ঢাকা রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

রহমতের বার্তা নিয়ে এলো রমজান


মো. আবু তালহা তারীফ  photo মো. আবু তালহা তারীফ
প্রকাশিত: ১১-৩-২০২৪ দুপুর ৩:৫৭

রহমতের বার্তা নিয়ে শুরু হলো মাহে রমজান। মুসলিম উম্মাহর জন্য বছরের শ্রেষ্ঠ সময় রমজান মাস। মহিমান্বিত এ মাসে ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবার থেকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত অর্জন করা যায়। হাদিস শরিফে এই মাসকে তিনভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম দশদিন রহমত, তারপর মাগফেরাত ও শেষের দশদিন নাজাত।
রমজান মাসের প্রথম দশক রহমতের প্রথম দিন আজ। রহমত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ মুমিনের হৃদয়ে রহমত ঢেলে দেন। ফলে প্রিয় বান্দারা রমজান এলেই টুপি-পাঞ্জাবি পরিধান করে, হাতে সুন্দর জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে ইবাদতে বসে যায়। অন্য সময়ে মাথায় টুপি দেখতে না পেলেও রহমতের কারণে মুসুল্লিরা মাথায় টুপি ও ইফতারের পূর্বে মিসওয়াকও করতে দেখা যায়।

রমজানের মাসকে ইবাদের বসন্তকালও বলা হয়। রমজানের আগমনে সব কিছু মুখরিত হয় নতুন জীবনের জয়গানে। শয়তানের দৌরাত্ম্য থাকে না। আকাশ বেয়ে নেমে আসে রহমতের বর্ষা। আল্লাহ বেহশেতের দরজা খুলে দেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন রমজান মাস আসে আসমানসমূহ খুলে দেওয়া হয়।’ আরেক হাদিসে এসেছে, ‘রমজান মাসের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতের দরজা খোলা ও জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।’ (তিরমিজি) রোজাদার ব্যক্তিদের আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। স্বীয় রহমতের চোখে তাদের দেখেন। এ জন্য আল্লাহ তায়ালা রোজাদার ব্যক্তিদের পুরস্কার নিজে হাত দ্বারা দেবেন। এর চেয়ে রহমত আর আমাদের জন্য কী হতে পারে? যে স্বীয় মালিকের হাতে থেকে পুরস্কার পাওয়ার আনন্দটা ভিন্নরকম।
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, ‘বনী আদমের সব আমলের বিনিময় দশগুণ হতে সাতশ গুণ পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু আল্লাহ বলেন, রোজা এর ব্যতিক্রম। কেননা রোজা আমার আমার জন্য। আর এর বিনিময় আমিই দান করব।’ (বুখারি ও মুসলিম)

রমজানের রহমত পেতে হলে বান্দাকে অবশ্যই কুপ্রবৃত্তি ত্যাগ করে আত্মশুদ্ধি হতে হবে। সৎগুণাবলি অর্জন করতে হবে। পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা তৈরি করা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। রোজা রেখে দুর্নীতি করা যাবে না। কালোবাজারি করা যাবে না। মুনাফেকি করা যাবে না। জুলুম-নির্যাতন করা যাবে না। ধূমপান, মদ্যপান করলে রহমত পাওয়া যাবে না। অসৎ চিন্তা থেকে নিজকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কাউকে ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
অবশ্যই রোজা রেখে মিথ্যা বা গিবত করলে রহমতের আশা কখনও করা যাবে না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও তদানুযায়ী আমল করা বর্জন করেনি, তার এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি)
সর্বোপরি আমাদের সবার উচিত রহমতের আশায় আগত মাহে রমজানের সব রোজা পালন করা। আল্লাহর রহমত পেয়ে মাগফেরতের দশকে নিজের ও মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্ষমা চাওয়া। রোজা পালন করার মধ্যে রয়েছে সফলতা। কেননা বেহেস্তের মধ্যে আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো রাইয়ান । রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাইয়ান নামক দরজা দিয়ে রোজাদার ব্যতীত অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
লেখক :সাংবাদিক

এমএসএম / এমএসএম

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি

টেকসই উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও বাস্তবতা

গাজায় যুদ্ধের নৃশংসতা ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালত

বন্ধ হোক অপসাংবাদিকতা

বিভাজনের রাজনীতি দেশের জন্য হুমকি হতে পারে

প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের স্বপ্নের সৌদি আরব

শারদীয় দুর্গোৎসবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ ভাবনা

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজন পর্যটন গন্তব্যগুলোর সামগ্রিক উন্নয়ন এবং শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং

গণতান্ত্রিক অধিকার ও নতুন নেতৃত্বের অন্বেষণ

দুঃখই সবচেয়ে আপন

জাতিগত নিধন বন্ধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা

গণতান্ত্রিক হতে হলে মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে হয়