প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার চাকরি বাঁচাতে মরিয়া,দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে জাতীয় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকা। গত পহেলা জানুয়ারি-"পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চাকরি করছেন ৯ জন অবৈধ শিক্ষক" ও
গত ১২ই জানুয়ারি-"বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ" এবং গত ২০ জানুয়ারি-"সিকদার হাসনাত স্বপনেই বেপরোয়া নার্গিস আক্তার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় ।
সংবাদগুলো মিরপুরে খুবই আলোড়ন সৃষ্টি করে ।সংশ্লিষ্ট সকল অফিস,সাংবাদিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও অবিভাবক মহল, মার্কেটের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ সহ সকলের মুখে মুখে রটে যায় নার্গিস আক্তার ও তার সিন্ডিকেটের দুর্নীতির কথা । তার বিরুদ্ধে অতীতে যারা মুখ খুলতে ভয় পেত, তারা এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে । বেরিয়ে আসছে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ । এই চক্র এতোই শক্তিশালী ও বেপরোয়া ছিল যে, মার্কেট থেকে বৈধ দোকানদারকে বিতাড়িত করতে হামলা ও রক্তপাত ঘটানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিল ।
অতিশয় চালাক প্রকৃতির প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার নিজেকে বাঁচাতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে । প্রতিবেদক কে থামানোর জন্য তিনি একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক দিয়েও ম্যানেজ করানোর চেষ্টা করিয়েছেন । নিজেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন মুখরোচক গল্প করছেন ।দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিবেদক কে ম্যানেজ করতে না পেরে, গত ১৬ই জানুয়ারি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় তিনি মিথ্যা প্রতিবাদ ও ছাপিয়েছেন ।
হযরত শাহ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার ও তার স্বামী ইসলামীক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডঃ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সম্পর্কে পূর্বে থেকেই অবগত একজন মন্তব্য করেন, স্বামীর দেওয়া চেয়ারে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেই তিনি প্রধান শিক্ষিকা হয়েছেন ।একাধিক গোয়েন্দা সুএ নিশ্চিত করেছে, তদন্তে তারাও প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জাল জালিয়াতি সহ দুর্নীতির একাধিক প্রমাণ পেয়েছেন ।
ঐতিহাসিক ৫ই আগস্ট এর ছাত্র জনতার বিজয়ের পর সরকারিভাবে সভাপতির দায়িত্ব পান ঢাকা সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল -২ এর( যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) জুলকার নায়ন । অভিযোগের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি মূল বিষয়টি এড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে যান ।
তিনি থানা ও জেলা কর্ম শিক্ষা কর্মকর্তা সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন ।
এ বিষয়ে জানতে মাউসির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস,এম, জিয়াউল হায়দার হেনরীর ব্যবহৃত নাম্বারে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন না ধরাতে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ।
এমএসএম / এমএসএম