ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

নেতা-নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্ব এবং একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি কি হওয়া উচিৎ


মো. কামাল উদ্দিন photo মো. কামাল উদ্দিন
প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২৪ দুপুর ৩:৪৭

নেতা,নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে কথা বলার আগে আমি পবিত্রতার সহিত সম্মানের সাথে অনুসরণ ও দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করছি মহান আল্লাহ প্রেরি বিশ্ববাসী দিকনির্দেশক সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবজাতির একমাত্র নেতা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাঃ।  তিনি হলেন পৃথিবীর সৃষ্টির পরহতে অদ্বিতীয় নেতা যাঁর মধ্যে নেতা,নেতৃত্ব ব্যক্তিত্বসহ সকল ধরনের গুণাবলি ছিলো। আমরা উনাকে অনুসরণ করলেই হবে অন্য কোনো নেতার উদাহরণ দেওয়ার প্রয়োজন হবেনা।তিনি এককভাবে মুসলমানদের নেতা ছিলেন না।তিনি নেতা ছিলেন সকল মানবজাতির। তবুও দুনিয়াবি জীবনযাপনে আমরা আল্লাহ নবী রাসুল সাঃ এর পর কোনো না কোনো কাহাওকে আদর্শবান নেতা হিসেবে মানতে হয়, যেমন আমাদের মহাকালের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংগালী জাতি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নেতা হিসেবে মেনে নিয়ে এগিয়ে আসার দরুন আজ আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই স্বাধীন দেশের একজন স্বাধীন লেখক সাংবাদিক হিসাবে আজ বিশ্বের দরবারে নেতা নেতৃত্ব এবং নেতার ব্যক্তিত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বক্তব্য উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি। তাঁর জন্য আমি মহান আল্লাহ কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার এই বক্তব্য দেশ এবং জাতির কাছে একটি মেজেছ হিসাবে চীরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আশা করছি, আমি এই বক্তব্য ছিলো উপস্থাপন করেছিলাম বিশ্ব লেখক সম্মেলনে কোরিয়ার সাত তাঁরাকা
হুদাই হোটেলেের ৩নং গ্যালারিতে, আমার বক্তব্য উপস্থাপনের সময় পৃথিবীর অনন্ত পক্ষে অর্ধশতাধিক দেশের বিজ্ঞ লেখক সাংবাদিক গবেষক পন্ডিতগণ উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনে বক্তব্য নিধারিত ছিলো বক্তব্য হতে হবে তথ্য ভিত্তিক দিকনির্দেশনা মূলক। আজ আমি সেই ঐতিহাসিক আমার মুখস্থ দীর্ঘ ৪০ মিনিটের উপস্থিত বক্তব্যটি আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য পাঠকের কাছে তুলে ধরছি। সম্মানিত পাঠকগণ বক্তব্যটি অপ্রিয়হলে মনেহলে ক্ষমা করে দেবেন।
নেতৃত্ব নিয়ে লেখা বই ডিভেলপিং দ্যা লিডার উইদিন ইউ বইতে একটা ঘটনার উল্ল্যেখ আছে। একবার এক ছোট বাচ্চা সিম্ফনির অনুষ্ঠানে গিয়ে এক লোককে দেখে অবাক হয়। সকল যন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে লোকটা হাত নেড়ে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বাচ্চাটি মুগ্ধ হয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করেছিলো, আপনার মতো সঙ্গীতজ্ঞ হতে চাইলে আমাকে কী করতে হবে? লোকটি হেসে জবাব দিয়েছিলো, বেশি কিছু না, কেবল কখন কোন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে হবে, তার নির্দেশ দেয়া শিখতে হবে। এই ব্লগে আমি আলোচনা করবো নেতৃত্ব কি, নেতৃত্বের গুণাবলিগুলো কী কী, নেতৃত্ব নিয়ে উক্তি, ইত্যাদি।পৃথিবীতে যত রকমের কঠিন কাজ আছে সেগুলোর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়াকে একটি গণ্য করা হয়। একজন নেতা তখনই সফল হিসেবে বিবেচিত হন যখন তিনি তাঁর অধীনস্থ লোকদের ওপর ইতিবাচক ও প্রত্যাশিত উপায়ে প্রভাব বিস্তার করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হন। এই নিবন্ধে নেতা, নেতৃত্ব এবং একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।নেতা কাকে বলে? যে ব্যক্তি একটি দল বা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং প্রদান করা নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালান তাকে নেতা বলে। নেতা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো লিডার leader।নেতৃত্ব কী?
নেতৃত্ব হলো ব্যক্তির সেই সক্ষমতা যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করার জন্য দল, গোষ্ঠী বা সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের অনুপ্রেরণা ও দিক নির্দেশনা দিয়ে প্রভাবিত করা ও পরিচালিত করা সম্ভব হয়। নেতৃত্ব শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো লিডারশিপ leadership।নেতৃত্বের মূল কাজ হলো আওতাভুক্ত ব্যক্তিবর্গকে প্রভাবিত করা, যাতে তারা নেতার নির্দেশ মেনে নেয় ও সে মোতাবেক কাজ করে। 
নেতৃত্বের আরও কয়েকটি সংজ্ঞা
  লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আচরণ প্রভাবিত করার দক্ষতাকে বলা হয় নেতৃত্ব। নেতৃত্ব হলো এমন এক প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নির্দেশনা, পরামর্শ ও কৌশল দ্বারা অপরকে নিয়ন্ত্রণ কিংবা আচার আচরণ ও মনোভাবের উপর প্রভাব বিস্তার করে। নেতৃত্ব হচ্ছে নেতা কর্তৃক প্রভাব বিস্তারের একটি সামাজিক প্রক্রিয়া যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা লক্ষ্য অর্জনের জন্য স্বেচ্ছায় কাজে অংশগ্রহনে কাজ করে।
 নেতৃত্ব হচ্ছে জনগনকে প্রভাবিত এমন একটি কলা-কৌশল যাতে যাতে তারা দলীয় লক্ষ্য অর্জনে স্বতস্ফুর্তভাবে উদ্বুদ্ধ হয়। নেতৃত্ব হচ্ছে লক্ষ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত একটি সংগঠিত দলের কার্যাবলীকে প্রভাবিত করার প্রক্রিয়া।কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বা লিডারশিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ
একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্য
একজন নেতা তাঁর দল, সংগঠন, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অপরাপর সদস্যগণের পথপ্রদর্শকরূপে চিহ্নিত প্রাতিষ্ঠানিক
ভাবে নেতাকে প্রশাসক বলা যায়। প্রতিষ্ঠান একজন নেতা হলেন প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা, যিনি উদ্দেশ্যাবলি ও পরিকল্পনাপ্রণয়নকারী
বহুমুখী দায়িত্ব পালন করার জন্য একজন নেতাকে বিচিত্রগুণের অধিকারী হতে হয়। তবে নির্দিষ্ট করে এর একটি গুণের তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব নয়। কারণ স্থান-কাল-পাত্র ভেদে বা বিষয় বিশেষে নেতৃত্বের গুণাবলি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
এখানে একজন নেতার ৩০ টি সাধারণ (আবশ্যক) গুনাবলি উল্লেখ করা হলো-
  সাহসীকতা: যিনি নেতা হবেন তাকে হতে হবে নির্ভীক। ভয়-ডরহীন ভাবে তিনি প্রত্যাশিত লক্ষ্যে যাবেন অধীনস্থদের নিয়ে। মোহনীয় ব্যক্তিত্ব: একজন সফল নেতাকে হতে হবে মোহনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি তার আচরনে সবাইকে মুগ্ধ করে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করবেন।   সুদূরপ্রসারী কল্পনাশক্তি: একজন সফল নেতার সুদূর প্রসারী কল্পনাশক্তির অধিকারী হতে হবে। তাকে পরিকল্পনা প্রনয়নে ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্বাচনের জন্য কল্পনাশক্তির আশ্রয় নিতে হবে। সুদূরপ্রসারী কল্পনাশক্তি যার মধ্যে নেই সে নেতা হলেও উত্তম নেতা হতে পারে না।  সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা: লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনামাফিক একজন নেতা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকবেন, যা স্বাভাবিক। আর তাই নেতাকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে বা যে-কোনো সঠিক ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সক্ষমতা প্রদর্শন করে দল বা গোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হয়।
 সার্বিক দায়-দায়িত্ব গ্রহণের মানসিকতা: একজন প্রসাসককে সকল অবস্থায় সকল দায়-দায়িত্ব গ্রহনের মানসিকতা থাকতে হবে। যে-কোনো মুহুর্তে যে-কোনো যৌক্তিক  ঝুঁকি গ্রহণ করার মানসিকতা একজন নেতার থাকা চাই।   শারীরিক সুস্থ্যতা: যিনি নেতা হবে তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে কখনো নেতার আসনে বসা যায় না। তবে বাস্তবক্ষেত্রে যদি এমন লক্ষ্য করা যায়, তা নামমাত্র নেতার উদাহরণ।পরিবেশ ও সংগঠন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা: নেতার অবশ্যই পরিবেশ ও সংগঠন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। নানা ধরনের উন্নয়নে তাকে পরিবেশ ও সংঠনের মধ্য দিয়েই কাজ করতে হয়।
মানবচরিত্
অনুধাবনের ক্ষমতা: একজন নেতা, বিশেষ ক্ষেত্রে প্রশাসক, যেহেতু মানুষ নিয়ে কাজ করবেন সেহেতু তাকে মানুষের চরিত্র ও আচরণ সম্বন্ধে সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গিগত জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
  সাংগঠনিক জ্ঞান: একজন নেতার সাংগঠনিক জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক জ্ঞান তাকে নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে কাজ করতে সাহায্য করবে।
 যোগাযোগের দক্ষতা: সংগঠনের সকলের সাথে ও সংশ্লিষ্ট সমাজের সাথে উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা একজন নেতাকে গড়ে তুলতে হয়। তিনি এমন যোগাযোগ কৌশল নির্ধারন করবেন যেন প্রতিষ্ঠানের সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সংযমশীলতা: একজন নেতার অবশ্যই আত্মনিয়ন্ত্রণ দক্ষতা থাকতে হবে এবং সংযমী হতে হবে। আবেগ ও যথেচ্ছাচার সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস ডেকে আনে।

 ন্যায়পরায়ণতা: নেতা হবেন ন্যায় পরায়ণ। তিনি অন্যায় ও অবিচারের প্রতি বশীভূত হবেন না।
 সহযোগিতামূলক মননশীলতা: সকলের সাথে সকল কাজে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। অধস্তন কর্মচারী ও সমাজ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
 বশীভুতকরণ ক্ষমতা:
বিচার-বিবেচনার ক্ষমতা: প্রশাসক বা নেতাকে সব সময়ই বিচার বিবেচনা করে চলতে হয়। তার অজ্ঞতা ও অবিবেচনাপ্রসূত অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
বন্ধুপ্রতিমতা: নেতা হবেন সকলের প্রতি বন্ধু প্রতিম। তিনি সকলের বন্ধু ও দুর্দিনের সহায়ক হিসেবে থাকবেন।
 বিশ্লেষণমূলক ক্ষমতা: নেতার অবশ্যই বিশ্লেষণমূলক ক্ষমতা থাকতে হবে কারণ তাকে বিভিন্ন রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সাহস ও উদ্যম: সাহস ও উদ্যম নেতার যেকোন নেতার একটি মৌলিক গুণ হিসেবে স্বীকৃত। যে-কোনো বিপদে নেতা ভেঙ্গে না পড়ে সাহসের সাথে এগিয়ে যাবেন উদ্যমি মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবেন। সময় সচেতনতা:
 নেতাকে সময় সচেতন হতে হবে কারণ তিনি সময় সচেতন না হলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যঘাত ঘটবে, অধস্তন ব্যক্তিরা কাজে ফাঁকি  দিতে চাইবে।
 সংশ্লিষ্ট কার্যবিষয় জ্ঞান: নেতা যে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের প্রধান সে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক, 
অন্যথায় দক্ষতার সাথে কার্য পরিচালনা সম্ভব না। ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতা: 
পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সংগঠন পরিচালনা না করে কর্মির ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। যদি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি ও মতভেদ থাকে তবে তাঁদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
 নমনীয় মনোভাব: 
নেতার বা প্রশাসকের 
সব সময় নমনীয় মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা উচিৎ। প্রয়োজনে নীতি, সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা, আদেশ, নির্দেশ পরিবর্তন করে উপযোগী ধারা প্রবর্তন করা নেতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
  অনুসন্ধিৎসু:নেতাকে অনুসন্ধিৎসু হতে হয়। কোনো ঘটনা বা সমস্যার কারণ অনুসন্ধানে উৎসাহী হলে তা সমাধান করাও সহজ হবে।
 সৃজনী প্রতিভা: 
প্রশাসক বা নেতাকে সৃজনী প্রতিভার অধিকারী হতে হয়। এর বিকাশ ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনা সম্ভব আন্তরিকতা: 
প্রশাসক হবেন প্রতিষ্ঠান ও কথা কর্মিদের প্রতি আন্তরিক।পরমতের ওপর শ্রদ্ধাশীলতা: 
পরমতের প্রতি স্রদ্ধাশীলতা যে-কোনো মানুষের অন্যতম একটি সুন্দর গুণ যা একজন প্রশাসক বা নেতার মধ্যে অবশ্যই থাকতে হয় যার দ্বারা তিনি সবার মতামতই সমান গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন এবং উপযুক্ত হলে কাজে লাগাবেন।
সাধারণ জ্ঞান: নেতা হবেন ব্যাপক সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী। অজ্ঞ লোক কখনো নেতৃত্ব কিংবা সংগঠন চালাতে পারে না। 
অধ্যবসায়: নেতাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে। দৈনন্দিন খবর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে তিনি হবেন অধ্যবাসায়ী। 
আত্মসমালোচনা: এক জন নেতার জন্য আত্মসমালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভুল তিনি খুঁজে পেলে ভবিষ্যতে ভুল কম হবে। সার্বিক ধারণা: নেতাকে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে জড়িত কর্মি, 
কাজ, সমাজ, বাজার, চাহিদা, মানুষের আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকতে হবে।
ব্যক্তিত্ব হচ্ছে অভিজ্ঞতার ঝুলি, আর এই ঝুলিতে রয়েছে আমরা প্রতিনিয়ত যা বলি, যা করি, যা অনুভব করি, যা ভাবি, যা আশা করি, যা বিশ্বাস করি; সাথে রয়েছে চলার পথে আমরা কোন পরিস্থিতিতে কি প্রতিক্রিয়া দেখাই সে সবকিছু। ব্যক্তিত্বের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে আছে মানবিক সর্ম্পক বা Human Relation.মানবিক সর্ম্পকের উন্নয়ন ছাড়া ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন অসম্ভব। ইংরেজীতে Human Relation এর প্রতিটি অক্ষরের একটা করে অর্থ রয়েছে। নেতা হওয়ার যোগ্যতা বলতে সাধারণ ভাবে বোঝায়, একজন মানুষের নিজের দর্শনকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া এবং তাদের দিয়ে স্বেচ্ছায় কাজ করিয়ে নেয়ার গুণ।
সম্পূর্ণ নিজস্ব আইডিয়া বা দর্শন আছে এমন মানুষ পাওয়া এমনিতেই কঠিন। সেইসাথে যদি তার এমন যোগ্যতা থাকতে হয়, যার কারণে অন্যরাও নিজের মনে করে তার স্বপ্ন পূরণে কাজ করবে – তাহলে এমন মানুষকে নেতা হতে হবে।
সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে প্রয়োজন হয় নেতৃত্বের। যোগ্য নেতৃত্বের জন্য রয়েছে কিছু মহৎ গুণ। জীবনে সফল ব্যক্তিই নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই সফল নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস, সৎকর্ম, কল্যাণ
কামিতা ও সহিষ্ণুতা।
কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘সময়ের শপথ! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে; তবে তারা নয়, যারা বিশ্বাস করে, সৎকর্ম করে, একে অন্যকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং ধৈর্যধারণে পরামর্শ দেয়।’ (সুরা-১০৩ আসর, আয়াত: ১-৩)
মানবসভ্যতার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতৃত্বের উদাহরণ শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সত্যতা, পবিত্রতা, বিশ্বাস, আশা ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল তাঁর জীবন।
নেতাকে হতে হবে স্নেহশীল ও দয়ালু। নবী করিম (সা.)–এর বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন এমন রাসুল, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তাঁর পক্ষে দুঃসহ, তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, বিশ্বাসীদের প্রতি স্নেহশীল, দয়ালু।’ (আত–তাওবা, আয়াত: ১২৮)
নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষায়িত জ্ঞানার্জন ও অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হওয়াই নেতার যোগ্যতা। দ্বিতীয়ত, কথা ও কাজে শতভাগ মিলই নেতার সততা; তিন. কোনো রকম অজুহাত ছাড়াই জান-প্রাণে অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্রতী হওয়া হলো নেতার দায়িত্বশীলতা এবং চার. ন্যায়, বৈধ এবং কল্যাণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব পালনের নীতিতে অটুট থাকতে পারাই নেতার সাহসিকতার প্রমাণ। এই চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নেতা নির্বাচিত হওয়া উচিত।

যোগ্যতা : সঠিক সময়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবটুকু অর্পিত দায়িত্ব পালন করার মধ্য দিয়ে নেতার প্রকৃত যোগ্যতা ফুটে ওঠে। স্থান, কাল ও অবস্থা বুঝে চাহিদা পূরণে উত্তম পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সর্বোচ্চ মেধাশক্তি নিয়োগসহ আঠার মতো লেগে থাকার দায়িত্ব নিতে হয় নেতাকে। সংশ্লিøষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মূল দায়িত্ব হাসিলের নিমিত্তে পরিচালনা করাই নেতার কাজ।
ঠিকমত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অযোগ্য নেতা সবসময়ই চোখে অন্ধকার দেখে এবং অন্যের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ ওঁৎ পেতে থাকা চতুর, বর্ণচোরা ও সুযোগসন্ধানীরাই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেয়ে যায়। মুখ্য দায়িত্বের জায়গায় কেবল গৌণ ফল অর্জিত হয় এবং সুবিধাভোগীরাই পকেট ভরে।
মোহনীয় ব্যক্তিত্ব: একজন সফল নেতাকে হতে হবে মোহনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি তার আচরনে সবাইকে মুগ্ধ করে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করবেন। 3. সুদূরপ্রসারী কল্পনাশক্তি: একজন সফল নেতার সুদূরপ্রসারী কল্পনাশক্তির অধিকারী হতে হবে।
এই বক্তব্য উপস্থাপন করার পর প্রতিটি শব্দের প্রশ্নের উত্তর সাবলীলভাবে দিতে হয়েছে। সেই বক্তব্যে মনোযোগ সহকারে আলোচনা করার পর আমার বক্তব্যে বিশ্লেষণ করে আমাকে ঐসময়ের জন্য হাউজ অব লিডার ঘোষণা দিয়েছিলো।
আমি জানি না আমি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ মুলক বক্তব্যে উপস্থাপন করতে পেরেছি কিনা।এতগুলো কথা বলার পরও আমার মনে হয়েছে আমি কিছুই জানিনা আরো জানার প্রয়োজন রয়েছে। তাতে আমি এখন জানার জন্য জ্ঞান আহরণ করে চলছি।আমি একজন ইতিহাস ভিক্ষুক আমি ইতিহাস ভিক্ষা করে চলি।আমি একজন অক্ষরজীবি আমি অক্ষর বিক্রি করে খায়। আমি আল্লাহ নবী রাসুল সাঃ পর দু'জনের বক্তব্যকে অনুসরণ করি একজন হলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রহীম লিংকন তিনি ২ মিনিটে ২২২ শব্দের একটি বক্তৃতা দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। অন্যজন হলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ ১৮ মিনিটের বক্তৃতা দিয়ে পুরো বাঙালি জাতিকে একত্রিত করে যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব- চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া