বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহব্বান আরপিএসইউ উপাচার্যের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়েছেন আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়।
শনিবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক মহাবীর পতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উপদেষ্টা আবু আলম মো: শহিদ খান, আরপিএসইউ কোষাধাক্ষ্য অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ শীল। এ সময় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই দেশের স্বাধীনতা কখনোই আসত না। প্রথম মুসলিম লীগের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির পথে যাত্রা। ভাষা আন্দোলনে তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেওয়ার কারণেই তাঁর জেলজীবন শুরু। জেলখানায় বন্দী থেকেও তিনি ভাষার দাবিকে উসকে দিয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালে প্রথম ৬ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। এই ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলন ঠেকাতে পশ্চিমা সামরিক শাসক আইয়ুব খান ‘ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায়’ শেখ মুজিবকে প্রধান আসামি করে প্রহসনের বিচার শুরু করেন। এ দেশের মানুষের গণদাবির মুখে উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করার পর শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। সেই থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু নামে ভূষিত হন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বজ্রকণ্ঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানেই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর হত্যাকাণ্ড শুরু করে। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দানবীয় রণদা প্রসাদ সাহাসহ দেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর দেশ হয় স্বাধীন। বক্তাদের মতে, মতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়। এটি সব জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা।
অত্র আলোচনা সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডীন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মোঃ আসাদুজ্জামান।
এমএসএম / এমএসএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন
জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ নির্বাচন: সাধারণ সম্পাদক পদে তরিকুল ইসলামের ইশতেহার ঘোষণা
মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি
ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ
ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত
ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন