সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

দৈনিক সকালের সময় ও এশিয়ান টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত অফিসে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় অফিসে থাকা দুটি কম্পিউটার, প্রিন্টার, এসি, তিনটি ক্যামেরা(আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা), নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে তারা।
আমীনবাজারে ডাকা শিক্ষার্থীদের প্রথম আন্দোলনে মাত্র ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। মাত্র ৩০ মিনিট অবস্থান করে প্রথম দিনের কর্মসূচী শেষ করে পারমর্শ ও সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অফিসে আসেন আন্দোলনকারীর কয়েকজন। এসময় আরো বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করার পরামর্শ দেন তিনি। পরের দিন আন্দোলনের সময় সরেজমিনে থেকে সংবাদ প্রচার করেন তিনি। সংবাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে পরবর্তীতে আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন-অর-রশীদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করেন।
এসময় অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীরা। ফুটেজ দেখে দেখে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সনাক্ত করতে বলে হারুন। এদিকে শিক্ষার্থীদের ধারনা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম তাদেরকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন। এই ক্ষোভে এ হামলা হতে পারে বলে ধারনা করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিষয়টি জানতে চাইলে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি পত্রিকায় লেখালেখি করি। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আমার উপরে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকায় প্রশাসনসহ সরকারের বিভন্ন মহলের চাপ ছিল। তবুও আমি বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ফুটেজ না দিয়ে, কোন প্রকার সহযোগিতা না করে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষায় প্রশাসনের পাশ কাটিয়ে যাই।
আমাকে ছাত্ররা ভুল বুঝেছে। আমি বিশ্বাস করি সত্য জানার পর তাদের এ ভুল ভেঙ্গে যাবে। তবে অফিসে হামলার ঘটনায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি যদিও অফিসে লাগানে সিসি ক্যামেরায় হামলাকারীদের ফুটেজ রয়েছে। আন্দোলনরত গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থী আল আমীন বলেন, আমাদের যেদিন গ্রেফতার করেছিল ঐদিন ইচ্ছা করলে স্যার আমাদের ছাড়াতে পারতেন। অন্তত পক্ষে আমাদের পক্ষে প্রতিবাদ করতে পারত তিনি তা না করে পুলিশের সাথে গল্প করতেছিলেন।
ছাত্রদের পক্ষে কেন প্রতিবাদ করলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি নিরাপদ ছাত্রদের ছাড়ার ব্যাপারে একাধিক বার বলেছি কিন্ত উপ-পরিদর্শক হারুন এ ব্যাপারে কোন সুপারিশ করতে নিষেধ করেন, করলে উল্টো এ্যাকশন হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যথাযথ তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে উপর মহলের আদেশে এদের গ্রেফতার করেছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিজয়, নাহিদ, শাওনসহ অনেকে বলেন, সিরাজ স্যার আন্দোলনের শুরু থেকে আমাদের সাথে ছিলেন।
তিনি বিভিন্নভাবে আমাদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের একাংশ স্যারকে ভুল বুঝছেন। অফিসে হামলার বিষয়ে সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও হানিফ পরিবহনের স্বত্বাধিকারী বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কোন হামলা, ভাঙচুর দলের নীতি নির্ধারকেরা নিষেধ করেছেন। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জামিল আহমেদ / জামিল আহমেদ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

তেজগাঁওয়ে ডিম ও কলা ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ছেলের জন্মদিনে বাবা কাজী জাকির হোসেনের আবেগঘন শুভেচ্ছা

বিএনপি আন্দোলনের পাশাপাশি জনকল্যাণেও অঙ্গীকারবদ্ধ: বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিন

গেন্ডারিয়া থানার বিএনপি'র আহবায়ক কমিটির নবগঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় পল্লবী থানা ছাত্রদল আহবায়ককে কুপিয়ে জখম

জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক

মান্ডা গ্রীন মডেল টাউনে অসহায় পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা

অযৌক্তি কর বন্ধে ৫০ নং ওয়ার্ড উন্নয়ন পরিষদের মানববন্ধন

অবৈধ গ্যারেজ উচ্ছেদ করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি উদ্ধার

ঢাকার কেরানিগঞ্জে মডেলে অবৈধ নির্মাণাধীন ভবনের মিটার জব্দ

৪ ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরলো গার্মেন্টস শ্রমিকরা, যানচলাচল স্বাভাবিক
