৩ দিনেও খোঁজ মিলেনি নদীতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ জেলের
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ৭টায় পন্যবাহি জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার নৌকা থেকে নিখোঁজ হওয়া জেলের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিনেও কোন খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের মাঝে রয়েছে শোকের মাতম। নিখোঁজ রাসেল শিকদার জীবিত নাকি মৃত এ ভানারও কোন অবসান হচ্ছে না তাদের। পরিবারের শোকের বিলাপে একটাই চাওয়া আলোকীয় ভাবে যদি আল্লাহপাক ডুবে যাওয়া জেলে রাসেল শিকদারকে ফিরিয়ে দিতেন। এমন আশা নিয়েই দিন রাত চারোদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে নিখোঁজের পরিবার ও তার আত্মীয়স্বজন।
নিখোঁজ জেলের পরিবারের সাথে আলাপ করলে জানাযায়, তারা কয়েকটি টিম নদীতে মাইকিং করছেন। বরিশাল, শরীয়তপুর, হিজলা, চাঁদপুর, মতলব ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায়ও নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে মাইকিং করেন। নিখোঁজ হওয়ার ৩দিন অতিবাহিত হলেও কোন খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের মাঝে শোকের মাতম দিন দিন বেড়েই চলছে। নিখোঁজ রাসেল শিকদারের স্ত্রী, ৮ বছর, ৫ বছর বয়সের দুই ছেলে ও ২ বছরের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা তার বাবার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। তারা এখনো জানে না তার বাবা হয়তো আর বেছে নাই।
এই বিষয়ে হাইমচর ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ রতন শেখ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরে আমাদের চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশন এর ডুবুরী দলটি সেখানে পাঠিয়েছি। তারা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু নিখোঁজ জেলের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশন এর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের ডুবুরী টিমটি নিখোঁজ জেলের সন্ধানে গতকালকে ওখানে গিয়েছিলো এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছিল। নিখোঁজ জেলের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি প্রত্যয়ন নিয়ে চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে।
নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিকে আমরা এখনও খুঁজছি। এখন পর্যন্ত তার সন্ধান আমরা পাইনি। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে জাহাজের ধাক্কায় নৌকা ডুবে যে জেলে নিখোঁজ হয়েছে নদীর কোন যায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে কেউ বলতে পারেনি। তবুও আমারা এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম নদীতে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি। নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের খোঁজার কাজ অব্যাহত থাকবে।
এমএসএম / এমএসএম