কমলগঞ্জে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
জমি আছে ঘর নেই-এমন গৃহহীন দরিদ্র পরিবারকে পাকাঘর দেওয়ার কথা বলে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাগানের সাবেক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড পাত্রখোলার দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগী রেখা চৌহান।
পাত্রখোলা গ্রামের ভুক্তভোগী রেখা চৌহান লিখিত অভিযোগে জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারিভাবে তৈরি পাকা টয়লেট গভীর নলকূপসহ পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ০৭ নং ওয়ার্ড পাত্রখোলার দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন আমার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন। টাকা নেওয়ার পর ১ বছর শেষ হলেও ঘরের দেখা আর নেই। ভুক্তভোগী রেখা চৌহান এ বিষয়ে মেম্বারের পর স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জায়গায় দেন দরবার করেও কোন সুরাহা পাননি। মেম্বারের চাহিদা মতো টাকার যোগান দিতে ভুক্তভোগী পরিবার গরু, ছাগল বিক্রি করে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী আরও লিখেছেন, মেম্বারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন তারা। নিরুপায় হয়ে টাকা ফেরত ও প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও বাগান ব্যবস্থাপকের বরাবারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রবি মুন্ডা,রঞ্জিত ব্যাক্তি, বেহুলা গঞ্জু, রামরতন দাস, আশিষ দাশ, দিলিপ বাউরী ও সঞ্জিত গড় জানান, মেম্বার সাব আমাদের সামনে ৮০ হাজার টাকা নিচে রেখা চৌহানের ঘর তৈরী করে দিবেন। কিন্তু এতদিন হল ঘর করে দেননি, তারও খবর পাওয়া যাচ্ছেনা। তার আগে আমরা মেম্বারের কাছে ঘরের বিষয়ে আলাপ করতে গেছিলাম সে পাপ্তা দেয়নি, আমাদের সাথে খারাপ আচারণ করে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন এর মোটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের খোজ খবর নিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা থাকায় পলাতক আছেন বলে জানায় একটি সুত্র।
এ ব্যাপারে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলীর উপর মামলা থাকায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বসছেন না, যার কারণে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ব্যাপারটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই প্রতিবেদককে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম