ইবিতে জুতা পায়ে মুজিব ভাস্কর্যে সমালোচনার ঝড়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সংবর্ত-৩৬ ব্যাচের আয়োজনে ‘ব্যাচ ডে’ পালিত হয়েছে। এসময় তাদের গায়ে থাকা টি-শার্টে বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লেখা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মৃত্যঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে তাদের জুতা পায়ে উল্লাস করতেও দেখা যায়।এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে সমালোচনার ঝড় উঠেছ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তবে তাদের কর্মকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাদা টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ও জনসম্মুখে প্রকাশযোগ্য নয় এমন বাক্য লিখেছে। কেউ কেউ শিক্ষকদের নিয়েও বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখেছে নিজেদের টি-শার্টে। তাদের মধ্যে অনেককেই জুতা পায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের উপর নাচানাচিসহ উল্লাস করতে দেখা যায়।এ ব্যাচ ডে অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, যেটা হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা নতুন হওয়ায় অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। তবে টি-শার্টে অশ্লীল বাক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, কে বা কারা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাচ ডে নামক অপসংস্কৃতি বাংলাদেশে চালু আছে, যেখানে টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লেখা। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে আনন্দ করবে ঠিক আছে। তাই বলে তারা কুরুচিপূর্ণ আচরণ করবে, এটা মানানসই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছে এমন আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না।তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আদর্শের জায়গা। তার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে নাচানাচি করা অবশ্যই জাতির জন্য অসন্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আচরণবিধির বিষয়ে দিকনির্দেশনা সাপেক্ষে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। আমরা বিষয়গুলো দেখেছি এবং আগামী শনিবার প্রক্টর অফিসে তাদেরকে ডেকেছি। সার্বিক বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখব।এ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটার আয়োজক কারা বা কেনো করেছে, তা আমি জানি না। তবে যদি এমন কুরুচিপূর্ণ বাক্য কেউ ব্যবহার করে, তাহলে অবশ্যই সেটি একটি নিন্দনীয় কাজ। আমি বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখবো
এমএসএম / এমএসএম

‘গণরুম-গেস্টরুমের অপসংস্কৃতি ফিরতে দেবো না

জকসু ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাস স্ট্যান্ড সরানোর সিদ্ধান্ত

কলেজে ভর্তি শুরু আজ, সর্বোচ্চ ফি ৮৫০০ টাকা

ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন, সমর্থন দিলেন বাকেরকে

ইবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে নেতৃত্ব উন্নায়ন কর্মশালা

ধ*র্ষ*ন হুমকির প্রতিবাদে গোবিপ্রবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঢাবি ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

সেই আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

নীলফামারিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

গোবিপ্রবি উপাচার্যের কাছে ছাত্রদলের চার দফা দাবী

এবার রেলপথ অবরোধ করলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
