ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

পরিযায়ীপাখি: মরণ ফাঁদ বাড়ছে, আপন ভাবতে শেখা দরকার


ফজলুর রহমান photo ফজলুর রহমান
প্রকাশিত: ১১-১-২০২৪ দুপুর ২:৫২

সৌদি আরবে ১০০ মাইল দীর্ঘ এবং প্রায় ১ হাজার ৫০০ ফুট উঁচু দুটি সমান্তরাল ভবন নিয়ে গড়ে উঠছে নিওম শহর। বাইরে কাচের আবরণে ঢাকা সুদীর্ঘ ভবন দুটি দেশটির উপকূলীয়, পার্বত্য, ও মরুভূমির বুক চিড়ে গড়ে উঠছে।কিন্তু এই শহরটি কোটি কোটি পরিযায়ী পাখির মরণফাঁদ হবে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো এই শহরটি প্রতিবছর ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে পাড়ি জমানো পাখিদের জন্য একটি মারাত্মক বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সৌদি আরব এটিকে ‘সভ্যতার বিপ্লব’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও গবেষকেরা এটিকে প্রাকৃতিক সংরক্ষণকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী পৃথিবীর শীর্ষ ১৫ প্রকল্পের একটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। 

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, বিভিন্ন কারণের সংমিশ্রণে শহরটি প্রতিবছর সৌদি আরবে অভিবাসী পাখিদের জন্য একটি বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে শহরটির বাইরের দিকে কাচের আবরণ, শহরের দিকনির্দেশনা এবং সবার ওপরে থাকা উইন্ড টারবাইনগুলো। শহরের বাইরের আবরণটি কাচের হওয়ায় পাখিরা বুঝতেই পারবে না তাদের সামনে একটি বাধা অপেক্ষা করছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি নিয়ে না ভাবলে পরিযায়ী পাখিদের অনেক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পথ ধরে চলাচলকারী পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে রয়েছে নাইটিঙ্গেল, হুইটিয়েটার, লার্কস, স্যান্ডগ্রাউস এবং ঘুঘু। এ ছাড়া মিসরীয় শকুন এবং সাকার ফ্যালকনের মতো দুটি বিপন্নপ্রায় পাখিও এই পথ ধরে চলাচল করে। শহরটি সম্পন্ন হওয়ার আগেই ইতিমধ্যে প্রায় ২১ লাখ পাখির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি শরতে এই পাখিগুলো ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে ভ্রমণ করে। 

সম্প্রতিযুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ম্যাককর্মিক প্লেস ভবনের কাঁচের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একদিনেই অন্তত এক হাজার পরিযায়ী পাখি মারা গেছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে শিকাগোর বার্ড কলিসন মনিটরসের পরিচালক অ্যানেট প্রিন্স বলেন, ‘শিকাগোর বহুতল ভবনগুলোর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বছরের পর বছর বহু পাখি মারা যাচ্ছে। তবে একদিনে এতো পাখির মৃত্যু এর আগে দেখতে পাইনি। আমরা অসংখ্য মৃত এবং আহত পাখি পেয়েছি।’ 

ভবনের সঙ্গে পাখির সংঘর্ষ বিষয়ক গবেষক ও ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রেন্ডন স্যামুয়েলস বলেন, ‘সুউচ্চ ভবনে ধাক্কা লাগা প্রতিটি পাখি তাৎক্ষণিক মারা যায় না। সংঘর্ষের পর পাখিগুলো কিছু দূর উড়তে পারে। কিন্তু এমনভাবে গুরুতরভাবে আহত থাকে যে, শেষ পর্যন্ত তারা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আর বেঁচে থাকতে পারে না।’

শহরের আলো পাখিদের আকৃষ্ট করে। যার ফলাফলস্বরূপ দেখা যায়, শহরের সুউচ্চ ভবনের কাঁচের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে বহু পাখি মারা যায়। ২০১২ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, সুউচ্চ ভবনগুলোর অর্ধেক লাইট বন্ধ রাখলে সংঘর্ষের ঝুঁকি ৬ থেকে ১১ গুণ কমে যায়। ভবনে কেউ না থাকলে আলো করে বন্ধ রাখা কিংবা রাতের বেলা স্বেচ্ছায় আলো বন্ধ রাখা বা আলো কমিয়ে রাখা পাখির মৃত্যু কমানোতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

এক সমীক্ষায় জানানো হয়, উঁচু ভবন বিশেষ করে কাচ ও আয়নাযুক্ত ভবনগুলোর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর ৯৮ কোটি ৮০ লাখ পাখি মারা যায়। বিশে^র অন্যান্য উঁচু ভবনগুলো হিসেবে আনলে এই সংখ্যা কয়েক’শো কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে! এটি হলো বৈশি^ক ফাঁদের একটি খন্ডচিত্র মাত্র। এ ধরনের বহুতল স্থাপনা আমাদের দেশে কম। তবে পাখির জন্য ভিন্ন ধরনের ফাঁদ বা মৃত্যুকূপ আমাদের দেশেও নানাভাবে ছড়িয়ে আছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এবারপরিযায়ী অতিথি পাখিদের অবস্থাটা খতিয়ে দেখি।

পরিযায়ী পাখির ইতিহাসে দেখা যায়, অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত যখন শীতকালে পাখিদের তাদের স্ববাসে দেখা যেত না; তখন মানুষ মনে করত, পাখিরা শীতকালটা পানির নিচে ডুব দিয়ে অথবা সরীসৃপের ন্যায় গর্তে কাটায়। পরে বিজ্ঞানীরা তা ভুল প্রমাণ করেন। পাখিরা মূলত পরিবেশগত চাপে, আরামদায়ক পরিবেশের আশায় ও জিনগত নিয়মের কারণে দেশান্তরী হয়।কোনো কোনো তত্ত্বমতে, পাখিদের উৎপত্তি হয়েছিল উত্তর গোলার্ধ্বে এবং প্লায়োস্টোসিন সময়ের হিমবাহ তাদের বাধ্য করেছিল দক্ষিণে আসতে আর সে অভ্যাসগত কারণেই পাখিরা আজও দক্ষিণে আসে। অন্য এক তত্ত্বমতে, পাখিদের আবির্ভাব দক্ষিণ গোলার্ধ্বেই; তবে খাদ্যের প্রাচুর্য ও অন্যান্য অনুকূল পরিবেশের কারণে তারা সেখানে চলে যায়। পূর্বপুরুষের ভিটায় তারা প্রতিবছর একবার আসে।

শীতপ্রধান এলাকায় তাপমাত্রা থাকে অধিকাংশ সময় শূন্যেরও বেশ নিচে। সেইসঙ্গে রয়েছে তুষারপাত। তাই কোনো গাছপালা জন্মাতেও পারে না। শীত এলেই উত্তর  মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চল থেকে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকে কম ঠান্ডা অঞ্চলে। বসন্ত মানে মার্চ-এপ্রিলে শীতপ্রধান অঞ্চলে বরফ গলতে শুরু করে, গাছপালা জন্মায় কিছু কিছু। ঘুম ভাঙতে শুরু করে পুরো শীতকালে ঘুমিয়ে থাকা অনেক প্রাণীর। ঠিক এ রকম সময়ে অতিথি পাখিরা নিজ বাড়িতে ফিরে যায় দলবলসহ। আবার এখানে বেশ মজার একটা ব্যাপার আছে। তারা ফিরে গিয়ে ঠিক তাদের বাড়ি চিনে নেয়।
আমাদের দেশে শীত এলেই রং-বেরঙের নাম না জানা অনেক রকম পাখিতে ভরে যায় আমাদের জলাশয়, হাওড়, বিল ও পুকুর। আদর করে আমরা সেগুলোকে বলি ‘অতিথি পাখি’। সেপ্টম্বর-অক্টোবরে দলবেঁধে আসতে শুরু করে এসব পাখি। মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত কলকাকলিতে আমাদের প্রকৃতিকে ভরিয়ে রাখে। 
প্রকৃতিগতভাবেই এই অতিথি পাখিদের শারীরিক গঠন খুব মজবুত। এরা সাধারণত ৬০০ থেকে ১৩০০ মিটার উঁচু দিয়ে উড়তে পারে। ছোট পাখিদের ঘণ্টায় গতি ৩০ কিলোমিটার। দিনে-রাতে এরা প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উড়তে পারে। বড় পাখিরা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার অনায়াসে ওড়ে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এসব পাখি তাদের গন্তব্যস্থান ঠিকভাবেই নির্ণয় করে।সব ধরনের পরিযায়ী পাখিই রাত-দিন মিলিয়ে একটানা ছয় থেকে ১১ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। যা সম্ভব নয় যান্ত্রিকযান উড়োজাহাজের পক্ষেও। একটা উড়োজাহাজকে ১১ ঘণ্টা হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে হলে কমচেয়ে কম দেড়-দুই ঘণ্টার বিরতি নিতে হয়। অথচ প্রকৃতির এসব সন্তান কোন রকম বিরতি ছাড়াই অনায়াসে ওই সময়টা পাড়ি দিতে সক্ষম হচ্ছে। দেখা যায়, শুধু হাঁস গোত্রের পাখিরাই ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। সারসদের ক্ষেত্রে দেখা যায় আবার ভিন্নচিত্র, ওরা একটানা ছয় ঘণ্টা উড়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। অপরদিকে প্লোভার গোত্রের পাখিরা একটানা উড়তে পারে ১১ ঘণ্টা। তাতে ওরা পাড়ি দিতে পারে ৮৮০ কিলোমিটার। 
অতিথি পাখিদের মধ্যে সোনাজঙ্গ, খুরুলে, কুনচুষী, বাতারণ, শাবাজ, জলপিপি, ল্যাঞ্জা, হরিয়াল, দুর্গা, টুনটুনি, রাজশকুন, লালবন মোরগ, তিলে ময়না, রামঘুঘু, জঙ্গি বটের, ধূসর বটের, হলদে খঞ্চনা ও কুলাউ ইত্যাদি প্রধান। লাল বুকের ক্লাইক্যাসার পাখি আসে ইউরোপ থেকে। অন্য পাখিরা আসে পূর্ব সাইবেরিয়া থেকে। বাংলাদেশের অতি পরিচিতি অতিথি পাখি নর্দান পিনটেইল। এছাড়া রয়েছে স্বচ্ছ পানির খয়রা চকাচকি, কার্লিউ, বুনো হাঁস, ছোট সারস, বড় সারস, হেরন, নিশাচর হেরন, ডুবুরি পাখি, কাদাখোঁচা, গায়ক রেন, রাজসরালি, পাতিকুট, গ্যাডওয়াল, পিনটেইল, নরদাম সুবেলার, কমন পোচার্ড, বিলুপ্তপ্রায় প্যালাস ফিস ঈগল (বুলুয়া)। এছাড়াও নানা রং আর কণ্ঠবৈচিত্র্যের পাখিদের মধ্যে রয়েছে ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, লেঞ্জা, চিতি, সরালি, পাতিহাঁস, বুটিহাঁস, বৈকাল, নীলশীর পিয়াং, চীনা, পান্তামুখি, রাঙামুড়ি, কালোহাঁস, রাজহাঁস, পেড়িভুতি, চখাচখি, গিরিয়া, খঞ্জনা, পাতারি, জলপিপি, পানি মুরগি, নর্থ গিরিয়া, পাতিবাটান, কমনচিল, কটনচিল প্রভৃতি।তবে সবচেয়ে বেশি আসে জেন্ডাসিগলা, জাডানিক বা সরালি হাঁস। কালচে বড় লম্বা গলার সরালি পাখি দেখতে অনেকটা দেশি হাঁসের মতো। 
বাংলাদেশের জলাশয়গুলো অতিথি পাখিদের সবচেয়ে পছন্দনীয় স্থান।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, মিরপুর চিড়িয়াখানার লেক, বরিশালের দুর্গাসাগর, নীলফামারীর নীল সাগর, সিরাজগঞ্জের হুরা আর সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর অতিথি পাখিদের খুব প্রিয়। বেশ কয়েক বছর ধরে নিঝুম দ্বীপ, দুবলার চর, কুতুবদিয়াতেও শীতের পাখিরা বসতি গড়ছে।এসব স্থানে পাখিদের খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশপাশি পাখিদের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। 
দু:খের বিষয় এই যে, নিরাপত্তার জন্য এ দেশে অতিথি পাখিরা আসে কিন্তু শিকারিদের ফাঁদে পড়ে প্রতিবছর এসব অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক দশক আগেও এদেশে ২০০ থেকে ২১৫ প্রজাতির অতিথি পাখি আসত। এ সংখ্যা প্রতি বছরই হ্রাস পাচ্ছে। ব্যাপকহারে পাখি শিকার ও জলাভূমির সংখ্যা কমে যাওয়াই অন্যতম কারণ। দেশের বিভিন্ন স্থানের চরাঞ্চল আবাদি ভূমিতে পরিণত হওয়ায় অতিথি পাখিদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে যেসব পাখি জঙ্গলে ঠাঁই খুঁজততারাও এদেশে আসার আগ্রহ হারাচ্ছে।ফসলি জমিতে কৃত্রিম সার এবং মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বিষে আক্রান্ত কীটপতঙ্গ খেয়ে পাখিরা মারা যাচ্ছে। শিকারিরা ফাঁদ ও জাল দিয়েপাখি ধরে। বিভিন্ন চরাঞ্চলে ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়েও পাখি ধরে।কেউ কেউ আবার মাছের ঘেরে ফাঁকা জায়গায় দেশি হাঁস পানির ওপর জড়ো করে রাখেন, পাখি হাঁসের ডাক শুনে পানিতে নামতেই তারা আটকে যায় শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদে!
পাখি শিকার বন্ধের পাশপাশি পাখিরা যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারে, সেদিকে সবার দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।সবার উচিত অতিথি পাখিদের নিরাপত্তাদানে সজাগ থাকা। পাখি প্রকৃতিতে ভারসাম্য আনে, নিসর্গকে সুন্দর করে, চোখকে প্রশান্তি দেয়, সৌন্দর্য চেতনাকে আলোড়িত করে। পাখিরা আসুক দলে দলে, ওরা চারপাশ আলোড়িত করুক কলকাকলিতে। অতিথির ন্যায় আমাদের দেশে কিছুটা সময় নির্বিঘ্নে বেঁচে থাকুক এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে মুক্ত ডানা মেলে নিজ দেশে ফিরে যাক। ওরা যেন আনন্দে আসে, যেন তৃপ্তিতে ফিরে যায় -সে মানসিকতা গড়া দরকার।

লেখক: ফজলুর রহমান, উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)

এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া