মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সহ ১২ জন গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি ও সশস্ত্র গ্রুপ এর সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল ও তার ১১জন সহযোগীকে সিলেট জেলার কোতয়ালী থানা এলাকা হতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ও র্যাব-৯
এরপর ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বুনিয়া সোহেলের সহকারী ১২ জন মাদক কারবারি কে, গ্রেফতার করেন র্যাব এরা হচ্ছে জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি ও সশস্ত্র গ্রুপ এর সন্ত্রাসী ভূইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল (৩০) আমীর হোসেন হীরা (৩০) জামাল হোসেন (২৯) শাহীনুর বেগম (৩২) আনোয়ার হোসেন (২৭) মোঃ মিঠুন (২৪) সাহিল (৩৮) নাঈম (২৪) মোঃ আজিম (৩৭) নূর বেগম (৩০) ভানু বেগম (৩১) এবং সাকিব হাসান (২০) এদেরকে সিলেট জেলার কোতয়ালী থানা ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকা হতে গতকাল ৩১ অক্টোবর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ও র্যাব-৯। বর্তমানে ও র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে বুনিয়া সোহেলের আরো সহযোগী আটক হতে পারে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে র্যাব বলেন, বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনাভা ক্যাম্প ও তার পাশর্বর্তী বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্ত মার্কেট, বাস স্ট্যান্ড ও মাদক কেনাবেচা কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এর প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-২ এর অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা হতে ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের ৩০-৪০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ভূইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেলের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের জেনাভা ক্যাম্প ও তার পাশর্বর্তী এলাকাসমূহে মার্কেট, বাস স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, অপহরণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, খুন, ধর্ষণসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-২ বুনিয়া সোহেল ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও র্যাব-৯ এর আভিযানিক দল গত ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সিলেট জেলার কোতয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদপুর জেনাভা ক্যাম্প ও তার পাশর্বর্তী এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী (১) ভূইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেলকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনাভা ক্যাম্প ও তার পাশর্বর্তী বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের সন্ত্রাসী দলের সদস্য সংখ্যা ২৫-৩০ জন। বুনিয়া সোহেল এর নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বর্ণিত এলাকা সমূহে হত্যা, সহ নানাধরণের অপরাধ করে থাকতে।
বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অবৈধ অস্ত্র, মাদকসহ ১৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান র্যাব-২ এর কর্মকর্তারা। এবিষয়ে র্যাব -২ এর সিনিয়র সহকারী এএসপি শিহাব করিম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে যেকোনো দুষ্কৃতিকারী ও অপরাধীদের র্যাব যেকোনো সময় আটক করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মার্কেট ও বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করত। এছাড়াও, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ^বর্তী এলাকাসমূহে আধিপত্য বজায় রাখাসহ অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে বুনিয়া সোহেল গ্রæপের সদস্যরা একাধিক কিশোর গ্যাং গ্রæপ নিয়ন্ত্রণ করত। *
বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অবৈধ অস্ত্র, মাদকসহ ১৮টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার