ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

সাংবাদিক পরিচয়ে মেয়েদের সাথে প্রতারণাই ছিলো মুনতাসীরের নেশা


মোস্তাফিজুর রহমান  photo মোস্তাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: ২০-৫-২০২৪ বিকাল ৫:১৮

সাংবাদিক পরিচযে একাধিক নারীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম  চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার মৃত আব্দুস সালামের পুত্র শ্যাম মুনতাসীর (৩৬) নামের ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের ও অভিযোগ রযেছে। পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। নারায়ণগঞ্জে ইউনিভার্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শুরু হয় মুনতাসীরের প্রতারণা।

মুনতাসীর দোহাজারী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড হাফসরিকুল এলাকার.... ছেলে। দোহাজারী  প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় ব্যবহার করে ভুয়া সাংবাদিক  কার্ড বানিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেশ দাপট দেখিয়ে চলছে। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক পরিচয় ও দেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার প্রতিষ্ঠাতার সাথে কথা বলে জানা যায়, মুনতাসীর অত্র সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন না।আরো   জানা যায়, মুনতাসীর তার প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল  দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ার এক স্বনামধন্য ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়,পরবর্তীতে টাকা আত্মসাৎ করে স্কুল দেউলিয়া  ঘোষণা করে নারায়নগঞ্জ ত্যাগ করেন,।  এরপর  নিজেকে মিডিয়া জগতের ইনভেস্টার হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় বিভিন্ন প্রলোভনের জাল বিছিয়ে ফাঁদে ফেলতেন মেয়েদেরকে। তার পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে একাধিক নারী হয়েছেন প্রতারণার শিকার। সিনেমা নাটকে  সুযোগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক মহিলা সাংবাদিকের সাথে মুনতাসীরের গড়ে উঠে  সখ্যতা।

এক সময় মেয়েটির সাথে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক।  বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং সিনেমার নাম দিয়ে তৈরি করা হতো ফেইজবুকে লাইফ, এবং ফেইসবুক একাউন্ট মুনতাসীর নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতো। এবং বাসায়  অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে জানান। অন্যথায় শর্ত জুড়ে দিয়ে বলতেন, হয় অশ্লীল ছবি পোস্ট করতে হবে না হয়  পরিবার থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দেতে হবে। শুধু এটাই শেষ নয় ফেইজবুকে লাইভ,  ব্ল্যাকমেইলসহ চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অপরদিকে পাষণ্ড মুনতাসীর  মেয়েটি গর্ভপাত করতে দ্বিধাবোধ করেননি।, তখন সে আরো ভয়ানক ভাবে  মেয়েটিকে  অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন ।

এক পর্যায়ে মেয়েটির গর্ভের  সন্তান অবস্থায় ব্লেডিং শুরু হয় ।  মুনতাসীর মেয়েটিকে এভর্শন করানোর জন্য জোরজবরদস্তি করে মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টারে নিয়ে যায়,ডাক্তার সাহেরা বেগম  বলেন, যদি বাচ্চা ফেলে দেওয়া হয় তাহলে  মা মারা যাবে কারন বাচ্চার অনেকটা সময় তখন পার হয়ে গেছে । এই ভয়ে বিয়ে ছাড়াই মেয়েটি জন্ম দেন মুনতাসীরের কন্যা সন্তান। পরে বিয়ের কথা বললে মুনতাসীর মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে পৈচাশিক নির্যাতন করে এবং সন্তানটির বাবা পরিচয় অস্বীকার করে। মেয়েটির পরিবার যখন এসব জানতে পারে,এবং  তাকে মুনতাসীরের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে । পরে অন্যত্র মেয়েটিকে বিয়ে দেন। মুনতাসীরের কন্যা সন্তানটি মায়ের কাছে পরম আদর যত্নে বেড়ে উঠছিল। কন্যা সন্তানটির বয়স যখন ৪বছর তখন তার নানা কিছু জমি কন্যা সন্তানটির নামে লিখে দেয়। এ কথা জানার পর নারীও অর্থলোভী মুনতাসির  পিতার পরিচয় অস্বীকার করা মুনতাসীর হঠাৎ বাবার পরিচয় দিয়ে হাজির হয়। এবং কন্যা সন্তানটিকে কৌশলে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে মায়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে ওই নারী সাংবাদিক সন্তানের সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর পর কদমতলী থানায় হাজির হয়ে  একটা জিডি করেন, জিডি নং ৩৭৬,তারিখ ৬/৩/২০২৪ইং পুলিশ তদন্তে সত্যতা যাচাই করে আদালতে প্রেরণ করেন। নারী সাংবাদিক এর কোন কাবিন নামা না থাকায় আদালত থানায় মামলা তদন্ত করে ব্যবস্থ নিতে বলেন।  পরে দোহাজারী প্রেসক্লাবের সভাপতি নাছির উদ্দিন বাবলু কে এ বিষয়ে জানানো হলে তিনি   প্রথমে সহযোগীতা করবে বললে ও পরবর্তীতে তার সাথে হাত মিলিয়ে, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং এবিষয়ে কোনো প্রকার সহযোগিতা করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।  

এর আগে নারায়ণগঞ্জে মুনতাসীরের আফসানা নামে আরো একজন স্ত্রী ছিলো এবং সেই ঘরে নৌমি নামে  ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তানও আছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মুনতাসীরের বিভিন্ন মেয়েদের সাথে প্রতারণার কথা জানার পর এসব জানতে চাইলে আফসানাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। একসময় আফসানা এসব সইতে না পেরে তালাক দিয়ে চলে যায়। চলে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত মুনতাসীর তার মেয়ের কোনো খোঁজখবর নেননি বলে জানা যায়। 

এদিকে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মো:মাসুদ  এর  সাথে কথা বলে জানা যায়, ২বছর আগে ৬ মাসের জন্য মুনতাসীরকে চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপর তার কার্ডের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। সে হয়তো কার্ডের মেয়াদ জালিয়াতি করে বাড়িয়ে কাজ করছে। তবে বর্তমানে সে আমাদের পত্রিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ নন।

এমএসএম / এমএসএম

তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত

ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত

পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা