ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

সিএমপির কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসের রেড জোনের শীর্ষে তারা


চট্টগ্রাম ব্যুরো photo চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৩১-৫-২০২১ বিকাল ৫:২০

চট্টগ্রাম নগরীর সন্ত্রাসের রেড জোন এলাকা চিহ্নিত করেছে সিএমপি। এতে গ্যাং লিডার কিলার ফয়সাল, ছোট দেলোয়ার, এসএম সামাদ, শেখ মহিউদ্দিন, সোহেল প্রকাশ সেলুর নাম প্রশাসনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। নগরীর অপরাধের রেড জোন হিসেবে পরিচিত তিন থানার সীমানা এলাকা। থানাগুলো হলো- বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও চকবাজার। এসব থানার সীমানা এলাকায় রয়েছে- খালপাড়, ফুলতলা, ডিসি রোড, বগার বিল, পুরাতন চারতলা, রাহাত্তারপুল, রসুলবাগ আবাসিকসহ কয়েকটি জনবহুল এলাকা। এসব এলাকায় অপরাধের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঘটছে একের পর এক হত্যাকাণ্ড। বেপরোয়া কিশোর গ্যাংগুলোর সংঘাত লেগেই থাকে সারাবছর। মূলত চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গ্রুপ। রয়েছে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। গ্রুপগুলোর অধিকাংশ সদস্য কিশোর অপরাধী। আর নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক বড় ভাই কিংবা বিভিন্ন শীর্ষ সন্ত্রাসী।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি তুচ্ছ বিষয়ে দেওয়ানবাজার কেডিএস গলিতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন ছাত্রলীগকর্মী আশিকুর রহমান রোহিত। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জানুয়ারি ভোরে চমেক হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে রোহিতের দেয়া বক্তব্যে উঠে আসে হামলাকারীদের পরিচয়। এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলো- তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং লিডার শেখ মহিউদ্দিন, বাবু ও শাহাবু। প্রধান আসামি মহিউদ্দিন আটক হয়ে ইতোমধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। দেওয়ানবাজার, ডিসি রোড এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত সে। রয়েছে ভয়ংকর গ্যাংও। নিজ বাড়ির নিচতলায় গড়ে তুলেছে জুয়ার বিশাল আখড়া। মহিউদ্দিনের সাথে অপরাধ জগতে যুক্ত রয়েছে তার আপন ভাই নাঈমও। ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট চকবাজার থেকে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছিল শেখ মহিউদ্দিন। 

দুই কিশোর গ্যাংয়ের প্রেমের বিরোধ মেটাতে গিয়ে খালপাড় এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যান যুবলীগকর্মী এমএইচ লোকমান রনি। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিলের ওই ঘটনার একদিন পর কল্পলোক আবাসিক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান প্রধান আসামি কিশোর গ্যাং লিডার গুলি সাইফুল। তার মত্যুর মধ্যদিয়ে একটি দুর্ধর্ষ গ্রুপের সমাপ্তি ঘটে। তবে থেমে নেই সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য।

এখানকার মূর্তিমান আতংক কিলার ফয়সাল ও ছোট দেলোয়ার। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ টুশব্দটি করে না। ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়ায় চাঁন মিয়া মুন্সী লেইন কালাম কলোনির মুখে ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে একপক্ষের সংযোগ কাটা শুরু করে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কিলার ফয়সাল ও তার সহযোগীরা। অপরপক্ষের হয়ে বাধা দিতে আসেন ফয়সালের একসময়কার ‘গুরু’ সন্ত্রাসী ফরিদুল ইসলাম। এ সময় ফরিদকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে ফয়সাল। ক্ষমতার জানান দিতে নিজ গ্রুপের প্রধানকেও গুলি করতে হাত কাঁপেনি তার। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল। ২০১৪ সালে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে ফয়সাল। ওই মামলায় পরের বছর দেওয়ানবাজার এলাকা থেকে অস্ত্রসহ আটক করা হয় তাকে। ২০১৯ সালে বায়েজিদ থানায় শ্রমিক নেতা রিপন হত্যা মামলায়ও এজাহারনামীয় আসামী সে৷ তিনটি হত্যাসহ অন্তত ১৮টি মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল, যার বেশিরভাগই অস্ত্র, হত্যা, ছিনতাইসহ দুর্ধর্ষ ঘটনার।

২০১৯ সালে দেওয়ানবাজার এলাকায় এক বিচারকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় আশপাশের এলাকায় আরো কয়েকটি বাসায় চুরি হয়। এসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে আটক হয় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য আনোয়ার মালিঙ্গা। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এই চক্রের দলনেতা সোহেল নামে এক বড় ভাইয়ের নাম। পরে পুলিশের অভিযানে সোহেল রানা ওরফে সেলু অস্ত্রসহ আটক হয়।

বাকলিয়া থানার শান্তিনগর এলাকায় ইসলাম ভিলার বাসিন্দা সেলু। ছয় বছর আগে তার একটি ভাঙারি দোকান দেন বগারবিল এলাকায়। তিন বছর আগে দোকানটি তার ছোট ভাইকে দিয়ে দেয়। এরপর হঠাৎ তার আবির্ভাব ঘটে শ্রমিক লীগ নেতা হিসেবে। এলাকায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে অফিসও খোলে। এমনকি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও লাগিয়েছে। উঠতি বয়সেই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে তিনি নিয়মিত চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। গড়ে তোলে কিশোর গ্যাং। বিভিন্ন অভিযোগে ওই সময় সাতটি মামলায় আসামি হয় সে। প্রথম দিকে তার গুরু ছিল আমজাদ হোসেন নামে এক বড় ভাই। তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সেলু। দিন যত গড়িয়েছে, অপরাধ জগতে সেলুর উন্নতি হয়েছে। পরে নিজেই গড়ে তুলেছে নিজস্ব গ্রুপ। 

চকবাজার খালপাড়, ফুলতলা এলাকায় দুর্ধর্ষ গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করছে সন্ত্রাসী এস এম সামাদ। সড়ক দখল করে নিষিদ্ধ টমটম স্টেশন বসিয়ে চাঁদাবাজির দায়ে গত বছরের ২৬ আগস্ট আটক হয় চকবাজার থানায়। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে সামাদ ও তার তিন সহযোগীর নামে দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করে। 

সক্রিয় অন্য গ্যাংগুলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছে- নুরুল হুদা মিঠু, নিজাম উদ্দিন আহাদ, মেহেদী হাসান ওরফে পিচ্ছি মেহেদী, মাদক সম্রাট আবু বক্কর, মোরশেদুল আলম ও যুবদল নেতা ডিশ বাদশা। এছাড়া সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একঝাঁক কথিত সোর্সের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকার মাসুদ আরিফ, ঠান্ডা মিয়া মসজিদ এলাকার নাছির উদ্দিন ওরফে লেড়া নাছির, গাসিয়া পাড়ার সেকান্দর, জয়নগরের রুবেল ও গণি কলোনির রিপন। এদের মধ্য মাসুদ ফরিদুল ইসলাম হত্যা ও লেডা নাছির নিজ মায়ের হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি।

সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাং লিডারদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান নিয়মিত চলমান রয়েছে। স্থানীয় থানাগুলোকে নির্দেশ দেয়া আছে যাতে কোনো অপরাধী এলাকায় অপরাধ বিস্তার করতে না পারে। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে অনেকে গ্রেফতারও হয়েছে।

এমএসএম / জামান

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত

চৌগাছা সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যহত