মধুপুর উপজেলা আ.লীগ বিভাজনের জন্য দায়ী কৃষিমন্ত্রী

নিজের বলয় ভারী ও ক্ষমতা দেখাতে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক। তিনি মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। এরদায়ভার তাকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিভাজনসহ নানা অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছারোয়ার আলম খান আবু।
সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন আব্দুর রাজ্জাক। তার বক্তব্য কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারাও খোদ বিব্রত।
সংসাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক মো.ছারোয়ার আলম খান আবু বলেন, আব্দুর রাজ্জাক নিজে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করছেন। আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। যখন তিনি শোনছেন আমি (আবু) আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাই এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন আমাকে চাপে রাখছেন।
তিনি বলেন,টাঙ্গাইল-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছরোয়ার আলম খান আবু। এ কারণে তাকে শোকজ করা হয় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাকে দল থেকে বহিষ্কার দাবি করে আসছিল। পাশাপাশি তারা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করে। গত ২০ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ে এক বিশেষ সভায় এই প্রস্তাব গৃহীতও হয়। যা ২২ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ইয়াকুব আলী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মো. ছরোয়ার আলম খান আবু বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দেওয়া হযেছে, সেটি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট, মিথ্যা ও অগঠনতান্ত্রীক। আমরা তাদের এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে না জানিয়ে দলের পক্ষে এমন সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছিলাম এই অপরাধের দায়ে গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাহেব তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উপজেলা পরিষদের সরকারী গাড়ি, আমার বাসা, আমার অফিস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব সাহেবের কাজী ডিজিটাল হাসপাতাল ও নেতাকর্মীদের ৬০-৭০টি মটর সাইকেল ভাংচুর করেন। যা জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। শুধু তাই নয়, তৃণমূল থেকে আগত ওয়ার্ড/ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের মারধর করেন। অনেকে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের নির্দেশে তার সমর্থকরা এহেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিভাজন করে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। যা মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষসহ অবগত আছেন। এত বাধার মুখেও উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি তৃণমূলের নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন।
মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় নেত্রী যাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতিক দিয়ে পাঠিয়ে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং তিনটি ইউনিয়নে নৌকাকে পরাজিত করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয় ও নির্বাচন পরিচালিত হয়। কিন্তু মধুপুর নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও কেন্দ্র কমিটি আমাদেরকে না জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তার অতি উৎসাহি, অনুগত ও বাহমভুক্ত, হাইব্রীড, অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করেছে। যাহা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতার সামিল।
সংবাদ সম্মেলনে মধুপুর উপজেলা আওয়মী লীগের বিভাজনের জন্য কে দায়ী জানতে চাইলে তিনি বলেন, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পোস্ট একেবারেই তৃণমূল পর্যায়ের পোস্ট। জেলা পর্যায় আমাদের অনেক উপরে। তার উপরে কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রিয় নেতা যদি আমাদের ঐক্যবদ্ধ না রাখে, আমাদের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করেন, তাহলে জেলা বাধ্য হয়ে করে। আপনারা বুঝে নিতে পারেন কেন হচ্ছে, কার জন্য হচ্ছে। এর জন্য দায়ী কেন্দ্রিয় নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক। ওনার কারণে এই দ্বিধাবিভক্তি, বিশৃঙ্খলা। আমি যদি প্রার্থী না হতাম, তাহলে হয়তো এটা হতো না। আমার একটি বিলবোর্ড, পোস্টার কোথাও রাখেনি। বিএনপির আছে, জাতীয় পার্টির আছে। কিন্তু আমার নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আছে কিনা জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক মো. ছরোয়ার আলম খান আবু বলেন, আমি যেহেতু নির্বাচনে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হইনি, তাই নৌকার পক্ষেই কাজ করে যাবো। যেহেতু নৌকার পক্ষে আছি, সেহেতু ওনার (আব্দুর রাজ্জাক) পক্ষেই থাকা হলো।
তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, সেই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এককভাবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে একটি কপি দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনিসহ অনেকেই।
এমএসএম / এমএসএম

৭২ এর স্বৈরাচারী সংবিধান বাতিল, সংস্কার, বিচার তারপর নির্বাচন-ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর

১৫০০-২০০০ ব্যক্তি ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে : হাইকোর্টে প্রতিবেদন

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মুনিয়া হত্যা সাধারণ ঘটনা নয়, ফাঁস হয়েছে ষড়যন্ত্রের মূল তথ্য

প্রধান উপদেষ্টাকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি প্রদান

গুলিস্তানের ফুটপাতে চাঁদাবাজির নতুন কৌশল

সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মূল্যবোধে আক্রমণ দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি-ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ

টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর- সড়কের বেইলি ব্রিজ স্থাপনের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

‘নবী মোর পরশমণি’ গ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষে সীরাত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

মিরপুর থেকে নিখোঁজ ইরফান চৌধুরী সোনারগাঁও থেকে উদ্ধার

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লাগামহীন দুর্নীতি: আইন শুধু কাগজে, প্রয়োগের মুখে কুলুপ
