিত পিঠা দেখেছি। সব মিলিয়ে বাঙালি ঐতিহ্যের এমন আয়োজন আমার বাঙালি সত্তা কে জাগ্রত করেছে।
পিঠা উৎসবে এসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী দেলোয়ার বলেন, ভাই বন্ধুদের সাথে নিয়ে পিঠা উৎসবে এসে আসলেই অনেক ভালো লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা নতুনসাজে নতুনরুপে পিঠা উৎসবে এসে আনন্দ মজা করছেন যেটা দেখতেও ভালো লেগেছে। বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পিঠা উৎসবের গুরুত্ব অপরিহার্য ।
এমএসএম / এমএসএম
মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি
ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ
ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত
ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ
দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল