ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫

মোহাম্মদপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরও ২ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে 


নিজাম উদ্দিন photo নিজাম উদ্দিন
প্রকাশিত: ১৮-৮-২০২৪ রাত ১:১৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় নিহত আরও দুই জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে শুরু হওয়া আন্দলোনকে ঘিরে মোহাম্মদপুর এলাকায় আহত ও নিহতের সংখ্যা যে কত তা নিয়ে সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে এই আন্দলোনের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে জীবন দিতে হয়েছে আল শাহরিয়ার হোসেন রোকন নামের ২৩ বছরের এক দিনমজুরকে, এবং ওমর ফারুক নামে এক কিশোর’কে। রোকনের বাবা মনির হোসেন বলেন আমার ছেলে রোকন চকবাজার থেকে কম দামে বিভিন্নরকম পণ্য কিনে দোকানে দোকানে বিক্রি করতো।

নিহত রোকন ১৫৫ পশ্চিম কাটাসুর হেদু চৌধুরীর বাসায় পরিবার-সহ ভাড়া থাকতেন। বাবা মনির হোসেন বলেন কাটাসুর ময়ুর ভিলার দিকে একটি দোকানে বিল কালেকশন করতে গেলে এই দুর্ঘটনার শিকার হন। গুলি লেগেছে এই খবর শুনতে পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেখান থেকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ডাক্তাররা শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিতে বলেন এখানে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তথ্য মতে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে সরকার পতনের পর সহিংসতায় সারা দেশে ৩২ শিশুসহ ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪০০ জন এবং ৫ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে আরও ২৫০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিক্ষোভকারী, শিশু, পথচারী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। 

এদিকে মোহাম্মদপুর বোর্ড গাঁট এলাকায় গত ৪ আগস্ট ওমর ফারুক নামে ১৬ বছরের এক কিশোর নিহত হয়েছে। ১৭ আগস্ট মোহাম্মদপুর বোর্ড গাঁট এলাকায় সরেজমিনে গেলে নিহতের ছোট ভাই বলেন, আমার ভাই ময়ূর ভিলার সামনে গিয়েছিল সেখানে তার বুকে কয়েকটি গুলি লাগে এই খবর শুনে আমরা ঘটনা স্থানে যেতে চাইলে তখন খুব গোলাগুলি চলছিলো যেতে পারিনি। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার ভাইকে কয়েকজন মিলে সিকদার মেডিকেলে ভর্তি করেছে আমরা শুনে সিকদার মেডিকেলে ছুটে যাই। সেখানে গেলে ডাক্তার বলেন আমার ভাই আর বেঁচে নাই।

এই অবস্থায় আমার ভাইকে বাসায় নিয়ে এসে শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে  গেলে সেখানে যখন শুনছে গুলি লেগে নিহত হয়েছে তখন কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা তারা দাফন দিতে দেয়নি। কবরস্থানে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলেন, গুলিতে নিহত হওয়া লাশ পুলিশের ভ্যারিফাই ছাড়া দাফন হবে না। তখন ছুটে যাই পুলিশের কাছে পুলিশ কোনো সহযোগিতা করে নাই। এরপর ছুটে যাই শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত সনদ আনতে সেখানেও কেউ সহযোগিতা করে নাই এই অবস্থায় আমরা একটি পিকাপ ট্রাকে করে লাশ ভোলা সদরে নুরাবদ এলাকায় নিয়ে দাফন করি। কথাগুলো বলতে বলতে কেঁদে দেন নিহতের ছোট ভাই।

নিহত ওমর ফারুকের মা এখনো অঝোরে কাঁদছেন আর বলছেন আমার ছেলেটির কি দোষ ছিলো, এতো ছোটো ছেলে কি বুঝে? তাঁকে কেনো গুলি করে হত্যা করা হলো। নিহত হওয়ার এক ঘন্টা আগেও মায়ের হাতে ভাত খেয়ে বাসার বাহিরে বের হয়েছিলো ওমর ফারুক। চলতি মাসের ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর এলাকায় যখন ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয় তখন কয়েকশো আহত ব্যক্তি’কে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় সিকদার মেডিকেলে ভর্তি করা হয়, ও কয়েকজন নিহত ব্যক্তির লাশ সেখানে রাখা হয়।

ওই হাসপাতালে ভার্তি হওয়ার তথ্য রয়েছে সকালের সময়ের হাতে। সেখালে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত সকালের সময়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সিকদার মেডিকেলে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি ও ঝিগাতলার বেশির ভাগ আহত ও নিহত লোক এসেছিলো।

জামিল আহমেদ / জামিল আহমেদ

ডিএমপির মুগদায় মাদক কারবারিদের হামলায় এসআই গুরুতর আহত

৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ উত্তীর্ণ সব চিকিৎসকদের নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

“বিএনপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে পরিকল্পিতভাবে কাজ করবে” : ব্যারিস্টার অমি

ভক্ত-দর্শনার্থীদের আবেগে মুখরিত উত্তরা সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণ

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ‎ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান