ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হাইমচরের শিশু তানজিলা বাঁচতে চায়
ফুটফুটে শিশু তানজিলা। বয়স মাত্র ৬ বছর। এখনো দুনিয়ার কিছুই বুঝার বয়স হয়নি তার। বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার স্বাদও বুঝে না শিশু তানজিলা। যে বয়সে পুরো পরিবার মাতিয়ে রাখার কথা সে বয়সেই হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে তানজিলা।
৬ বছর বয়সেই তাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালাতে হচ্ছে। এটি কিসের সংগ্রাম তাও ঠিকঠাক বুঝে না তানজিলা। তবে সবই বুঝেন তার পরিবারের লোকজন। কারণ ছোট্ট তানজিলার কচি শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার।
শিশু তানজিলা চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের নয়ানী লক্ষীপুর এলাকার মো. মিজান ছৈয়াল এর মেয়ে।
ওই শিশুর প্রতিবেশী আবুল খায়ের বাশার মিজি জানান, ৬ মাস মাস আগে হঠাৎ প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয় আলিফা। এরপর তাকে চাঁদপুরে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। তবুও কিছুতেই তানজিলা সুস্থ হচ্ছিল না। শেষমেশ চিকিৎসক পরামর্শ দেন ঢাকায় নেওয়ার। পরামর্শ অনুযায়ী তানজিলাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে ডাক্তার দেখাই। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তানজিলার ব্লাড ক্যান্সার শনাক্ত হয়।
এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে সেখানেই ভর্তি করা হয়। ১ মাস ভর্তি থাকার পরে এখন বাড়িতে নিয়ে আসছি। বর্তমানে তানজিলার অবস্থা ভালো না তাই সেখানে চিকিৎসা নিতে যেতে হবে । চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখানে তার কেমোথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা করাতে হবে।
স্থানীয় জসিম মিজি জানান, তানজিলার বাবা আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল না। তিনি একজন দিনমজুর মাসিক পনেরো হাজার টাকার মতো মাসে উপার্জন করতে পারেন। তবে এরই মধ্যে গত ছয় মাসে তানজিলার চিকিৎসায় বাড়িতে থাকা গবাদিপশু বিক্রির টাকা এবং আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া সহযোগিতায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়ে গেছে। এখন আর কোনোভাবেই টাকা জোগাড়ের সাধ্য নেই। তবে চিকিৎসক বলেছেন; তানজিলার পুরো চিকিৎসায় অন্তত আরো কয়েক লাখ টাকার মতো খরচ হবে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা না পেলে অকালেই ঝরে যাবে তানজিলার জীবন। তাই সবার কাছে অনুরোধ করছি তানজিলার বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য।
ক্যান্সার আক্রান্ত ওই শিশুর বাবা মো. মিজান ছৈয়াল ও মা মোসা. হাসিনা বেগম বলেন, তানজিলা কে নিয়ে আমার মোট ৪ সন্তান। তানজিলা সবার ছোট। ওর বাবার আর্থিক অবস্থা তত ভালো না। তানজিলার ক্যান্সার আক্রান্তের খবর শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। ডাক্তার জানিয়েছেন তানজিলার চিকিৎসায় দরকার হবে অন্তত কয়েক লাখ টাকা। আমি আমার এই ফুটফুটে ছোট্ট মেয়েটাকেও হারাতে চাই না। তাই অনুরোধ করছি; মানবিক দিক থেকে হলেও যেন আমার মেয়ে তানজিলার চিকিৎসায় সবাই এগিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফেদৌউস আক্তার জানান, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকারিভাবে অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের এখানে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনটি আমরা জেলা অফিসে প্রেরণ করেছি।
উল্লেখ: আপনিও কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে তানজিলার পাশে থাকতে পারেন। তানজিলার পরিবারের বিকাশ নাম্বার 01604709296,
নগদ নাম্বার- 01834106488।
এমএসএম / এমএসএম