ঢাকা রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

শ্রমবাজারে অস্থিরতা দূর করতে মনোযোগ জরুরি


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ২৫-১-২০২৪ দুপুর ১:৫৩

দেশের দেড় কোটির বেশি মানুষ অভিবাসী হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ ইতালি ও শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ যুক্তরাজ্যে আছেন। বাকিদের মূল গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের তুলনায় প্রতিবেশী ভারতের অনেক বেশি অভিবাসী কর্মী বৈধভাবে ইউরোপে কাজ করছেন। আইএলও, আইসিএমপিডি ও ভারত সরকারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৩ লাখ ভারতীয় কাজের স্বার্থে ইউরোপে বসবাস করছেন। তবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে অনেক অভিবাসী ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এভাবে যাওয়ার সময় অনেকে ভয়াবহ বিপদে পড়েন, অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, অনেকে ইউরোপে আশ্রয় নিতে পারলেও পরবর্তী সময়ে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অথচ বৈধ পথে ইউরোপে কাজের সুযোগ থাকলেও আমরা অনেকেই সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানি না। আমরা জানি না, কীভাবে এই সুযোগ কাজে লাগানো যায়। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশ এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। বর্হিবিশ্বের কর্মসংস্থানে সুদিন ফেরায় এখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। বিদায়ী বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রফতানিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে গত বছর ১৩ লক্ষাধিক নারী পুরুষ কর্মী ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি লাভ করেছে। এর মধ্যে শুধু সৌদি আরবে গেছেন প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। গোটা বিশ্বে প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন।

প্রবাসী আয়ে আশার আলো দেখ দেখছে দেশ।তথ্য মতে গত বছরের ডিসেম্বরেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন প্রায় ১৫৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বরের এই অঙ্ক আগের মাস নভেম্বর ও গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়েও বেশি।গত বছরের নভেম্বরে প্রতিদিন এসেছিল ৬ কোটি ৪৩ ডলার। তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। জনশক্তি রফতানিতে অভূতপূর্ব সাফল্যের পেছনে প্রবাসে কর্মরত আত্নীয়-স্বজন এবং বায়রার সদস্যদের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে। শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্য মুখী না হয়ে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মী যাচ্ছে। তবে অদক্ষ কর্মীর চেয়ে উন্নত দেশগুলোতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের আওতায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ বৈধ পথে জনশক্তি পাঠাচ্ছে, যা সংখ্যার দিক থেকে নগণ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালি ও গ্রিসের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোমানিয়া, কসোভো ও বসনিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও অনেক ক্ষেত্রে এর নানা শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করতে পারছে না।উল্লেখ্য যে, আইনি কাঠামো ও প্রতারণার সুযোগ বিবেচনায় বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলো সমঝোতা স্মারকের চেয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আবার দেখা গেছে, অনেক অভিবাসী দালালের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বৈধ পথে রোমানিয়া বা পোল্যান্ডে যেতে দালালেরা তাঁদের কাছ থেকে সরকারের নির্ধারিত খরচের চেয়ে বেশি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এসব অভিবাসীর অনেকে আবার এসব দেশ থেকে জার্মানি, ফ্রান্সসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে চলে যাচ্ছেন। এতে করে ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, ২০০০ সালে ইউরোপে প্রতি হাজারে জন্মহার ছিল ১০ দশমিক ৯, যা ২০২১ সালে কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ। সুতরাং, ইউরোপে জনসংখ্যার ঘাটতি আছে। জেনে রাখা দরকার, কোভিড ও কোভিড-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে জার্মানিতে প্রচুর নার্স, চিকিৎসক ও ল্যাব টেকনিশিয়ানের চাহিদা ছিল। তখন সিরিয়াসহ অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের সনদ থাকলে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁদের ইউরোপের মানদণ্ড অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করে ইউরোপীয় শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই অবস্থা থেকে বোঝা যায়, ইউরোপে অনেক শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৯টি দেশে ২০২২ সালে শ্রমিকের কী পরিমাণ সংকট ছিল, তার একটা চিত্র পাওয়া যায়। ইইউ ট্যালেন্টপুল অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের দক্ষ কর্মীদের দিয়ে শ্রমের ঘাটতি দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বে এখন দক্ষ শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা। এই চাহিদা মেটাতে ইইউর পাশাপাশি কানাডা,জাপান, কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন খাতে দক্ষ লোকবল নিচ্ছে। ফলে ইউরোপকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে লোক নিতে হচ্ছে। বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা কেন ইউরোপের বাজার দখল করতে পারছি না, তার কিছু কারণ নিশ্চয় আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উদ্বাস্তু বিপুলসংখ্যক ইউক্রেনীয় শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। ইউরোপীয় দেশগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজ দেশের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। কাজেই চাহিদা থাকলেও চলমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই চাহিদাকে কমিয়ে দিতে পারে। তারপরও ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

সরকারি-বেসরকারি খাতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে দেশে ও বিদেশে যেসব গবেষণা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। ফলে ইউরোপে বিভিন্ন খাতে দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা ঠিক কতখানি এবং ভবিষ্যতে এই চাহিদার কোনো পরিবর্তন হবে কি না, এ সম্পর্কে আমাদের কাছে পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। যেমন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সমরাস্ত্র খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। এই খাতে শ্রমিকদের চাহিদাও বেড়েছে। তবে এই খাতে কোন ধরনের শ্রমশক্তি দরকার, সে সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই। দেশে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক ভাষায় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ইউরোপের স্কুল পর্যায়ে নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি ফরাসি, জার্মান, রুশ, স্প্যানিশ এসব ভাষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইউরোপে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং সমন্বিত পাঠ্যক্রমের আওতায় শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। অন্যদিকে দেশের কারিগরি শিক্ষার সুযোগ অপ্রতুল। অনেক ক্ষেত্রে তা ইউরোপের বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দেশে কারিগরি শিক্ষা সনদ ইউরোপের অধিকাংশ দেশের সনদের সমতুল্য নয়। আমাদের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক্রম সাধারণত স্থানীয় শ্রমবাজার এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কথা মাথায় রেখে প্রণয়ন করা হয়। ইউরোপের বাজারের তুলনায় এই পাঠ্যক্রম সামঞ্জস্যহীন। যেমন, জার্মানিতে অভিবাসীদের জন্য কঠোর নিয়মকানুন থাকলেও জার্মান সরকার ইইউর বাইরে থেকে আসা অভিবাসীদের দক্ষতা যাচাইয়ে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। রিকগনিশন ইন জার্মানি ও মেক ইট ইন জার্মানি নামক পোর্টালের সাহায্যে অভিবাসীরা তাঁদের দক্ষতা যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ পান। এমন সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে আমরা আমাদের পাঠক্রমকে ওই পর্যায়ে আনতে পারিনি।

বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা খাত বেশ অবহেলিত।দেশের 
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকসংকট আছে। কারিগরি শিক্ষকদের অনেকেরই আবার পর্যাপ্ত আধুনিক প্রশিক্ষণ নেই। ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য যুগোপযোগী পরীক্ষাগার রয়েছে হাতে গোনা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইউরোপের শ্রমবাজার সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব গবেষণার বিকল্প নেই। কারিগরি শিক্ষায় স্নাতক ও তাঁদের দক্ষতা-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের পরিসংখ্যান তৈরি করে সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিদেশে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কীভাবে চাকরি খুঁজতে হয়, সে সম্পর্কে জানাতে হবে। আমাদের নিজস্ব জব পোর্টাল তৈরি করতে হবে। কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জব পোর্টালে প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে চাকরিদাতাদের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। ইউরোপের দেশগুলোর নিয়োগকারী সংস্থাগুলো যেন আমাদের এই জব পোর্টালে প্রবেশাধিকার পায়, সে সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমাদের বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর যাঁরা মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যান, তাঁরা অদক্ষ অবস্থায় বিদেশে গেলেও দক্ষ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। তাই এসব দেশে লোক পাঠানোর সময় যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। পড়াশোনা বা কাজের বিনিময়ে দক্ষতা অর্জন করলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সনদ দেওয়ার প্রচলন আছে। মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির সময় এই শর্ত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যে অভিবাসীরা যেন কাজ শেষে সনদ পান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কারিগরি শিক্ষার পাঠক্রম অনেকটাই ইউরোপীয় আদলে তৈরি। চাইলেই এই সুযোগের সদ্ব্যবহার সম্ভব। বর্তমানে ২৭টি দেশের মিশনগুলো ৩০টি শ্রমকল্যাণ উইং অভিবাসন সমর্থিত কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে না।

অথচ এসব শ্রমকল্যাণ উইংয়ের ব্যয় ভার বহন করতে সরকারকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হচ্ছে। সৌদি আরবের রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত বাসা বাড়ীতে কর্মী নিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে।এদের অনেককেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ দিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট দালাল চক্র। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জনবল সঙ্কটের দরুণ অসহায় কর্মীদের সেবা প্রদানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারছে না। অথচ জনশক্তি রফতানি খাতই দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশি কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বিদেশে কর্মী গমনের প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ করতে পারলে আগামীতে এ খাতের মাধ্যমে দেশের চেহারাই পাল্টে যাবে। দেশে-বিদেশে আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারকে মাথায় রেখে পাঠক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমাদের সনদ যেন বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা না হারায়, সে জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে আমাদের বেকারত্বের হার বাড়ছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক বাজারে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বাড়ছে। সুতরাং, অভিভাবকদের মনোজাগতিক চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবে প্রচার চালাতে হবে। শিক্ষার্থীদের ধ্যানধারণার পরিবর্তনেও আমাদের কাজ করতে হবে। তাঁদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা জনপ্রিয় করতে হবে। কৃষি, কলকারখানা, উৎপাদন ও শিল্পক্ষেত্রে কারিগরি জ্ঞানের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে সক্ষম হলে দেশ আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের বিশ্বাস।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 

এমএসএম / এমএসএম

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ : গল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠুক সচেতনতার বাঁধ

রাজনীতি আজ নিলামের হাট: কুষ্টিয়া-৪ এ হাইব্রিড দাপটের নির্মম প্রতিচ্ছবি

জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিবে প্রবাসীরা, আনন্দে ভাসছে পরবাসে বাঙালীরা

বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা ও বাংলাদেশে তার প্রভাব

বাংলাদেশে ওয়াশিং প্ল্যান্টের বর্জ্য দ্বারা মিঠাপানির দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ

দলীয় পরিচয়ে পদোন্নতি ও বদলি: দুর্নীতির ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ

ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সমাধান: FBCCI-এর বিদ্যমান সেবার উৎকর্ষ সাধন

বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিসরকে একীভূত করা: অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য বিসিক কেন অপরিহার্য

সবুজ অর্থায়নের কৌশলগত বিশ্লেষণ: বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ