ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

কেশবপুরে ১৪ বছর পরে জমি দখলে নিয়েছে জমির মালিকেরা


সোহেল পারভেজ, কেশবপুর photo সোহেল পারভেজ, কেশবপুর
প্রকাশিত: ১০-৮-২০২৪ বিকাল ৫:৪২

যশোরের কেশবপুরে ১৪ বছর পরে জমি দখলে নিয়েছে জমির মালিকেরা। তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখল নিয়ে মালিকপক্ষ দখল সংক্রান্ত বিজ্ঞ আদালতের আদেশর ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেশবপুর উপজেলা শাখার দলীয় কার্যালয় সহ বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল করে পরিচালনা করে আসছিল। জমির মালকগন ১৪ বছর স্ব-স্ব দখলে নিয়েছে প্রকৃত জমির মালিকদের ওয়ারেশগন।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের জামির প্রকৃত মালিক মোঃ আব্দুল হামিদ খানের ওয়ারেশ গণ তাদের জমি দাবী করে গত বৃহস্পতিবার দখল দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আজ সময় হয়েছে নিজেদের ১২ শতক জমি দখলে আনার। তাই ভবন ও জমি তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা দিয়ে দখলে নিয়েছি। 
স্থানীয়রা বলেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দখলে থাকা দলীয় কার্যালয়টি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠনের সময়ে যশোর-৪ অভয়নগর বাঘারপাড়া ও যশোর-৬ কেশবপুর আসনের সাংসদ সদস্য অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত সাংসদ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব। তিনি পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হয়েছিলেন। সেই সময়ে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো স্থানে জমি ও দলীয় কার্যালয় ছিলো না। তখন হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব কেশবপুর পৌর শহরের কেশবপুর- পাঁজিয়া সড়কের উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) অফিসের সামনে মরহুম আব্দুল হামিদের বিরোধপূর্ণ আদালতের বিচারাধীন মামলার ১২ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দোতলা ভবন নির্মান করে দলীয় কার্যালয় করেন। ঐ জমির একটি অংশ তৎকালীন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা আক্তার নাহিদ ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ নাহিদ হাসানের দখলে, আরেকটি অংশ কেশবপুর থানার সাবেক ওসি মীর রেজাউল হোসেনের দখলে রয়েছে। 
জমির মালিকদের পরিবার সুত্রে জানাগেছে, দেওয়ানী ৮১/১১ নং মোকদ্দমায় কেশবপুর সহকারী বিজ্ঞ জর্জ আদালতের ২১/০৮/২০২৬ রায়ে ও ২৮/০৮/২০১৬ তারিখের বিক্রয় অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের দখলে থাকা দলীয় কার্যালয়টি সহ ঐ জমির মালিক ছিলেন মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ওয়ারেশ গণ। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা কার্যালয় হিসাবে দখলে থাকার কারণে তারা এতো দিন দখল নিতে পারেনি। অবশেষে সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি আন্দোলন কারীরা বিক্ষোভ মিছিল করে ভাংচুর ও অগ্নী সংযোগে পুড়িয়ে দিয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার জমির ওয়ারেশগণ তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখলে নিয়েছে। 
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে বাড়িতে যেয়েও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন এর সঙ্গে সাক্ষাৎ মেলেনি। এমনকি মোবাইলফোন বন্ধ ছিল। সে কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এমএসএম / এমএসএম

জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম

যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০

নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা

কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি

কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি

নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত

দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল

গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি : আসাদুল ইসলাম মুকুল

মাদারীপুর-৩ আসনে খোকন তালুকদারের গণজাগরণ, বালিগ্রামে দুই ওয়ার্ডে নতুন কমিটি

জুড়ীতে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত