কেশবপুরে ১৪ বছর পরে জমি দখলে নিয়েছে জমির মালিকেরা

যশোরের কেশবপুরে ১৪ বছর পরে জমি দখলে নিয়েছে জমির মালিকেরা। তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখল নিয়ে মালিকপক্ষ দখল সংক্রান্ত বিজ্ঞ আদালতের আদেশর ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেশবপুর উপজেলা শাখার দলীয় কার্যালয় সহ বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল করে পরিচালনা করে আসছিল। জমির মালকগন ১৪ বছর স্ব-স্ব দখলে নিয়েছে প্রকৃত জমির মালিকদের ওয়ারেশগন।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের জামির প্রকৃত মালিক মোঃ আব্দুল হামিদ খানের ওয়ারেশ গণ তাদের জমি দাবী করে গত বৃহস্পতিবার দখল দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আজ সময় হয়েছে নিজেদের ১২ শতক জমি দখলে আনার। তাই ভবন ও জমি তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা দিয়ে দখলে নিয়েছি।
স্থানীয়রা বলেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দখলে থাকা দলীয় কার্যালয়টি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠনের সময়ে যশোর-৪ অভয়নগর বাঘারপাড়া ও যশোর-৬ কেশবপুর আসনের সাংসদ সদস্য অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত সাংসদ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব। তিনি পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হয়েছিলেন। সেই সময়ে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো স্থানে জমি ও দলীয় কার্যালয় ছিলো না। তখন হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব কেশবপুর পৌর শহরের কেশবপুর- পাঁজিয়া সড়কের উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) অফিসের সামনে মরহুম আব্দুল হামিদের বিরোধপূর্ণ আদালতের বিচারাধীন মামলার ১২ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দোতলা ভবন নির্মান করে দলীয় কার্যালয় করেন। ঐ জমির একটি অংশ তৎকালীন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা আক্তার নাহিদ ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ নাহিদ হাসানের দখলে, আরেকটি অংশ কেশবপুর থানার সাবেক ওসি মীর রেজাউল হোসেনের দখলে রয়েছে।
জমির মালিকদের পরিবার সুত্রে জানাগেছে, দেওয়ানী ৮১/১১ নং মোকদ্দমায় কেশবপুর সহকারী বিজ্ঞ জর্জ আদালতের ২১/০৮/২০২৬ রায়ে ও ২৮/০৮/২০১৬ তারিখের বিক্রয় অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের দখলে থাকা দলীয় কার্যালয়টি সহ ঐ জমির মালিক ছিলেন মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ওয়ারেশ গণ। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা কার্যালয় হিসাবে দখলে থাকার কারণে তারা এতো দিন দখল নিতে পারেনি। অবশেষে সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি আন্দোলন কারীরা বিক্ষোভ মিছিল করে ভাংচুর ও অগ্নী সংযোগে পুড়িয়ে দিয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার জমির ওয়ারেশগণ তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখলে নিয়েছে।
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে বাড়িতে যেয়েও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন এর সঙ্গে সাক্ষাৎ মেলেনি। এমনকি মোবাইলফোন বন্ধ ছিল। সে কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম

বিদ্যালয়ের জমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চিতলমারীতে মানববন্ধন

মাদারীপুরে কুকুরের উপদ্রব: জনভোগান্তি চরমে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সাভারে সাবেক ইউপি সদস্যের নির্মানাধীন বাড়ি অবরুদ্ধ করে চাঁদা দাবি

বড়লেখায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহসচিবের সাথে ইরানী প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত

বরগুনায় চেক প্রতারণার মামলায় পলাতক প্রতারক জসিম কারাগারে

মান্দায় সওজের জমি দখল করে রেস্টুরেন্ট নির্মানের অভিযোগ

লোহাগড়ায় বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরে " জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামাগণের ভূমিকা " শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঈশ্বরদীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে হাইব্রিড নেতাদের মুখোশ উন্মোচন

আদমদীঘিতে আওয়ামীলীগ ও কৃষকলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
