রসিদবিহীন বাড়তি টাকা আদায়ে থেমে নেই প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র বিশ্বাস
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে রেজিস্ট্রেশনের নামে খালিয়াজুরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে রসিদবিহীন টাকা আদায় করা প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র বিশ্বাসের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তিনি ইচ্ছামতো চালিয়ে যাচ্ছেন এ কার্যক্রম।
সরেজমিন খালিয়াজুরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অত্র বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী শৈলেন দাস বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করতে। কিন্তু এর বিপরীতে ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া হচ্ছে না কোনো রসিদ। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত রবীন্দ্র বিশ্বাস পূর্বে থেকেই ভর্তি কার্যক্রম থেকে শুরু করে এসএসসির ফরম ফিলআপ, রেজিস্ট্রেশন, ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বেতন আদায়ে ব্যবহার করেন না কোনো রসিদ। এমন কথাই বললেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ইন্দ্রজিত চৌধুরী, জ্যোতিষ তালুকদারসহ অনেকেই। কাউকে পাওয়া না গেলেও নৈশপ্রহরী শৈলেন দাস বলেন, আমাদের হেড স্যার বলে দিয়েছেন ৫০০ করে আদায় করার জন্য। অভিভাবকদের অভিযোগ করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবং আমাদের আয়-রোজগারও কম থাকায় এত টাকা দেয়া আমাদের পক্ষে কষ্ট হচ্ছে। আর এভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রসিদবিহীন টাকা আদায় করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড এমন ধরনের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। তবে ঢাকা বোর্ড নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ জনপ্রতি ১৭১ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করে রবীন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫০০ টাকা নিচ্ছে, তাই আমিও নিচ্ছি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিদ্দিকুর রহমান বালিকা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দত্তরায় বলেন, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের এমন কোনো প্রজ্ঞাপন পাইনি বিধায় আমরা রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করিনি।। তবে বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত নেয়ার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া রসিদবিহীন টাকা আদায় তো অন্যায়। এমনই কথা বললেন কৃষ্ণপুর এ পি পি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পিযুষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু ময়মনসিংহ বোর্ড এমন কোন নীতিমালা জারি করেনি, তাই আমরা রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম শুরু করিনি।
জনশ্রুতি রয়েছে, খালিয়াজুরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র বিশ্বাস কোনো নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই তার ইচ্ছামতো এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। রবীন্দ্র বিশ্বাসের নামে এর আগেও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় অভিভাবকগণ। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্র বিশ্বাসকে কারণ দর্শানোর নোটিসও প্রদান করা হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী জানায়, এমন নির্লজ্জ স্যার কোথাও দেখিনি।
প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র বিশ্বাসকে স্কুলে পাওয়া না গেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাড়তি টাকা আদায়ের দায় স্বীকার করে বলেন, যাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেয়া হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। রসিদবিহীন টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাক্ষর করার সময় রসিদ দিয়ে দেব। প্রধান শিক্ষকের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অভিভাবকগণ টাকা ফেরত দেননি, এমনকি ফোনও করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বাড়তি টাকা আদায় না করার জন্য প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র বিশ্বাসকে না বলার পরও যদি রসিদবিহীন টাকা আদায় করেন তাহলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান
হাতিয়ায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
পঞ্চগড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানী
ইনসাফ এর বাংলাদেশ চায় জামায়াত
রাতে স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, সকালে উধাও স্বামী
পটুয়াখালীর দশমিনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
নেত্রকোনা-২ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডাঃ আনোয়ারুল হকের বিশাল নির্বাচনী শোডাউন
নবীনগরে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ১৩ কিলোমিটার মানববন্ধন
তাড়াশে লক্ষ্মী নারায়ণ গোপাল বিগ্রহ মন্দিরের সম্পত্তি জোর করে দখল প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
সিংড়ায় বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মাদারীপুরে গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনায় বিচার চায় পরিবার
শেরপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
নাচোলে স্টুডিও টেলিকম ও ফটোকপি ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় ও মাসিক সভা অনুষ্ঠিত