ইবিতে প্রো-ভিসির নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্য ফাঁস
নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার চন্দন কুমার দাসের একটি ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট’ ফাঁস হয়েছে।গত রবিবার (১০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ‘ইবির ভাইরাল নিউজ’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে উপ-উপাচার্যের মোবাইল নাম্বার সম্বলিত (০১৭১১০০৭১৯২) হোয়াটসঅ্যাপের তিনটি স্ক্রিনশন সম্বলিত একটি চ্যাট পোস্ট করা হয়।উক্ত চ্যাট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের সঙ্গে উপ-রেজিস্ট্রার চন্দনের সঙ্গে রশিদ নামে মালি নিয়োগে একটি চাকরিপ্রার্থীর আর্থিক লেনদেন ও চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে কথোপথক বলে দাবি করা হয় পোস্টের ক্যাপশনে।এ ঘটনায় সোমবার উপাচার্যের একান্ত সচিব সোহেল রানা ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরিভুক্তির (জিডি) আবেদন করেছেন।জিডি নং: ৪৪৪।জিডিতে বলা হয়, গত ১০ মার্চ রাত ১১টায় ইবি ভাইরাল নিউজ নামক অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডি থেকে উপ-উপাচার্যকে জড়িয়ে (মালী নিয়োগ নিয়ে প্রো-ভিসি খাম্বা মাহবুবুর রহমানের সাথে তার ঘনিষ্ট চন্দনের কথোপকথন ফাঁস। রশিদের চাকুরি শিওর করেছেন প্রো-ভিসি খাম্বা মাহবুব) শীর্ষক একটি মিথ্যা স্ট্যাটাস দেয়। উক্ত বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখতে পেয়ে অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডির সম্পর্কে এবং এরূপ মিথ্যা স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।স্ক্রিনশটগলোতে দেখা যায়, নিয়োগের বিষয়ে আপডেট জানতে চেয়ে অপরপাশ থেকে উপ-উপাচার্যকে মেসেজ দেওয়া হয়। তখন উপ-উপাচার্য তাকে চন্দন বলে সম্বোধন করে এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানাবেন বলে জানান। প্রতিউত্তরে চন্দন লিখেন ‘স্যার রশিদ আমার কাছে ৮ দিয়ে গেছে। প্লিজ একটু দেখেন স্যার।’তখন উপ-উপাচার্য তার সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন বলে মেসেজ দেন। এর প্রায় আড়াই ঘন্টা পর রশিদের চাকরি নিশ্চিতের কথা জানিয়ে পুনরায় চন্দনকে মেসেজে লিখেন ‘রশিদ ডান। ডোন্ট ওরি। ভিসি প্রবলেম করতেছিলো। বাট এভরিথিং ওকে নাও।’এছাড়াও অর্থের পরিমাণ বাড়াতে রশিদকে বলার জন্য চন্দনকে মেসেজ দেন তিনি। এবং বাড়ানো বিষয়টা খেয়াল রাখতে পরবর্তীতে আবার মেসেজ দেন। জবাবে চন্দন লিখেন, ‘আমি বলেছি স্যার। আফটার জয়েনিং ২ দিতে চেয়েছে।’এ বিষয়ে চন্দন কুমার দাস বলেন, স্ক্রিনশটগুলো আমি দেখেছি। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এ বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালোভাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাবে।উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, এগুলো অসভ্যতামি, অরুচিকর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। একটি পক্ষ নিজেরা এসব বানিয়ে আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে থানায় জিডি করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম