মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরা বেতন তুলতে পারছেনা

মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজের এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা ,কর্মচারিরা সরকারে দেয়া বেতন-ভাতা তুলতে পারছেননা বলে অভিযোগ করছেন ওই স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষকরা। তারা বলেন, সরকারের বেতন-ভাতা তুলতে দিচ্ছেন না স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক গভানিং বডির সভাপতি ও তার সদস্যরা।
গতকাল রোববার সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান। তারা বলেন, স্কুলের একটি স্বার্থনে¦ষী মহল মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজকে ট্রাস্টে নেয়ার জন্য এমপিও থেকে দেয়া বেতন-ভাতা তুলতে দিচ্ছেনা। কারন শিক্ষক ও কর্মচারিরা সরকারি বেতন তুললে ওই প্রতিষ্ঠানকে আর ট্রাস্টে নেয়া যাবেনা। এ জন্য গত বৃহস্পতি বার সংসদে রাষ্ট্রপতির দেয়া ভাষণের উপর বক্তব্য দেয়ার সময় ওই স্কুলের সাবেক গভার্নিংবডির সভাপতি সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ ট্রাস্টের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করছেন যা অসত্য ও মনগড়া এবং বিভ্রান্তি মূলক বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মনিপুর স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষক আলমগীর জামিল ও অভিভাবক একলিমুর রেজা কোরাইল।তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারিতাও চলেছে। প্রতি বছর পুনঃভর্তি ও বিভিন্ন খাতে অযৌক্তিক ফি আদায়ের বিষয়টি অভিভাবকদের জন্য অসহনীয় হয়ে ওঠে। প্রতি বছর আট হাজার টাকা দিয়ে পুনঃরায় ভর্তি করাতে হয় ও বিভিন্ন চার্জ ধার্য করা হয়। যেমন বর্তমানে ১৫০ টাকা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আইসিটি চার্জ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এ জন্য আমরা কোনো সুফল পাই না। মনিপুর স্কুলে বার্ষিক আয় প্রায় শত কোটি টাকার ওপরে। এছাড়া, শিক্ষক নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্যে আয় হয় প্রায় আরও কয়েক কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরোও অভিযোগ করা হয়, কমিটির সদস্য ও এডহক কমিটির সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেন ৪০০ কোটি টাকা, সাবেক অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন ৩০০ কোটি টাকা ও অধ্যক্ষের পিএ হুমায়ুন ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে সুসংবাদ হচ্ছে, আমাদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে একলিমুর রেজা কোরাইশ মামলা দায়েরের কারণে অবৈধ ট্রাস্টের সদস্য সদস্যরা বিদ্যালয় থেকে টাকা ভাগাতে পারেনি। ফলে এ বছর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির টাকা ফান্ডে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বয়স আগামী ৯ ই মার্চ ৬০ বছর পূর্ণ হবে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ নিয়োগ আবশ্যক।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো এডহক ম্যানেজিং কমিটি বা পূর্ণাঙ্গ কোনো কমিটি না থাকায় এত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা কঠিন। তাই বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক শৃঙ্খলা, ফলাফল, শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবকের ওপর প্রভাবশালী মহলের যে অযাচিত হস্তক্ষেপ ও হয়রানি... ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে প্রভাবমুক্ত রাখতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজের) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১.১৩ এর বিধি বলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে একজন দক্ষ আর্মি অফিসার (বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অব. বা নিয়মিত) অথবা প্রশাসনিকভাবে দক্ষ শিক্ষা ক্যাডারকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তারা আরও বলেন, এসব অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হওয়া দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মতান্ত্রিক স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসা দরকার। তাই এই স্কুল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করেন তারা। ###
এমএসএম / এমএসএম

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী
