ঢাকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ হলেও নির্মাণ হয়নি হাসপাতাল


মাগুরা প্রতিনিধি photo মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-২-২০২৫ বিকাল ৫:৫০
মাগুরা সদর উপজেলার ১১ নং বেরইল পলিতা ইউনিয়নে ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল ২০০৫ সালে। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর হাসপাতালের কোড নম্বরও বরাদ্দ করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে হাসপাতালের জন্য কিছু চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগও দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখন পর্যন্ত হাসপাতালটির জন্য কোনো সরকারি জায়গা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, যার ফলে দীর্ঘ ১৯ বছরেও হাসপাতালটি বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
বেরইল পলিতা ইউনিয়নের ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য কিছু জনবল নিয়োগ পেলেও নির্দিষ্ট ভবন ও অবকাঠামো না থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম স্থবির। নিয়োগপ্রাপ্ত দুই চিকিৎসক অন্যত্র সংযুক্ত রয়েছেন—ডাঃ মোঃ জাফর ইমাম কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ডাঃ রাকিবা সুলতানা আইএসটি গাজীপুরে। তিন সিনিয়র স্টাফ নার্সের একজন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, একজন চাঁদপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং অন্যজন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন।
বেরইল পলিতা ইউনিয়নে হাসপাতাল কার্যক্রম শুরুর দাবিতে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। তারা হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ৫০ শতক জমি দান করার প্রস্তাব দিয়ে সিভিল সার্জন, মাগুরা বরাবর আবেদন করেছেন। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামীম কবীর ৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়ে উক্ত জমিতে হাসপাতাল স্থাপনের সুপারিশ করেছেন। এছাড়া, এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়া ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি আবেদন দাখিল করে স্থায়ী ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে সাময়িকভাবে হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন।
মাগুরা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বাসিন্দারা ন্যূনতম চিকিৎসা সেবার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন। হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন ধরে নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা হতাশ।
স্থানীয়দের মতে, সরকারি উদ্যোগের ঘাটতি ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বেরইল পলিতা ইউনিয়নে হাসপাতালের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। তারা দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী আশাবাদী যে, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হাসপাতালের নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করবে। তারা মনে করেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে সাময়িকভাবে হাসপাতাল চালু করলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যাবে এবং পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগে এই দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্যসেবা সংকট নিরসনের সময় এসেছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. মো. শামীম কবীর জানান, ২০০৫ সালে বেরইল পলিতা ইউনিয়নে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অনুমোদিত হয়। হাসপাতালের জন্য ২ জন ডাক্তার ও ৫ জন নার্সের পদ অনুমোদিত হলেও বর্তমানে ৩ জন ডাক্তার ও ২ জন নার্স বিভিন্ন স্থানে সংযুক্ত রয়েছেন। অবকাঠামো বা অধিগ্রহণকৃত জমি না থাকায় হাসপাতাল নির্মাণ সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী ৫০ শতক জমি দান করতে চাইলেও নির্মাণে অন্তত ৩ একর জমি প্রয়োজন। তিনি এলাকাবাসীর কল্যাণে হাসপাতাল বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন।
মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম জানান, বেরইল পলিতা ইউনিয়নে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে জনবল সংকট থাকলেও বেরইল পলিতা হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে সংযুক্ত রয়েছেন। তাদের মাগুরায় সংযুক্তির জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এমএসএম / এমএসএম

কমলগঞ্জে ধর্ষণের চেষ্টাকালে চিৎকার করায় দায়ের কূপে কিশোরীকে হত্যা

শুধুমাত্র নির্বাচনকালীন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন-এড: আহমেদ আজম খান

আমি আপনাদের একজন হতে চাই- বাবুল

১৭ বছরের জঞ্জাল, অব্যবস্থাপনা ও অরাজগকতা মাত্র ১৫ মাসে দূর করা সম্ভব নয়ঃ এম সাখাওয়াত হোসেন

রাণীশংকৈলে কেজি স্কুলের ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে:বক্কর

অপরাধ দমনে কোনাবাড়িতে পুলিশের বিশেষ মহড়া

আ' লীগ আমলে ৬০ লক্ষ মামলার আসামী বিএনপিঃ শামসুজ্জামান দুদু

বাউফল থেকে নিতে আসিনি দিতে এসেছি: একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার

ফেনীতে সাংবাদিকতায় দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ হলেও নির্মাণ হয়নি হাসপাতাল

চৌগাছায় কালবের ৯ম

কলমাকান্দায় আগুনে পুড়ে দোকান-বাড়ি সব শেষ জালাল উদ্দীনের