ঢাকা শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

এখনো পঙ্গু হাসপাতালের সামনের রাস্তা ছাড়েনি আহতরা


নিজাম উদ্দিন photo নিজাম উদ্দিন
প্রকাশিত: ১৩-১১-২০২৪ বিকাল ৬:৪৯

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক দুপুর থেকে  বন্ধ করে দিয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আন্দোলনের আহতরা। এখন পর্যন্ত তারা রাস্তাতেই রয়েছে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা রাস্তায় থাকবে বলে জানিয়েছে আহতরা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তারা সড়কে নেমে আসেন। ফলে শ্যামলীমুখী সড়কে গাড়ির চাপ ক্রমাগত বাড়ছে এখন পর্যন্ত আহতরা রাস্তায়ই রয়েছে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তায়ই থাকবেন। 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম নিটোর পরিদর্শনে আসেন। তারা চতুর্থতলার পুরুষ ওয়ার্ড প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তিনতলার ওয়ার্ডে থাকা ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে না যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তারা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। তাদের মধ্যে কেউ একজন গাড়ির বা সামনের চাকার সামনে বসে পড়েন। আরেকজন উঠে পড়েন গাড়ির ছাদে। সেই সকাল ১১ টা থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তায় রয়েছে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা।

এবিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বলেন,আমরা রাস্তা ছাড়ার জন্য অনেক অনুরোধ করেছি কিন্তু এদের অনেক দাবিদাওয়া রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এদের দাবিদাওয়া মেনে না নিলে রাস্তা ছারবে না বলে জানান। তাদের অনেক অনুরোধ করার পরও রাস্তায়ই রয়েছে তাদের দাবি না  মানলে, রাস্তায়ই থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এরমধ্যে ইমারজেন্সি গাড়ি গুলো আমারা অন্য বিকল্প রোড ব্যবহার করতে পুলিশ সহযোগিতা করছেন। তিনি বলেন, বেলা ২ টা থেকে আজকের এই আন্দোলন শুরু করে, সন্ধ্যা ৬ টা বাজে এখনো চলছে।

এরমধ্যে এখন পর্যন্ত সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেউ আসেনি বলে জানান আহতরা। আহতরা বলেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এখান থেকে সরবো না। আহতদের যে দাবি রয়েছে এরমধ্যে, তাদের উন্নত চিকিৎসা, পুর্নবাসন হস অর্থনৈতিক সহযোগিতা। অনেকেই বলেনে, আমরা জীবনের বিনিময়ে রাজপথে নেমে নতুন করে দেশ স্বাধীন করে দিয়েছি কিন্তু আমাদের খোঁজ কেউ রাখেনি।

আহত মোঃ শাহিন নামে একজন বলেন, ১৮ জুলাই চাঁদ উদ্যান এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের সময় হাতে এবং পেটে গুলি লাগে। তার পেটে গুলি লেগে এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে আহত হয়ে যায় কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজ নেয়নি। তিনি আরো বলেন,৬ আগস্ট থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন (নিটোর) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি এরমধ্যে আমার পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি কেউ খোঁজ নেয়নি। 

সরকারি সহযোগিতার কথা থাকলেও তিনি কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে জানান। তার ছোট একটি শিশু রয়েছে, শহিন ঢাকার মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকেন। একসময় ড্রাইভারী চাকরি করে তার ভালোই চলছিলো কিন্তু জুলাই মাসে আন্দোলনে যোগ দিয়ে এখন তিনি অসহায় জীবনযাপন করছেন বলেও জানান এই প্রতিবেদককে। 

হাসপাতালে যে, খাবার দেয় সেই খাবার নিয়েও তাদের আপত্তি রয়েছে, সেখানে যে খাবার দেয় সেই খাবার খাওয়া উপযুক্ত না বলে, জানান রোগীরা। তাদের নিজের টাকা দিয়ে ঔষধ কিনতে হয়। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশ উদ্ধার করেছি তাই বলে, আমাদের এই অবস্থা হতে হবে?? এসময় আওয়ামী লীগের দালালেরা হুশিয়ার সাবধন বলেও স্লোগান দিতে থাকে আহতরা। 

আহতদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী ছাড়াও রয়েছে জাতীয় চক্ষু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের রোগী সহ অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আহতরা। 

T.A.S / T.A.S

উপকূলীয় নারীদের কথা তুলে ধরলেন অধ্যাপক ড. জুলফিকার

পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কে ফুটওভার ব্রিজের দাবিতে বিক্ষোভ

ডিএমপির মুগদায় মাদক কারবারিদের হামলায় এসআই গুরুতর আহত

৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ উত্তীর্ণ সব চিকিৎসকদের নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

“বিএনপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে পরিকল্পিতভাবে কাজ করবে” : ব্যারিস্টার অমি

ভক্ত-দর্শনার্থীদের আবেগে মুখরিত উত্তরা সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণ

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক