ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

দুই টুকরো কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ


চট্টগ্রাম অফিস photo চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশিত: ২১-৩-২০২৪ দুপুর ৩:৪

দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ। বর্তমান ও সাবেক প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর বলয়ে অবস্থান নিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

ফলে, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভক্তি এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। নেতারা দলের মধ্যে থাকা অনৈক্য দূর করতে চাইলেও তা হয়ে উঠছে না। যার কারণে কর্মীরাও তাদের বলয়ের নেতাদের কারণে কর্মীদের মধ্যেও বিভক্তি লক্ষ্য করা গেছে। কর্ণফুলীতে অনুষ্ঠিত গত কয়েকটি আলোচনা সভায় বিষয়টি ফুটে উঠেছে। 

দুই বলয়ে বিভক্ত কর্ণফুলী আওয়ামী লীগ। দৃশ্যমান ফাটলেই জেগে ওঠেছে দুটি বলয়। দুই টুকরো। চট্টগ্রাম ১৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি সাবেক ভূমিমন্ত্রী হওয়া এবং নতুন মন্ত্রী সভায় অর্থপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি জায়গা করে নেবার পর থেকেই কর্ণফুলীতে দলীয় বিভেদ বাড়ে। এক বলয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রী অন্য বলয়ে অর্থপ্রতিমন্ত্রী।

জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে পৃথক দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা ছাড়াও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও দুই বলয়ে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে গেছে।

কর্ণফুলীকে অতীতেও দুই ধারার নেতা-অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও কোন্দলের নজির ছিলো। এরপরও কখনো নিস্তেজ হয়নি উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপি বা কোনো দল আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের সুযোগও নিতে পারেনি। তবে বিভিন্ন দ্বিধাদ্বন্দ্বে নেতৃত্ব নিয়ে দুই ধারার অনুসারীদের মধ্যে এখন ফেসবুক জুড়েও ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে।

দু’পক্ষই দলীয় সমঝোতা বিনষ্টের জন্য পরস্পরকে দুষছে। দিচ্ছেন একে অপরকে নানা হুঁশিয়ারও। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, তৃণমূল কর্মীদের অবজ্ঞা, মাইম্যান রাজনীতি, অন্য দলের লোক এনে ব্যক্তি রাজনীতির বহর বড় করা, দলের নিবেদিত কর্মীদের শোষণ করার কারণেই দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বলছেন, কর্ণফুলীতে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনগুলো দলীয় কাঠামোতে চলে না। দল চলে বিশেষ ব্যক্তি দ্বয়ের পছন্দে অপছন্দে। সে কারণে এ ভাঙ্গনের কথা বলে জানান। 

অনেকেই মন্তব্য করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কতটা সংগঠিত সেটা ৭ই মার্চের কর্মসূচি পালন না করার মাধ্যমেই জানান দিয়েছে। ওখানেই আদর্শিক চর্চা হচ্ছে কতটা তা পরিষ্কার। এমন মন্তব্য একাধিক নেতাকর্মীর।

অপরদিকে, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতাকর্মীরা এখন নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে পালটাপালটি অভিযোগ ছাড়াও প্রকাশ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছেন। মাঠ দখলের লড়াইয়ে চলছে পেশিশক্তির প্রদর্শনীও।

জাতীয় সংসদে নির্বাচনের পর ও বিভিন্ন এলাকায় কমিটি দেওয়ার পরেও কর্ণফুলীতে দলীয় কোন্দল বেড়েছে। দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সৃষ্ট বিরোধ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। 

উপজেলার বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একে অন্যকে ইঙ্গিত করে পোস্ট দিচ্ছেন। এ নিয়ে চিন্তিত দলের সিনিয়র নেতারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত নানা সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ফলে দলটির ভেতরে কোন্দল বাড়ছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে পাওয়া-না-পাওয়া থেকে ক্ষোভ ও মত বিরোধ এবং অন্তর্কলহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কর্ণফুলী আওয়ামী লীগও।

তাদের মতে, আওয়ামী লীগের পদ-পদবি পেলে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। আর এ কারণেই তারা যে কোনো উপায়ে কাক্ষিত পদ-পদবি পেতে মরিয়া হচ্ছেন। 

বর্তমানে কর্ণফুলী জুড়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এখন আলোচনার প্রধান বিষয়। অনেকটা মাথাব্যথারও কারণ এটি। পদে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধ মেটাতে আগ্রহী নন। বরং প্রকাশ্যে একে অপরকে কাঁদা ছুড়ছেন।

দুই প্রভাবশালী সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়লেও কেউ কেউ কৌশলী অবস্থান নিয়ে অনেকটাই নীরব রয়েছেন। 

তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমান মন্ত্রীর পক্ষে গেলে সাবেক মন্ত্রী নাখোশ হতে পারে। আবার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে গেলে স্থানীয় নেতারাও নাখোশ হন। এই অবস্থায় নীরব থেকে অপেক্ষায় আছেন অনেকেই। আবার স্থানীয় প্রশাসনও পড়েছেন দোটানায়। নানা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদেরকেও।

জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, 'গত উপজেলা নির্বাচনে তাঁদের কেউ কেউ নৌকার মনোনয়ন চাইলেও পায়নি। নৌকা না পেয়ে সরাসরি নৌকার বিরোধী করেছে। যার কারণে দল তাঁদের বহিষ্কারও করেছে। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলো। ওখানেও কোন পদ পদবি পায়নি। এখন একটি ফ্ল্যাটফর্ম পেয়েছে। ওখানে গিয়ে যোগ দিয়েছে। ওদের সাথে আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের পুূর্ণাঙ্গ কমিটির কেউ নেই। যারা পদ-পদবিতে আছে। যদিও নেভী হারুন নিজে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। চয়েসফুল পদ না পাওয়ায়।'

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ  সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শধারণকারী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের তৃণমুল নেতাকর্মীরা সুসময়ে এসে অশুভ সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী মহোদয়কে কান ভারী করায় প্রকৃত তৃণমূল যারা তাঁরা নির্যাতিত ও বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি অবমূল্যায়ন ও অপমান করা হচ্ছে। যে কোন কমিটিতে তাঁদের বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটেরা তাদের মাইম্যান, সুযোগসন্ধানী, অনুপ্রবেশকারীদেরকে কমিটির মূল পদবিতে বসিয়েছে। তাদের এই সূদুরপ্রসারি কর্মকাণ্ড তরান্বিত করে প্রকৃত তৃণমুলকে কোনঠাসা করায় আজকের এই পরিস্থিতি।'

এমএসএম / এমএসএম

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ

নেছারাবাদে স্থানীয় চার যুবকের সাহসে টাওয়ার থেকে উদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

তারাগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু, খামারীর লিখিত অভিযোগ

টাঙ্গাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির মূলহোতা'সহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ভন্ড রাজার বাগের আস্তানা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চুরি মামলা, উদ্ধারকৃত দুই সিএনজি গায়েব!