ছাত্র আন্দলনে পঙ্গুত্ব জীবনযাপন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩ মাস পার হয়ে গেলেও আহতরা পায়নি সরকারি অনুদান

কোটা আন্দোলনের পরবর্তীতে ছাত্রজনতার আন্দোলন, এরপর এক দফা আন্দোলনে রুপ নেয়। সারা বাংলাদেশ চলে অসহযোগ আন্দোলন এরমধ্যে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন (নিটোর) পঙ্গু হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন ৯৯৬ জন আগস্ট থেকে এরা ভর্তি হলেও অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে আবার অনেকেই এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময় আবারো রাজপথে নেমে আসেন আন্দোলনে আহতরা। গত বুধবার ১৩ নভেম্বর দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা আবারো আলোচনায় আসে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম নিটোর পরিদর্শনে আসেন। তারা চতুর্থতলার পুরুষ ওয়ার্ড প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেন।
কিন্তু তিনতলার ওয়ার্ডে থাকা ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে না যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তারা নিচে নেমে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। তাদের মধ্যে কেউ একজন গাড়ির বা চাকার সামনে বসে পড়েন। আরেকজন উঠে পড়েন গাড়ির ছাদে। সেদিন সকাল ১১ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত চলে আন্দোলন। সড়ক বন্ধ করে দেয় আহতরা এরপ সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা হাসপাতালে ফিরে যায়।
আহতদের দাবি, তাদের পুর্নবাসন, উন্নত চিকিৎসা সরকারি অনুদান সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি।
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে সরজমিন গেলে কথা হয় আবু রায়হানের সাথে। তিনি চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট এলাকায় আগস্টের ৩ তারিখ, রাত ৮ টার দিকে গোলাগুলি সময় পুলিশের গুলিতে আহত হই। চট্টগ্রাম থেকে মোট ২ বার ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। চট্টগ্রাম হাসপাতাল থেকে রেফার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। অক্টোবর ৩০ তারিখ থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে রায়হান। সরকারি অনেক কিছু দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও চিকিৎসা ছাড়া কিছুই পায়নি এই আহত। রায়হানের গ্রামের বাড়ি মিরসরাই হাদী ফকির হাট। তার পিতার নাম আজিজুর রহমান।
কথা হয় আহত ইয়াসিনের সাথে, তিনিও চট্টগ্রাম থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এসেছে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৪) তিনি বলেন, আগস্টের ৪ তারিখে চট্টগ্রাম ২ নাম্বার গেটে ছাত্রলীগের এবং পুলিশের গুলিতে আহত হয়। ইয়াসিন ফটিকছড়ি সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আহত হওয়ার পর চট্টগ্রাম হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন, ২ মাস ধরে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এই ছাত্র। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা বা অনুদান বলতে কিছুই পায়নি এই আহত ছাত্র ইয়াসিন।
চট্টগ্রাম থেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে ঢাকায় এসেছে আরো এক আন্দোলনে আহব ব্যক্তি। কথা হয় হাফিজুর রহমানের সাথে। মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম টাইগারপাস এলাকায় (৪ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় পুলিশের গুলিতে আহত, চট্টগ্রাম লায়ন্স হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চোখের চিকিৎসা নেওয়া পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নভেম্বর ৬ তারিখ ভর্তি হয়, তার মাথায় ভিতরে ৩ টি বুলেট রয়েছে, তার বাম চোখ প্রায় অকেজো তিনি বাম চোখে কিছু দেখতে পায় না।
এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে সকালের সময়কে জানান এই আহত হাফিজুর। হাফিজুর রহমানের পিতার নাম জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম হালি শহর ২৫ নং ওয়ার্ড লোকমান চৌধুরীর বাড়ির ভাড়াটিয়া তিনি।
T.A.S / T.A.S

উপকূলীয় নারীদের কথা তুলে ধরলেন অধ্যাপক ড. জুলফিকার

পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কে ফুটওভার ব্রিজের দাবিতে বিক্ষোভ

ডিএমপির মুগদায় মাদক কারবারিদের হামলায় এসআই গুরুতর আহত

৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ উত্তীর্ণ সব চিকিৎসকদের নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

“বিএনপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে পরিকল্পিতভাবে কাজ করবে” : ব্যারিস্টার অমি

ভক্ত-দর্শনার্থীদের আবেগে মুখরিত উত্তরা সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণ

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম
