ইয়াবার মামলা থেকে বাঁচাতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ

টেকনাফের ২ টি ইয়াবার মামলা থেকে ৩ আসামিকে বাঁচাতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষের মৌখিক চুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। চুক্তিমোতাবেক ২৮ লাখ টাকা, ব্ল্যাংক চেক ও স্ট্যাম্প গ্রহণ করেও শেষ রক্ষা করতে না পারায় বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল পর্যন্ত পৌছেছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিএমপি কমিশনার বরাবরে কনস্টেবল নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার পুটিবিলা গ্রামের নুরুল আলমের পুত্র গোলাম মাওলা নামের এক ভুক্তভোগী। কনস্টেবল নুরুল ইসলাম বর্তমানে সিএমপির নগর বিশেষ শাখার পাঁচলাইশ থানা এলাকায় কর্মরত। অভিযোগকারী গোলাম মাওলা নিশ্চিত করে জানান, পাহাড়তলী জোনের সিআইও (পুলিশ পরিদর্শক) মো. আব্দুল করিম আমার দেয়া অভিযোগটি তদন্ত করছেন। আমাকেও ডেকেছিলেন আমি আমার বক্তব্য দিয়ে এসেছি। বিবাদী খুব বিচক্ষণ তদন্ত প্রতিবেদন নিজের পক্ষে নেয়ার নানা কৌশলে চেষ্টা করছে বলে শুনেছি, বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে তদবীর করছে। এবিষয়ে জানতে একাধিকবার কল ও বার্তা দিয়েও তদন্তকারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর একই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ” টেকনাফ থানার ২ টি ইয়াবা মামলার (মামলা নং-৩৭২৬/২০২০ ও ৩৭২৭/২০২০, তারিখ: ১৫/০৬/২০২০) ৩ আসামি মো. সালেম প্রকাশ শাহ আলম, মো. কাশেম ও হাফেজ উল্লাহকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে ৫০ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি হয় অভিযোগকারির ছোট ভাইয়ের বউয়ের আপন মামা কং-৪৮২ তৎকালীন চকবাজার থানার পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত কনস্টেবল মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের সাথে।
৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে ৩ আসামীকে ২টি মামলা হতে মুক্ত করতে পারবেন বলে কথা দেন। চুক্তি অনুযায়ী কনস্টেবল মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম দফায় দফায় টাকা গ্রহণ তরতে থাকে। প্রথমে তার ভায়রা ভাই মোঘল ট্রেডার্সের মালিক একরাম আলী খান এর নিকট নগদে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর ২য় দফায় একই ব্যক্তির মাধ্যমে আরো ৫ লাখ টাকা এবং কনস্টেবল মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে এস.এ. পরিবহন, কক্সবাজার শাখা হইতে নাসিরাবাদ শাখায় ৪ লাখা টাকা পাঠানো হয়েছে। কিছুদিন পরপর তিনি আবারো টাকা চাইলে বিভিন্ন লোকের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ১ লাখ, ২ লাখ করে কাজ হয়ে গেছে বলে অফিস খরচের দোহাই দিয়ে ৯ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছেন।
দফায় দফায় ২৮ লাক টাকা গ্রহণ করার পর কাজ হয়ে গেছে বলে জামানত বাবদ স্বাক্ষর যুক্ত ৩টি ১০০ টাকার খালি স্ট্যাম্প ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের সই যুক্ত ২টি চেক নিয়ে নেন। এরপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ এবং ফোন রিসিভ করে না এবং আসামীদের জামিনের ব্যবস্থা করছেন না।
গ্রহণ করা টাকা ফেরৎ চাইলে প্রথমে কিছুদিন পরে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও পরে তিনি অভিযোহকারির নামে বিভিন্নভাবে মামলা দিবে বলেও হুমকী দেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির নগর বিশেষ শাখার কনস্টেবল মো. নুরুল ইসলাম টাকা আত্মসাৎ ও ইয়াবা মামলার আসামীকে বাঁচানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারি গোলাম মাওলা আমাদের আত্মীয়, আমাকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করছে। তবে ভায়রা ভাই একরাম আলী খান’র মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা, এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা ও বিভিন্ন লোকের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এব্যপারে নুরুল ইসলামের ভায়রা ভাই মোঘল ট্রেডার্সের মালিক একরাম আলী খান প্রথমে গোলাম মাওলাকে চিনেন না বললেও পরে আবার তার সাথে ২ বার দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকর করেছেন। বাদির কাছ থেকে আপনার বাসায় বসে টাকা নেওয়ার একটা ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে আছে, সেই টাকাটা কোন কাজের জানতে চাইলে কোন সদুত্তর না দিয়ে ব্যস্ততার অজুহাতে কল কেটে দেন।
এমএসএম / এমএসএম

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ

নেছারাবাদে স্থানীয় চার যুবকের সাহসে টাওয়ার থেকে উদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

তারাগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু, খামারীর লিখিত অভিযোগ

টাঙ্গাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির মূলহোতা'সহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ভন্ড রাজার বাগের আস্তানা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল
