ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

নিখোঁজের ২ মাস অতিবাহিত হলেও সন্ধান মেলেনি সাব্বির হোসেনের


জাহাঙ্গীর আলম, দামুড়হুদা photo জাহাঙ্গীর আলম, দামুড়হুদা
প্রকাশিত: ৭-৯-২০২১ দুপুর ১:৪৬

গত দুই মাস আগে আকাশের শ্বশুর মজনু মিয়া এক দিন রাতে এসে তার বাড়ি নিয়ে যায়। যাওয়ার কয়েক দিন পর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর হাজীপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন আকাশের (২২) শ্বশুর মজনু মিয়া দুই মাস আগে একদিন রাতে হঠাৎ তাদের বাড়িতে আসে এবং আকাশের মাকে বলে আকাশকে নিতে এলাম ‍এবং এখনই চলে যাব। তার পর আকাশকে নিয়ে তার শ্বশুর কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে যায়। এর ৪-৫ দিন পর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনার সূত্র ধরে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য।

বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান সাব্বির হোসেন আকাশের পিতা শমসের আলী। তারপর থেকে দুই ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন আকাশের মা চম্পা বেগম। এরই একপর্যায়ে আকাশকে পাঠিয়ে তার নানাবাড়ি কুষ্টিয়ার সদরপুরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে একটি কাঠের দোকানে সে কাজ করতে শুরু করে। কয়েক বছর পার হওয়ার পর ওই এলাকার পাশের গ্রাম কুষ্টিয়ার আমলা সদরপুর চরপাড়ার মুরগি ব্যবসায়ী মজনুর সাথে পরিচয় হয়। মজনুর মৌসুমী নামে ‍একটি মেয়ে রয়েছে। আগে মেয়েটিকে এক সেনা সদস্যের সাথে বিয়ে দেন। বেশ কিছুদিন পর জোর করে ওই সেনা সদস্য জামাইকে আটকে অনেক টাকা-পয়সা নিয়ে মেয়ের তালাক নেন। এরই একপর্যায়ে ওই বাড়িতে আকাশের যাতায়াতের ফলে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক হয়। তারই একপর্যায়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে আকাশ মজনুর মেয়ে মৌসুমিকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং গত ৫/১/২০২১ তারিখ বিয়েও করে। তার কিছুদিন পর আকাশ ফিরে আসে তার নিজ গ্রাম জয়রামপুরে। এরই ভেতর খোঁজ পায় মেয়ের বাবা মজনু। একপর্যায়ে তারা আসে জয়রামপুরে আকাশের বাড়িতে ‍এবং বিভিন্ন মাস্তান ধরে নিয়ে এসে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়।

এর কয়েক দিন পরে সবকিছু মিটে গেছে বলে আকাশের শ্বশুর মজনু মিয়া তাদের বাড়িতে আসে এবং বলে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন মেয়ে-জামাইকে আমরা নিয়ে যেতে চাই বাড়িতে। কিন্তু আকাশের মা চম্পা বেগম দিতে রাজি হয়নি। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে নিয়ে গেলে ওরা মেরে ফেলবে, যার ফলে মেয়েও যায়নি এবং ছেলেকেও পাঠাননি। তার কিছুদিন পর মেয়েটির বাবা মজনু মিয়া ফোন করে মেয়েকে বলে তোমার মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ একটু দেখতে এসো। তারপর আকাশের স্ত্রী মৌসুমিকে একা পাঠিয়ে দেন তার বাবার বাড়িতে। কেননা তখনো শঙ্কামুক্ত না আকাশ।

মেয়েটি বাবার বাড়িতে যাওয়ার পর তারা মেয়েকে আটকে দেয় এবং বিভিন্ন কবিরাজ ধরে মেয়েকে বশ করে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটাও বিফলে যায়। পরে মেয়েটি চুরি করে আবার চলে আসে তার স্বামী আকাশের বাড়িতে। তার বেশ কিছুদিন পর সবকিছু মিটে যাওয়ার কথা বলে মেয়ের বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করে মৌসুমির বাবা মজনু মিয়া। কিছুদিন পর মেয়েকে নিয়ে যায় আকাশের শ্বশুর মজনু মিয়া। যাওয়ার কয়েক দিন পরে হঠাৎ এক দিন রাতে মজনু মিয়া আসে আকাশদের বাড়িতে এবং আকাশের মাকে বলে মেয়েটা অসুস্থ জামাইকে নিয়ে যেতে বলল আর এখনই নিয়ে চলে যাব আমি। তারপর আকাশের মা চম্পা বেগম কোনো বাধা না দিয়ে ছেলেকে পাঠিয়ে দেন শ্বশুরের সাথে। তার ৪ থেকে ৫ দিন পর আকাশের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দুই মাস পার হয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি আকাশের। আকাশের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিযয়েও খুঁজে পায়নি। না পেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন আকাশের মা চম্পা বেগম।

এরই একপর্যায়ে আকাশের পরিবার খোঁজ নিতে যায় কুষ্টিয়ার আমলা সদরপুর চরপাড়াই মজনুর বাড়িতে। তখন মজনু মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে ও আবার পালিয়ে গেছে। উল্টে গত কয়েক দিন আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করতে যায় বলে শোনা যায়। সে বলে, আমার মেয়েকে আকাশ সাদা মাইক্রো গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওই এলাকার চেয়ারম্যানের নজরে আসে বিষয়টি এবং ওই চেয়ারম্যান বলেন, এ পর্যন্ত কোনো মাইক্রোবাস আমার এলাকায় ঢোকেনি। এটা তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ।

মজনু মিয়া বলে, আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু এদিকে আকাশের মা বলছে আমার ছেলের বিয়ে করা বউ সে কেন মাইক্রোবাসে নিয়ে তুলতে যাবে? এটা তাদের সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনী। ওরা আমার ছেলেকে হয়তো মেরে গুম করে দিয়েছে। আজ দুই মাস হয়ে গেল তার সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। আকাশের শ্বশুর মজনু মিয়া তার মেয়ে মৌসুমিকে কোথাও আটকে রেখেছে এবং বলছে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।

সাব্বির হোসেন আকাশের মা চম্পা বেগম বলেন, আমার ছেলে কে ফিরে পেতে চাই। আমি অসহায় গরিব হওয়ায় তারা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে আমার ছেলেকে ফিরে পেতে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক জানান, বিষয়টি যেহেতু দুই মাস আগের, শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছে এবং সাব্বির হোসেন আকাশ কুষ্টিয়ার সদরপুর বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিল, সেহেতু আমরা বাদীকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় একটি জিডি করার পরামর্শ দেই। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সাব্বির হোসেন আকাশের মা চম্পা বেগম আরো বলেন, আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চুয়াডাঙ্গা জেলার এসপি স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এমএসএম / জামান

লাকসামে বিএনপি নেতা হিরু-পারভেজ নিখোঁজের ১২ বছর, স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর কাটছে না

কালীগঞ্জে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন

মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ: পলাতক বাবা গ্রেপ্তার

বড়লেখায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

নাচোলে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী- উদ্বোধন

লাগারে লাগা ধান লাগা' স্লোগানে সুনামগঞ্জ-৪ আসন উত্তাল

ভূরুঙ্গামারীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

গোপালগঞ্জে সাড়ে চার হাজার কৃষকের হাতে পৌঁছাল প্রণোদনার বীজ–সার

মুকসুদপুরে জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

সুবর্ণচরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

মহম্মদপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান তিন প্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার টাকা জরিমানা

ভূঞাপুরে আধুনিক পশুপালন নিয়ে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের বর্ণিল উদ্বোধন

জয়পুরহাটে জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা