বেতন না পেয়ে ভোগান্তিতে বারহাট্টার অধিকাংশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী
প্রতিক্ষিত ইএফটিতে বেতন পাওয়া নিয়ে সারা বাংলাদেশের মতো ভোগান্তিতে পড়ছেন নেত্রকোনা বারহাট্টা উপজেলার এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী। অনেকে ডিসেম্বর মাসের বেতন ইফটিতে পেলেও সহকর্মীরা না পাওয়ায় এর আনন্দ উপভোগ করতে পারছে না।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলা সদর, বাউসী, রায়পুর, সাহতা, চিরাম, সিংধাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, অধিকাংশ স্কুল-কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারীরা ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনও পান নাই। কেউ কেউ পেলেও বেশিরভাগই বঞ্চিত রয়েছেন। আজ ১৮ তারিখ হয়ে গেলেও কেন এখনও গত মাসের বেতন পাচ্ছেন না? এমন প্রশ্ন সকলের মনেই।
বাউসী অর্দ্ধচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (স্কুল এন্ড কলেজ) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বললে তিনি সকালের সময়কে জানান, অনেক আশায় ছিলাম নতুন বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে প্রথম ইএফটিতে বেতন পাবো, কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। মাসের প্রথম দিন থেকেই আশায় আছি কবে মোবাইলে কাঙ্ক্ষিত বেতনের ম্যাসেজ আসবে। দেখতে দেখতে আজ ১৮ তারিখ হয়ে গেছে তবুও ইএফটিতে বেতন পাওয়ার সাধ পূর্ণ হলো না। আমার এখন মনে হচ্ছে আগের পদ্ধতিই (বিল কপি জমা দিয়ে বেতন উত্তোলন) ভাল ছিল। ১০ তারিখের মধ্যে বেতনটা অন্তত পেয়ে যেতাম।
এখনও বেতন না পাওয়া অনেক শিক্ষক-কর্মচারী আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এমনিতেই কষ্টে দিনাতিপাত করি। সারা মাস দোকান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাকিতে এনে বেতন পেয়ে তা পরিশোধ করি। এবার ভেবেছিলাম, ইএফটিতে মাসের প্রথম বেতন পেয়ে তাড়াতাড়ি দোকানের বকেয়া পরিশোধ করতে পারবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন না পাওয়ায় দোকানের বকেয়া পরিশোধ করতে না পেরে লজ্জায় পড়তে হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তো এমনিতেই বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা তো শুধু বেঁচে আছি সরকারের দয়ার উপর। ইএফটিতে বেতন পাওয়াটা এখন আমাদের কাছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সুষ্ঠু সমাধান আমাদের একান্ত কাম্য।
বারহাট্টা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহ্ আলম খান জাানান, ইফটিতে বেতনের জন্য আমরা উপজেলার সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য সঠিকভাবেই পাঠিয়েছি। শিক্ষকদের বেতন পেতে কেন দেরি হচ্ছে এ বিষয়ে এখনও আমাদের সুস্পষ্টভাবে কোন নির্দেশনা পাই নাই। নির্দেশনা পেলে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম