ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনদিন ব্যাপী গুড় মেলার উদ্বোধন
যশোরের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেছেন যশোরের ঐতিহ্যবাহি খেঁজুর গাছের রস-গুড়ের সুনাম রয়েছে। আমাদের এই যশ ধরে রাখতে হবে। এই ঐতিহ্য দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন গুড় মেলা সন্মদ্ধে আমার ধারনা ছিলনা। গুড়ের মেলায় এসে আমি অভিভূত। এখন আমি জানলাম গুড় মেলার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আমি মনে করি মেলা থেকে খেঁজুর গাছ সংরক্ষণের একটি বার্তা সকলের মধ্যে পৌঁছে যাবে। মেলা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পরিবেশকে সুন্দর রাখার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন গুড় উৎপাদনের সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে সব সময় সহযোগিতা করা হবে। তাই আমাদের পরিবেশ বান্ধব খেঁজুর গাছ বেশী কওে রোপন করা একান্ত দরকার। তিনি মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় উপজেলা চত্তরে যশোরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী খেঁজুর গুড় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উল্লেখিত কথাগুলো বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, গুড় মেলাটি চৌগাছা থেকে শুরু হয়েছে। মেলা থেকে গাছিরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি ক্রেতাসাধারণ ভেজালমুক্ত গুড় ক্রয় করতে পারবেন। তাই প্রতিবছর মেলার কার্যক্রম অব্যহত রাখতে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ড. এম মোস্তানিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কলামিস্ট মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি মাসুদ চৌধুরী, পৌর মেয়র নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসেন, গবেষক নকিব মাহমুদ প্রমূখ ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ, শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি, নূরুল কদর, অবাইদুল ইসলাম সবুজ, আব্দুল হামিদ, আবুল কাশেম, শাহীনুর রহমান, আতাউর রহমান লাল ও এস এম মমিনুর রহমান, প্রেসক্লাব চৌগাছার সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ইয়াকুব আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম উজ্জ্বলসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, খেজুরগাছ চাষি, গাছি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার গুড় মেলার স্টল পরিদর্শণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মেলার বৈশাখী মঞ্চে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এমএসএম / এমএসএম