মধুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অনাস্থা
টাঙ্গাইল-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এর নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা ও মঞ্চ ভাংচুরের অভিযোগ এনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছরোয়ার আলম খান আবু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খান বাবলু ও শিক্ষা সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আরেফিন শরীফকে অনাস্থা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অনাস্থা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াকুব আলী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির নৌকা প্রতীকের গোলাবাড়ি ইউনিয়নের হাসনই সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র কমিটির জন্য আয়োজিত মঞ্চ ভাংচুর করার অভিযোগ করেন সভাপতি-সম্পাদকের বাহুমভুক্ত লোকদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ২০ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছরোয়ার আলম খান আবু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খান বাবলু ও শিক্ষা সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আরেফিন শরীফের বিরুদ্ধে অনাস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মধুপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সিদ্দিক হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি, মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আইন বিষয়ক সালাহ উদ্দিন সেলিম, সদস্য জামাল উদ্দিন, আজাহার আলী, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আলমগীর হোসেন শিমুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস, যুবলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম মালেক, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ সজীব প্রমুখ। এ সময় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছরোয়ার আলম খান আবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্র কমিটিতে তাদেরকে কেউ বাঁধা দেয়নি। এ অনাস্থা উদ্দেশ্যে প্রনোদিত বলে দাবি তার।
এমএসএম / এমএসএম