ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

কে মিথ্যে বলছে হাসপাতাল না গণপূর্তের দপ্তর!


জাহিদুল ইসলাম শিশির photo জাহিদুল ইসলাম শিশির
প্রকাশিত: ১৭-৮-২০২১ রাত ১০:২

গণপূর্তের হাসপাতাল শাখায় বিভিন্ন হাসপাতালের মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে কাজ না করেই সমুদয় বিল তুলে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল ও গণপূর্তের সংশ্লিষ্ট শাখা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন মেরামত ও সংরক্ষণে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বরাদ্ধকৃত সমুদয় বিল তুলে নিয়েছে কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। গণপূর্তের হাসপাতাল শাখা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তাদের সমুদয় বিল পরিশোধ করেছে। কিন্তু অধিকাংশ কাজই হয়নি। দৈনিক সকালের সময়ের অনুসন্ধানে উঠে এসছে এমন চিত্র। 

জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অনুকূলে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মেরামত ও সংক্ষণ খাতে ৫৯৯টি কাজের বিপরীতে সারা দেশে ৬০ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আওতাধীন ১৯টি কাজের বিপরীতে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার  অনুমোদন দেয়া হয়। এ কাজের জন্য নির্ধারিত সমুদয় অর্থ তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন ছাড়াই সব বিল দিয়েছে গণপূর্তের সংশ্লিষ্ট শাখা। 

কাজের চূড়ান্ত বিল প্রাপ্তির ১৩নং শর্তে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য স্থাপনা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় দপ্তর/ প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়মিত মেরামত কাজ তদারক ও পরিদর্শন করবেন। চূড়ান্ত বিল প্রদানের পূর্বে কাজের মান, পরিমাণ, সংখ্যা, ইত্যাদি প্রাক্কলন অনুযায়ী যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা এ মর্মে স্বাস্থ্য স্থাপনা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় দপ্তর প্রতিষ্ঠান প্রধান এর লিখিত প্রত্যয়ন গ্রহণ করতে হবে। অনুমোদিত প্রাক্কলন অনুযায়ী, কাজের পরিমাণ সংখ্যা মান, ইত্যাদি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন না করে ঠিকাদারকে চূড়ান্ত বিল প্রদান করা যাবে না। বিল প্রাপ্তির ১৬নং শর্তে বলা হয়েছে, প্রকল্প স্থাপনার মেরামত পূর্ববর্তী স্থির এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করতে হবে। ধারণকৃত স্থির ও ভিডিও চিত্র যে কোন সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবলোকনও যাচাইয়ের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাজের ক্ষেত্রে এমন স্থির ও ভিডিও চিত্র সংরক্ষিত আছে কিনা তা জানতে চাইলে মেডিকেল কলেজের সচিব এ জেড এম আনোয়ারুল করিম কোন উত্তর দেননি।  উল্লেখিত কাজ বুঝে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রত্যয়ন দিয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভবত দেয়া হয়নি। তিনি এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তিনি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, প্রত্যয়নপত্র তিনি স্বাক্ষর করেন না। তাই এ ব্যাপারে তার কিছুই বলার নেই। এ দিকে  ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রধান সহকারি কর্মকর্তা আইরিন আক্তার দৈনিক সকালের সময়কে  জানান, কাজের সমস্ত কিছু দেখাশোনার দায়িত্ব সচিবের। তিনি এ ব্যাপারে সব বলতে পারবেন। একই কথা বলেন, ঢাকা মেকিলে কলেজের প্রিন্সিপাল  প্রফেসর ডা. মো. টিটো মিয়া। তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেন ইজ দ্যা রাইট পার্সন। তিনিই সব বলতে পারবেন। তিনি আরো জানান, আমার জানা মতে, কাজের প্রত্যয়ন দেয়া হয়নি। কারণ এ ব্যাপারে আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা কাজ করছে বলে জানি। এর মধ্যে প্রত্যয়ন ছাড়া কিভাবে সমুদয় বিল ঠিকাদিারি প্রতিষ্ঠানকে গণপূর্ত পরিশোধ করতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে হাসপাতালে গণপূর্তের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের সাথে কথা বলতে দৈনিক সকালের সময়ে অনুরোধ করেন তিনি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাজের দায়িত্বে থাকা সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাইফুর রহমান দাবি করেন তাদের কাছে কলেজ কর্তৃপক্ষের দেয়া প্রত্যয়নপত্র রয়েছে। সেই প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতেই বিল পরিশোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।হাসপাতাল শাখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এস তৌহিদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, প্রত্যয়নের ভিত্তিতেই সমুদয় বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এর বাইরে কোন কিছুই হওয়ার কথা নয়। এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলে কে মিথ্যে বলছে মেডিকেল কলেজ দপ্তর! নাকি গণপূর্তের সংশ্লিষ্ট দপ্তর!

এমএসএম / এমএসএম

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ

বিসিএসআইআরের ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় ভাগ বাটোয়ারা

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে